Drama_Queen_VS_Mr_Handsome,Part_17,18

0
1992

Drama_Queen_VS_Mr_Handsome,Part_17,18
Writer_Neela
Part_17
.
.
নীলা: এই তোর সমস্যা কি? কিসের এতো দাম বাড়ছে তোর একদম চাকু দিয়া গলা কাইট্টা ফেলবো।

নীল স্বাভাবিকভাবে দাঁড়িয়ে ছিলো নীলার কথা টা শেষ হতেই নীল নীলাকে ঘুরিয়ে নীলার হাতের চাকু টা নিয়ে নীলার গলায় ধরলো নীলার দুহাত নীলের এক হাতের মুঠোবন্ধী হয়ে আছে।

নীলা: আ আ আপ আপনি কি করছেন দেখুন ঠিক হচ্ছে।

নীল: টিট ফর ট্যাট।

নীলাকে ঘুরিয়ে ছেড়ে দিলো নীল ক্যান্টিনের সবাই তাদের দিকে তাকিয়ে আছে নীল শব্দ করে ক্যান্টিনের টেবিলে চাকু টা রেখে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে হাটা শুরু করলো।

নীলা গুটিগুটি পায়ে হেঁটে গিয়ে পার্লি কে জড়িয়ে ধরে ন্যাকা কাঁদতে লাগলো।

নীলা: আমার সাথে কেউ এমন বিহেভ করে নি কখনো ??

পার্লি: আহারে থাক বাবু কাঁদে না।

নীলা: এএএএএএএ ? আমি কি দোষ করেছি উনি কেনো আমার সাথে এমন করছে ?

নীল নীলার কথা শুনে থেমে গিয়ে পিছনে ফিরে দেখলো নীলা পার্লি কে জরিয়ে ধরে বাচ্চাদের মতো করে কাঁদছে‌। এই কাদা টাও যেনো সহ্য হচ্ছে না নীলের দেখলেই গা ঘিন ঘিন করছে বারবার।
।।

মিহু লাইব্রেরী যে বই ঘাটাঘাটি করছে “শেষের কবিতা” নীলার গল্প কালেকশন এর থেকে নিয়ে পড়েছিলো কিন্তু বই টা তার বড্ড ভালো লেগেছে। এখন সে ও নিতে এসেছে হবি বলে কথা। দুইজন দুইজনের টা শেয়ার করে পরবে ঠিকই কিন্তু দিয়ে দিবে দু’জনের কালেকশন পুরো আলাদা।

মিহু:[এইটা ই কি সেই বই টা না? হ্যা এইটাই তো]

মিহু নিতে যাবে তার আগেই বুক সেল্ফ এর অন্য পাশ থেকে একজন বইটা নিয়ে নিলো। মিহু তাকে হালকা দেখতে পারছে।

মিহু:এক্সকিউজ মি প্লিজ!!! বই টা আমাকে দেওয়া যাবে?

ছেলেটি: সরি!!! আই কান্ট।

মিহুর গলা টা চেনা চেনা লাগলো কিন্তু যাই হোক না কেনো বই টা তো প্রথমে মিহু দেখেছে সে এই বই নিয়েই ছাড়বে।

মিহু লোকটির পিছু পিছু লাইব্রেরী টিচার এর কাছে গেলো।

মিহু: দেখুন বই টা আমাকে দিন প্রথমে আমি দেখেছি।

ছেলেটা: কিন্তু নিয়েছি তো আমি। একি তুমি?

মিহু: আপনি?

মেঘ: কেনো কি হয়েছে?

মিহু; আপনি গল্পের বই পড়ে কি করবেন আপনার মনে অনুভুতি বলতে আজও কি কিছু আছে?

মেঘ: ডোন্ট ক্রস ইওর লিমিট। আমার মধ্যে অনুভূতি আছে কি নেই সেটা কি আমি তোমাকে জানাবো?

