Drama Queen VS Mr Handsome,Part_1,2
writer_Neela
Part_1
আম্মু:মিহু???
।
মিহু:জি খালামনি
।
আম্মু:নীলা এখনো আসে নি??
।
মিহু:না খালামনি,,,(করুন গলায়)
।
আম্মু:হায় রে এই মেয়ে কে নিয়ে কোথায় যাই তুই জানিস ও কোথায় আছে???
।
মিহু:ওর নাকি কলেজে performance আছে
।
আম্মু:ওই মেয়ে কে আজ ছেলে পক্ষ দেখতে আসবে ও কি ভুলে গেছে মিহু তুই জলদি যা ওকে নিয়ে আয়
।
মিহু: খালামনি মানিক এখনো আসে নি
।
আম্মু:ও তো মিষ্টি আনতে যেয়ে হারিয়ে গেছে
।
মিহু:আচ্ছা খালামনি আমি যাচ্ছি ।
।
মিহু স্কুটি নিয়ে জলদি বেরিয়ে গেলো। ভয়ে ঘেমে একাকার হয়ে পড়েছে মিহু।
।
এইদিকে,,,
।
নীলা:বাছা আমি তোমাকে মাফ করলাম
।
[এইটাই তো ভাবছেন আমাদের গল্পের নায়িকা কি করছে???নীলা ওদের কলেজে নাটক করছে]
।
আসিফ: মহারানি আপনাকে মহারাজ ডাকছে [নাটক এর একজন সদস্য]
।
নীলা: উনাকে বলো আমি আসছি,,,,মহারাজা আমি এসে গিয়েছি।
।
হঠাৎ নীলা একজনের চিল্লানোর আওয়াজ শুনলো স্টেজ থেকে বাহিরের দিকে তাকালো দেখলো মিহু হাতে হেলমেট নিয়ে দাঁড়িয়ে নীলার দিকে তাকিয়ে আছে আর হাপিয়ে যাচ্ছে।
।
মিহু:ওইইইই নীলাআআ জলদি আয়
।
নীলা:[স্টেজ থেকে]ওই তুই এদিকে কি করছিস
।
মিহু:জলদি কর খালামনি ডেকেছে
।
নীলা চোখ বড় বড় করে মিহুর দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলো “এই সেরেছে স্টেজ এর উপর থেকে শাড়ি খুলে দৌড়ড়ড়”
।
মিহু:কি করলি এইটা
।
নীলা:ওইসব অসহ্যকর জিনিস পড়া আমার দাড়া সম্ভব না কিন্তু এইভাবে বলছিস কেন
।
মিহু: সেটাই তো ভাগ্যেস জিন্স সার্ট পরা ছিলি
।
নীলা:বেশি কথা বলিস না
।
নীলা মিহুর হাত থেকে হেলমেট নিয়ে নিজে পড়ে নিলো আর মিহুকে পিছনে দিয়ে নীলা সামনে বসে স্কুটি দ্রুত গতিতে চালানো শুরু করলো।
।
এইদিকে,,,,
।
আল্লাহ ছেলে পক্ষ এসে গেছে ওরা এখনো আসে নি জানালা দিয়ে বাইরে মা তাকিয়ে দেখলো মিহু আর নীলা চলে এসেছে।
।
আম্মু:মানিককক!!!!
।
ছেলের মা সোফায় বসে আসেপাশে তাকিয়ে রুম দেখতে লাগলো আর কিছু সময় কথা বললো। বাহিরে নীলা আর মিহু পাইচারি করছে ঘরে কিভাবে ঢুকবে।
।
মিসেস শাহানা:মেয়ে কে কখন আনা হবে[ছেলের মা]
।
আম্মু:এইতো এখনি আসবে। মানিক!!
।
মানিক:হ্যা আম্মু
।
আম্মু:তুই আমার সাথে আয়
।
মানিক কে রান্নাঘরে নিয়ে আসলো আম্মু।
।
আম্মু:তুই দুইতলায় যা জলদি ওদিক থেকে নীলা কে উঠাবি
।
মানিক: আরে আম্মু তুমি কিভাবে যে তোমার মেয়ের খবর জেনে যাও
।
আম্মু: কেনো কি হয়েছে?