মিহু: হুয়াট এভার।

লাইব্রেরী টিচার: স্টপ ইট’স আ লাইব্রেরী ডোন্ট বি শাউট!!

মিহু: সরি

লাইব্রেরী টিচার: আরে রায়হান খান মেঘ না?

মেঘ: জ্বী ম্যাম।

লাইব্রেরী টিচার: ওয়াও আ’ম সারপ্রাইজ।

মেঘ মিহুর দিকে তাকিয়ে ভাব দেখিয়ে টিচার এর সাথে কথা বলতে লাগলো মিহুর মনের মধ্যে দুষ্টু বুদ্ধি আসলো।

মিহু: আসসালামুয়ালাইকুম ম্যাম!! আ’ম হিজ ওয়াইফ।

টিচার: বিয়ে করেছো কবে? কংগ্ৰেচুলেশন।

মিহু: এখনো বিয়ে হয় নি জাস্ট এংগেজড।

টিচার: হুয়াট আ গুড নিউজ মেঘ। মিহু তুমি জানো? ওই ও আমাদের ভার্সিটির স্টুডেন্ট ছিলো একসময় এখন সে বিজনেস ম্যান। বাই দা ওয়ে মেঘ পাজি টা কোথায়?

মেঘ: ও আর্ট ক্লাস এ।

টিচার: ওহ ওর আর্ট এর প্রতি নেশা টা এখনো আছে তাহলে।

মেঘ: জি ম্যাম।

মিহু: আচ্ছা ম্যাম এই বইটা কি আর নেই!

টিচার: কেনো? আর এইটাই লাস্ট কপি ছিলো।

মেঘের এতোসময় মিহুর প্রতি রাগ উঠছিলো কিন্তু এখন মজা লাগছে মেঘ এক ঝলকে মিহুর কোমর জড়িয়ে ধরলো মিহু চোখ বড় বড় করে মেঘের দিকে তাকালো মেঘ হাসিমুখে মিহুর দিকে তাকিয়ে বললো___

মেঘ: কি হয়েছে ডিয়ার আমি তো নিয়েছি আর যা আমার তা তো তোমার ও।

টিচার: সাচ আ নাইস কাপল বি হ্যাপি ?

মেঘ: থ্যাংকস টিচার।

মিহু পারছে না রাগে মেঘের কাঁধে কামড় দিয়ে বসতে তাই পেটে জোরে চিমটি কাটলো মেঘ সাথে সাথে মিহুকে দূর এ সরিয়ে দিলো।

মিহু চোখ রাঙিয়ে মেঘের দিকে তাকিয়ে ধরফরিয়ে চলে গেলো রাগতে রাগতে। মেঘ মিহুর কাহিনী দেখে হাসতে হাসতে পারছে না শুয়ে পড়তে। মনে মনে একটা কথা বললো “এতো ভালো লাগে কেনো মেয়েটাকে?”
।।

নীল চুপ করে বসে রয়েছে রেজাল্ট এর অপেক্ষায় আর নীলা মুখ ফুলিয়ে নীলের পাশে বসে আছে আর ট্যারা চোখে বারবার নীলের দিকে তাকাচ্ছে।

ওদিকে রেজাল্ট জানানো হচ্ছে নীল চিন্তায় মাটিতে আস্তে আস্তে পা ঠুকাতে লাগলো। নীলা ভ্রু কুঁচকে নীলের পায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ নীলা নিজের পায়ের দিকে তাকালো নিজের পা দেখতেই নীলার চোখ কপালে উঠে গেলো।

সাথে সাথে ঘোষনা করা হলো নীল এবং নীলা তৃতীয় হয়েছে নীল একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে নীলার দিকে রাগি চোখে তাকালো দাঁত কামড়ে রাগি কন্ঠে আঙুল তুলে নীলার দিকে তাকিয়ে বললো___

নীল: তোমার জন্য আজ আমি ফার্স্ট পজিশন থেকে থার্ড পজিশন এ।

নীলা: নাচতে না জানলে উঠান বাকা কথায় আছে না? আপনার হচ্ছে সেই দশা নিজে আঁকতে পারেন না দোষ দিচ্ছেন আমার।

নীল: শাট আপ বারবার তোমাকে বলছিলাম নড়াচড়া করতে না আর তুমি? ড্যাম!!

নীলা:ইশশশ যান যান আগে আর্ট শিখে আসেন তারপর ড্রাম বাজাবেন।

নীল: ইউউউউউউউউউ!!!

নীলা: চিকি চিকি ইয়ো ইয়ো!!

নীল: শাট আপ।

নীল নীলার হাতের কব্জি শক্ত করে চেপে ধরে সবার সামনে যেয়ে দাঁড়ালো। নীল এবং নীলা দু’জনকে একটা ট্রফি দেয়া হলো আর একটা চিঠি যেটা লাল ফিতা দিয়ে বাঁধা।

নীলা: ওয়াও আমার লাইফের ফার্স্ট ট্রফি এইটা আমি আমার কাছে রাখবো।

নীল: এঁকেছি আমি কষ্ট করে এঁকেছি ও আমি ডিস্টার্ব করেছো তুমি যার কারণে আজ আমি থার্ড পজিশনে আর ট্রফি নিবে তুমি নেভার‌।

নীলা: আমি লাইফে কোনো কিছু যে পুরস্কার পাই নি প্লিজ আমাকে দিন না।

নীল: মিথ্যা বলো কেনো তোমার রুমে তো পাঁচটা ডান্স ট্রফি আছে।

নীলা: আর্টের তো নেই দেন না।

নীল নীলা এক প্রকার ট্রফি নিয়ে টানাটানি করছে সবাই ওদের দেখে হেসে যাচ্ছে।

মিহির: উহুম উহুম!!! গাই’জ।

নীল এবং নীলা দুজনই মিহিরের উপর চিল্লিয়ে বললো “কাশার জায়গা পান না দেখছেন না ঝগড়া করছি”

নীল নীলা আবার ও দু’জন দু’জনের দিকে তীক্ষ্ণ চোখে তাকালো আর আবার ও টানাটানি করতে লাগলো।

মিহির: স্টপ ইট গাই’জ।

নীলা: ওই চুপ করেনি সব দোষ আপনার দু’টো ট্রফি দিলে কি হতো কি?
‌।
মিহির চুপ হয়ে গেলো নীলা এইবার বুঝতে পারলো কার সাথে কথা বলছে।

নীলা: ইইই সরি স্যার ?

মিহির: ইট’স ওকে!!! সো গাইজ আজকের মতো ক্লাস এখানেই শেষ।

মিহির চলে গেলো মিহিরের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে নীল নীলা কিছু সময় তাকিয়ে থেকে একে অপরের দিকে জোরে জোরে হাসতে শুরু করলো। হঠাৎ ই নীল থেমে গেলো থেমে গেলো নীলা ও।
‌।
নীল: হুম।

নীলা: হুম।

দু’জন দুদিকে ঘুরে গেলো নীলা এবং নীল যে যার যার ব্যাগ নিয়ে বাহিরে বেরিয়ে পরলো আবার ও মুখোমুখি হলো বলে যাচ্ছে দু’জন হাজারো নিরব কথা দু’জন এক পলকে দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে।
‌।
নীল:[আই হেইট ইউ নীলা!! আই হেইট ইউ]

নীলা:[কেনো এমন করছেন আপনি কি করেছি আমি]

নীল:[তুমি একমাত্র মেয়ে যার সাথে আমি এতোটা ক্লোজ হতে পেরেছিলাম যাকে নিজের অজান্তেই হাজারো কথা শেয়ার করে ফেলতাম]