।
মানিক: ওদিকে আপিও ফোন করে বললো ওর রুম থেকে শাড়ি নিয়ে জানালার গ্ৰিল এর সাথে পেঁচিয়ে ছুঁড়ে মারতে।
।
আম্মু: নাউযুবিল্লাহ এই মেয়ে কে নিয়ে কি করবো আল্লাহ জানে।
।
মানিক হাসতে হাসতে উপরে চলে গেলো। যা ভাবা তাই কাজ। মানিক যেয়ে শাড়ি গ্ৰিলের সাথে বাঁধতে নিলেই।
।
নীলা: ওই ডাম্বো এই শাড়ি না। এইটা আমার ফেভারিট।
।
মিহু: আরে নীলা তুই শাড়ির চিন্তা করছিস।
।
নীলা: নাআআআ তুই এই শাড়ি বাধবি না আর এই যে মিস ঢিশমিশ অফ যা?
।
মিহু চুপ হয়ে গেলো। মানিক গাল ফুলিয়ে আবার রুমে যেয়ে শাড়ি নিয়ে আসলো।
।
নীলা: আরে আরে তুই এইসব সুন্দর সুন্দর শাড়ি কেনো নিয়ে আসছিস আমি ভেবেছি এই শাড়ি আমি আমার বিয়ের প্রথম দিন পড়বো ওয়াহ ওয়াহ? সোচতেহি দিল খুশ হোগায়ি।
।
মানিক: হেই ড্রামা কুইন!!! তোকে এখন ফিল্মি জিনিস ভাবতে বলি নি
।
নীলা: হাহ!!! ডোন্ট কল মি ড্রামা কুইন। আমি তো গুড গার্ল।
।
মিহু ও মানিক এক সাথে চিল্লিয়ে উঠে বললো “উফফফফফফ” নীলা ওদের দুজনের দিক তাকাতে লাগলো।
।
মানিক যেয়ে আম্মুর রুম থেকে সুতি কাপড় নিয়ে আসলো এসে গ্ৰিলের সাথে বেঁধে দিলো তারপর ছুড়ে মারলো। নীলা দৌড়ে যেয়ে সেটা ক্যাচ করলো।
।
নীলা:ও বাল্লে বাল্লে ও শাভা শাভা বাল্লে বাল্লে শাভা শাভা। কি বলিস মিহু আমি অনেক ভালো ক্রিকেটার ও হতে পারবো ? ওয়াহ ওয়াহ ফের ভি দিল খুশ হোগায়ি।
।
নীলা চোখ বন্ধ করে কথা গুলো বলছিলো চোখ খুলে দেখলো মিহু উপরে উঠে গিয়েছে।
।
নীলা: এই ঢিশমিশ আর ডাম্বো হ্যাসট্যাগ এইটা চিটিং।
।।
।
হঠাৎ ফোন বাজতেই ছেলেটা ফোন স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখলো ইম্পর্ট্যান্ট কল।
।
ছেলেটা: এক্সকিউজ মি!!
।
মিসেস শাহানা: কোথায় যাচ্ছো নীল?
।
নীল: চাচি একটা ইম্পর্ট্যান্ট কল এসেছে।
।
মিসেস শাহানা: অফিস থেকে?
।
নীল: জি
।
মিসেস শাহানা: তাহলে তো মেঘের কল আসার কথা।
।
নীল: চাচি আমরা একটা প্রোজেক্ট ফুল করছি আর সেটাতে মেঘ ভাইয়া নেই। আর তাই কল টা আমার এসেছে।
।
মিসেস শাহানা: তুমি তো তেমন একটা অফিস এও যাও প্রোজেক্ট টা কমপ্লিট করতে পারবে তো?