নীলা:[ হয়তো আপনার মিস্টেক হচ্ছে একবার আমাকে খুলে বলুন কি হয়েছে আমি আপনাকে সব বুঝিয়ে দিবো তবুও এইভাবে থাকবেন না আপনাকে যে এইভাবে মানায় না আপনার উপর চঞ্চলতার ছাপ পেয়েছিলাম বলেই আপনাকে এতো ভালো লেগে গিয়েছিলো প্রথম দিনেই]

নীল:[তুমি এমন একটা মেয়ে যাকে দেখলে কেউ বলতেই পারবে না তুমি কতোটা জঘন্য যেমন আমিও বুঝতে পারি নি]

নীলা:[যদি আমাকে খারাপ ভেবে থাকেন আমাকে মুখের উপর বলে দিন আমি সব ঠিক করে নিবো]

নীল:[ভালোবাসতাম তোমাকে]

নীলা: [ভালোবাসি আপনাকে]

দু’জন আবার ও দুদিকে ঘুরে গিয়ে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে হাঁটা শুরু করলো।


।❣ Drama_Queen_vs_Mr_Handsome❣
#Writer_Neela
#Part_18
.
.
মিহু: তুই কি পাগল?

নীলা: কেনো আমি কি করেছি?

মিহু:তোর তো একটু ভাবা দরকার ছিলো নীল হয়তো কোনো কারনে তোকে বুঝছে?

নীলা: কেনো আমি কেনো ভাববো ইভেন বুঝবো ই বা কেনো একটু বলবি? উনি কেনো এমন করছে আমার সাথে শেয়ার করলে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যেতো শুনি।

মিহু: শাট আপ নীলা সবসময় নিজের টা ভাববি না!

নীলা: ওহ রিয়েলি আমি নিজের টা ভাবছি!!! হাহ এট লাস্ট নিজের টা ভাবতে শিখেছি নয়তো তুই ই তো আগে বলতি নিজের টাও একটু ভাবতে শেখ।

মিহু চুপ করে রইলো কিছু বলতে পারলো না ধপাস করে বিছানায় বসে ফোন চালানো যে ধ্যান দিলো নীলা কাঁধের ব্যাগ টা ছুড়ে সোফায় মেরে বিছানায় ধপাস করে মাথায় হাত দিয়ে নিরবে শুয়ে রইলো।

মিহু: নীলা মাথা থেকে হাত নামা?

নীলা: কেনো?

মিহু: মাথায় হাত দিয়ে শোয়া ভালো না।

নীলা: জামাই মরে যায়? তাহলে হাত ই নামাবো না।

মিহু: তোর হাজবেন্ড যে নীল ই হবে এমন তো কোনো শিউরিটি নেই।

নীলা: বিয়ে করলে একজন কেই করবো যেভাবেই হোক না কেন।

নীলা আসাম করে বসে ঠোঁট কামড়ে বসে রইলো আর মাথায় শয়তানি বুদ্ধি ঘুরপাক খাচ্ছে।

নীলা: মিহু ঝান্ডুবাম!!!

মিহু তিক্ষ্ম চোখে নীলার দিকে তাকিয়ে রইলো নীলার মনে হচ্ছে এখনি মিহু সিংহের গর্জন দিয়ে উঠবে যা ভাবা তাই কাজ।

মিহু: আমাকে কোন দিক দিয়ে তোর ঔষধের ডিব্বা লাগে।

নীলা: না মানে বলছি কি তোকে সম্পূর্ণ ই ডিব্বার মতো লাগে?

মিহু: নীলাআআআ

নীলা: আমার দোষ না তুই আমার মতো ডাইট কর এমন বাংলাদেশের শাবনুর থাকবি না আর।

মিহু: আমি মোটেও বাংলাদেশ এর শাবনুর না আমি যথেষ্ট ভালো আছি ওর থেকে নিজেকে একটু আয়নায় দেখ ফু দিলেই উরে যাবে।

নীলা: আমার মতো বলিউড ডাইট চার্ট ফলো করলে তুমিও ফু দিলে উরতা।

মিহু: হুম আমার ইচ্ছা নেই তোর মতো ক্যাটরিনা কাইফ এর বডি নিয়ে ঘুরার।

নীলা: একটু ভেবে দেখ তুই বলিউড এর ফেমাস এক্ট্রেস ক্যাট কে নিয়ে বলছিস যে বলিউড এর বার্বি ডল বলে পরিচিত আর আমি তোকে শাবনুর নিয়ে ডিফারেন্স কিন্তু কিছু নেই দুজনেই কিন্তু ফেমাস একজন ওয়ার্ল্ড এর আর একজন বাংলাদেশের।

মিহু: ????