।
মেঘ: কাম অন আম্মি!! ও অফিসে যায় না কিন্তু বাসায় বসে নিরিবিলি কাজ করে।
।
মিসেস শাহানা আর তেমন কিছু বলতে পারলো না। নীল মুচকি হেসে বাহিরে চলে গেলো। নীল কথা বলা শেষ করে যেই বাসায় ঢুকতে যাবে তখনি ধাম করে একটা আওয়াজ নীলের কানে আসলো নীল পাশ ফিরে তাকাতেই দেখলো একটা মেয়ে নিচে পড়ে গিয়েছে আর কাপড় ঝুলছে। নীল দৌড়ে মেয়েটার কাছে গেলো।
।
নীল: আর ইউ ওকে?
।
নীলা: এইই ডাম্বো এই ঢিশমিশ। ।
নীলা চিল্লিয়ে সামনে তাকাতেই একটা বাঁকা হাসি দিলো। নীলা মনে মনে বললো “হায় হ্যান্ডসাম ?”
।
নীল: এই যে মিস আর ইউ ওকে?
।
নীলা লাফ দিয়ে উঠে বসলো আশাম করে বসে বললো___
।
নীলা: হেই!!! আপনি কি পাত্র হায় আল্লাহ মার গায়ি।আমি তো এখনি আম্মু কে যেয়ে বলবো আমি বিয়েতে রাজি ।
।
মানিক: আপুউউউ
।
নীলা: এই আমি না আসছি আপনি যান।
।
নীল: আরে আরে কথা তো শুনুন
।
নীলা শাড়ি শক্ত করে ধরলো। আর আস্তে আস্তে উপরে উঠতে লাগলো নীলার মনে হচ্ছে সে স্লো মোশনে হালকা গোল গোল ঘুরছে আর এক পলকে একে অপরের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। এক সময় নীলা উপরে উঠেই গেলো।
।
নীল: মেয়েটা কি বললো কিছু ই বুঝলাম না!! আচ্ছা মেয়েটা কি ভেবেছে ওর সাথে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে ওর তো মেঘ ভাইয়ার সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে। কি জানি কি হবে!!
।
এইসব ভাবতে ভাবতে নীল বাসায় ঢুকে পড়লো।
।
।
।
চলবে,,,,,,,,
❣Drama_Queen_VS_Mr_Handsome❣
#Writer_Neela
#Part_2
.
.
মিহু: আরে নীলা জলদি চেন্জ করে নে না রে।
।
নীলা: আরে এতো টাইম নেই যতো দ্রুত সম্ভব শাড়ি টা পড়ে নিতে হবে।
।
মিহু: আরে আরে কি করছিস কি জিন্স শার্ট এর উপর কেনো শাড়ি পরছিস?
।
নীলা: এই মিস ঢিশমিশ চুপ করতো আমি তো আমার হবু বরের উপর সেই রকম প্রেমে পরে গিয়েছি রে।
।
মিহু:আর কতোবার প্রেমে পড়বি তুই?
।
নীলা: উফফ মিহু এইটা সিরিয়াস ওয়ালা লাভ। পুরো একটা ফিল্মের মতো কারো সাথে ধাক্কা না লেগেই মেয়েটি সিঁড়ি তে পড়ে গেলো ছেলেটি এসে জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে ওহ মাই গড মিহু আমি তো পুরোই ঝাকানাকা প্রেমে পড়ে গিয়েছি ?
।
মিহু:ঝাকানাকা প্রেম আবার কি?
।
নীলা:পড়ে বলবো এখন রেডি হতে দে কেমন।
।
মিহু: দেখ নীলা জিন্সের সাথে শাড়িটা সেপারেট ভাবে থাকে না।
।
নীলা: এই তুই না আমাকে বড়সড় ভাবে ডিস্টার্ব করছিস। আমি ওদিকে যেয়ে দাড়াবো কতোটুকু বসেই তো থাকবো।
।
মিহু: তবুও বোন প্লিজ তুই না ঠিক করেই শাড়িটা পড়।
।
নীলা: চুপপপপপ হুহ।
।।
।
নীলা রেডি হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো নীলা কালো রঙের একটা শাড়ি জর্জেট শাড়ি পড়েছে আর সাথে অ্যাশ রঙের ফুল হাতার ব্লাউজ কানে কালো রঙের বড় কানের দুল আর চুল ছেড়ে দিয়েছে একদম হালকা সাজ দিয়েছে। নীলা উচালম্বা এবং চিকন ফেস কাটিং গায়ের রং সব দিয়েই আছে।
।
অন্য দিকে মিহু ধুতি সেলোয়ার সুতি কামিজ আর চুল একপাশে বেনি করে রেখে দিয়েছে। মিহু নীলার থেকে একটু খাটো।
।
কিন্তু নীলা যেমন চঞ্চল প্রকৃতি যেমন_গান,নাচ, লাফালাফি,সেলফি,হালকা সাজগোজ শুধু মাত্র বাহিরে যাওয়ার সময় এবং সবার সাথে খুব সহজেই মিশতে পারে। মিহু তার উল্টো সবসময় ফেস এ ভয় জিনিস টা পেয়েই থাকে শুধু মাত্র নীলার কর্মকাণ্ডের জন্য। মিহু ঘরোয়া কাজে খুব পারদর্শী হাতের রান্না এক কথায় অসাধারণ। ছবি তুলতে চায় না নীলার মতোই হালকা সাজগোজ করে থাকে, কিন্তু ছবি তোলা পছন্দ না। নীলা যেমন তার মুড অফ থাকলে ঘরে ডান্স প্র্যাকটিস করতে
থাকে মিহুর মুড অফ থাকলে সে রান্নাঘরে যেয়ে নতুন রেসিপির আয়োজন করে।
।
মেঘ কথায় মায়ের ছেলে মায়ের কথায় তার ভালোবাসাকে ছেড়ে দিয়ে এইদিকে বিয়ের জন্য চলে এসেছে প্রচন্ড রাগি এক কথায় তার কথা ঘরে সবাই শুনে কিন্তু তার কথার বিপরীতে যদি তার মা যায় তাহলে আর সে কোনো কথা বলে না সবসময় বিজনেস নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি যেনো তার অভ্যাস। অন্যদিকে নীল সবার সাথে হেসে কথা বলাটা স্বভাব খুব সহজেই সবাইকে মানিয়ে নেয় সবাই কে আপন করে নেয় তার দুষ্টুমি গুলো চোখে ধরার মতো। পুরো পরিবারে নীল সবচেয়ে ছোট তাই তাকে ছাড়া বাসাটা যেনো পুরো বিষাদময় হয়ে যায়। সারাদিন ড্রাম গিটার গান নাচ পার্টি এইসব এ মাতিয়ে থাকে নীল।
।
মিহু নীলার সাথে কথা বলতে বলতে নীলাকে সিঁড়ি দিয়ে নামাচ্ছে। আর নীলা হেসে যাচ্ছে।
।
মিসেস শাহানার কাছে বিষয় টা মোটেও ভালো লাগলো না যে মেয়েকে দেখতে এসেছে সে মেয়েই কিনা হাসতে হাসতে নিচে আসছে লাজ লজ্জা বলতে কিছু নেই এই মেয়ের মধ্যে এই চিন্তা নেই যে আমরা যদি তাকে পছন্দ করি তাহলে আর কয়দিন পরই পরিবার ছাড়া সেই কষ্ট টা তার মধ্যে নেই যে পরিবার তাকে দেখতে এসেছে সে কি তাকে পছন্দ করবে কিনা এইটা নিয়েও চেহেরায় দুশ্চিন্তা ভাব থাকে কিন্তু না এই মেয়ের মধ্যে সেইসব কিছুই লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
।
নীলা:শোন মিহু এখন আমার মনে হচ্ছে বিয়েটা করবো না
।
মিহু: কেনো একটু আগেই তো বিয়ের জন্য লাফালি।
।
নীলা: আমি তোকে ছাড়া কিভাবে থাকবো আমি খেতে না চাইলে কে আমাকে খাইয়ে দিবে বল তো সারারাত বসে কে আমার বকবক শুনবে সেইটা অন্তত বল আর রাতে ঘুম না আসলে কে ঘুম পারিয়ে দিবে সেটা বল জানিস মিহু মাঝে মাঝে মনে হয় তোর মধ্যে আল্লাহ সবধরনের সহ্য ক্ষমতা দিয়েছে বাপরে এতো ধৈর্য্য নিয়ে থাকিস কিভাবে আমি তোকে যেভাবে জ্বালাই তবুও তুই কতো সুন্দর মুখ বুঁজে সব সহ্য করে নেস এইটা তো আমার হাব্বি ও পারবে না।
।
মিহু: হয়েছে অনেক কথা বলেছিস এখন অফ যা।
।
মিহু নীলাকে নিয়ে সবার সামনে দাড় করিয়ে দিলো। আর মিহু হালকা পিছিয়ে রান্না ঘরের একটু সামনে দেয়ালের সাথে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে। নীলা দেখলো যার সাথে তার দেখা হয়েছিলো তার সাথে আরেকটি ছেলে ও আছে সে ফোন নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করছে। নীলা একটু পা উঁচু করে উঁকি দিয়ে দেখলো ইমেইল সেন্ট করছে। মিহু ভয়ে শেষ এইসব নীলা কি করছে এইটা ভেবে।
।
আম্মু: নীলা সালাম কর।
।
নীলা: আসসালামুয়ালাইকুম আন্টি!! কেমন আছেন? ভালো আছেন তো আমি কিন্তু অনেক ভালো আছি।
।
নীল নীলের কথা শুনে জিভ কামড় দিয়ে নীলার দিকে তাকালো আবার তার চাচির দিকে তাকালো নীল চাচির চেহেরা দেখে বুঝতে পারছে রাগান্বিত সে। মিসেস শাহানা মাথা নিচু করে ফেললো নীলা নীলের দিকে তাকিয়ে চোখ দিয়ে ইশারা করে দিলো চোখ টিপ।
।
নীল:[ কি ফার্স্ট মেয়েদের বাবা এ তো ভাইয়ার লাইফ তেজপাতা করে দিবে]
।
নীলা হেসে দিয়ে আন্টির সামনে হালকা ঝুঁকে গেলো আন্টি ভয়ে পেয়ে সোফার সাথে হেলান দিয়ে বসে পড়লো। নীলা মিষ্টি এক হাসি দিয়ে বললো___
।
নীলা: আন্টি সালামের উত্তর?
।
মিসেস শাহানা না পারতে এক হাসি দিয়ে বললো “ওয়ালাইকুম সালাম”
।
নীলা: জি আন্টি ধন্যবাদ। আচ্ছা আন্টি আমি বসি?
।
মিসেস শাহানা: হুম বসো।
।
নীলা: আন্টি কি কি প্রশ্ন করবেন আমাকে করতে পারেন আমি নির্ভয়ে উত্তর দিবো বুঝতেই তো পারছেন আমি কতোটা সাহসী আর কতো টা ভদ্র।
।
মিসেস শাহানা: তোমার নাম কি?
।
নীলা: আন্টি আমার নাম নীলা। আন্টি আপনার ছেলের নাম কি?
।
মিসেস শাহানা এমন ভাবে চোখ গরম করলো নীলার হাসি যেনো উরে যাওয়ার উপক্রম।
।
নীলা: থাক আন্টি আপনি বলতে না চাইলে আর কি করার।
।
মিসেস শাহানা: মেঘ!!!
।
নীলা উপরে তাকাতে লাগলো নীলা বুঝতে পারছে না আন্টি মেঘ কে কোথায় দেখলো নীলা চোখ ছোট ছোট করে দেখতে লাগলো তাদের ছাদ কোথাও ফুটো আছে নাকি যেদিকে আন্টি মেঘ দেখতে পেলো।
।
মিসেস শাহানা এক প্রকার বিরক্তি নিয়ে বললো “মেঘ!!! আমার ছেলের নাম।”
।
নীলা যেনো হাফ ছেড়ে বাচলো তাহলে বাবার লোন নিয়ে বাড়ি টা তৈরিতে স্বার্থক ?।
।
মিহু নীলাকে দুর থেকে লক্ষ্য করে বুঝতে পেরেছে নীলার মাথায় কি চলছে মিহু তার ডান দিয়ে কপাল ধরে রাখলো। মনে মনে বললো “খালুর ঋন নিয়ে কথা বলা টা যেনো নীলার অভ্যাস হয়ে গিয়েছে”।
।
মিসেস শাহানা: কি পড়ছো?
।
নীলা: আন্টি কিছু পড়ছি না তো আমি তো আপনার সামনে বসে আছি।
।
নীল পারছে হাসতে হাসতে ফ্লোরে বসে পড়তে অনেক কষ্টে হাসি চাপিয়ে রাখলো। মেঘ রাগান্বিত চেহেরা নিয়ে নীলার দিকে তাকালো। নীলা মেঘের চেহেরা দেখে ভয় পেয়ে গেলো নীলা এক ঢোক গিলে বললো__
।
নীলা: আমি কি কিছু ভুল বলেছি?
।
মিসেস শাহানা: নাহ আমি জিজ্ঞেস করছি কিসে পড়ছো?
।
নীলা: অনার্স কিসে যেনো…?… এই মিহু আমি কোন বর্ষে?
।
মিহু: ২য় বর্ষে।
।
নীলা: জি আন্টি ২য় বর্ষে।
।
মিসেস শাহানা: ওহ আচ্ছা রাঁধতে পারো।
।
নীলা: না আমি অনেক সুন্দর গান নাচ করতে পারি আর আমার বোন মানে মিহু ও রান্না করতে পারে। আন্টি আপনার না ওর হাতের খিচুড়ি টা ট্রাই করা উচিত উফফ ওর হাতের খিচুড়ি বেস্ট।
।
মিসেস শাহানা একটা ইচ্ছাকৃত হাসি দিয়ে বললো “তুমি অনেক বেশি কথা বলো”
।
নীলা: হ্যা সেটাই সেটা তো জন্ম থেকে।
।
মিসেস শাহানা: মানে?
।
নীলা: না মানে জন্মের পর মানে বছর নয়তো মাস পরে।
।
মিসেস শাহানা: ওহ আচ্ছা।
।
কথা বলতে বলতে মিসেস শাহানা হঠাৎ লক্ষ্য করলো নীলা যেনো কেমন নড়াচড়া করছে মিসেস শাহানা শাড়ির নিচে জিন্স টা খুব ভালো করে দেখতে পেলো।
।
মিসেস শাহানা: একটু দাঁড়াও তো
।
নীলা: আন্টি আমার পা হাত সব ঠিক আছে আমার স্বামী মরে যাওয়ার লক্ষন নেই।
।
আম্মু:নীলা ???
।
নীলা কাঁদো কাঁদো চেহেরা নিয়ে মিহুর দিকে তাকালো মিহু ভয়ে যেনো শেষ মিহু খুব ভালো করে বুঝতে পেরেছে নীলার শাড়ির কিছু হয়েছে। মিসেস শাহানা তার রাগ টা কন্ট্রোল করে বললো___
।
মিসেস শাহানা: এইসব বলতে নেই তুমি একটু দাঁড়াও।
।
নীলা: আন্টি না দাঁড়ালে হয় না।
।
মিসেস শাহানা: দাঁড়ালে তোমাকে আমাদের বউ হিসেবে গ্ৰহন করে নিতাম এইটা আমাদের পরিবারের নীতি মেয়ে পছন্দ হলে তাকে দাঁড়া করিয়ে হাতে চুড়ি পড়িয়ে দেওয়া।
।
নীলা খুব কষ্টে দাঁড়ালো দাড়াতেই তার শাড়ি খুলে গেলো নীলা কাঁদো কাঁদো কন্ঠ নিয়ে বললো “মিহুউউউউ”
।
নীল সাথে সাথে ফোন বের করে চালানো শুরু করলো মেঘ তো আগে থেকেই লক্ষ্য করছে না বাসায় কি হচ্ছে।
।
মিসেস শাহানা মুচকি হেসে বললো “মেয়ে আমাদের পছন্দ হয়েছে”
।
নীলা চোখ বড়বড় করে আন্টির দিক তাকিয়ে রইলো সাথে সবাই নীল তো পুরো অবাক মুখ দিয়ে হঠাৎ করে একটা শব্দ বের হয়ে গেলো “ইম্পসিবল”।
চলবে,,,,,,,,,