নীলা: দোস্ত এখন তোকে পূর্ণিমার মতো লাগতিছে তুই কখনো বুড়ি হবি না গ্যারান্টি।

মিহু:ধ্যাত গেলাম আমি।

মানিক: তোর মতো বাঁশ হবে নাকি?

নীলা: ডাম্বোওওওওও??

মানিক: তুমি খুব জলদি বুড়ি হয়ে যাবা টেনশন নিও না।

এই বলেই মানিক দৌড় মানিকের কথা শুনে মিহু হেসে ওর পিছনে দৌড়ে চলে গেলো নীলা ডোন্ট কেয়ার একটা ভাব নিয়ে বিছানায় বসে নানা রকম কাহিনী মাথায় আনতে লাগলো কিভাবে যব্দ করা যাবে নীল কে।?
।।

নীলা খুব জলদি বেরিয়ে গিয়েছে আর্ট ক্লাসের জন্য ১ ঘন্টা ধরে নীলের বাসার সামনে পায়চারি করছে এখন নীলার মনে হচ্ছে নাহ একটু জলদিই এসে পরেছে সে?।

নীলা:[রিলেক্স নীলা প্রেমে পরলে মানুষ কিনা করে নিজের জান দিয়ে দেয় আর তুই তো সামান্য বাসার সামনে দাঁড়িয়ে আছিস?]

নীলা হ্যান্ড ওয়াচ এর দিকে তাকাচ্ছে আর এইদিকে ওদিকে হাঁটছে ? নাহ আর সহ্য করতে পারছে না ব্যাগ থেকে খাতা কলম বের করলো গাছের সাথে খাতা টা শক্ত করে চেপে ধরে লিখতে লাগলো তারপর একটা ইট নিয়ে কাগজ টা মুড়িয়ে একটা বারান্দায় ছুড়ে মারলো।
।।

ইট যেয়ে লাগলো বাসার একজন কেয়ারটেকার এর পায়ে পা ধরে কিছু সময় লাফালো ইট ধরে যেই ফালাতে যাবে দেখলো কাগজ এ লিখা___
“এই যে মিস্টার হ্যান্ডসাম নিচে নামবেন না কতো সময় ধরে অপেক্ষা করছি”

যে কেয়ারটেকার তো খুশিতে এক লাফ মারলো বারান্দার দিকে একটু উঁকি মেরে বাহিরে তাকিয়ে দেখলো একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে পাইচারি করছে দেখতে মাশা আল্লাহ।

টিটু: টিটু তোর তো কপাল খুলে গিয়েছে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে মেয়েরা তোকে রিজেক্ট করছে বিয়ে করবে না বলে এখন একটা মেয়ে নিজেই তোকে চিঠি পাঠিয়েছে বাহ বাহ।

টিটু জলদি নীলের রুমে ঢুকে গেলো কারন তার সোজাসুজি একজনের রুমই পড়ে আর নীলের সব কিছুই তার কাছে বেস্ট লাগে। চোরের মত করে রুমে ঢুকে___

টিটু পুরো শরীরে পারশিউম লাগালো, নীলের নাইট ক্রিম,ডে ক্রিম, সানস্ক্রিম সব লাগালো, টিটু একদিন দেখেছিলো নীল তার দাড়ি ঘন এবং হালকা ব্রাউন দেখানোর জন্য একটা শেডো ইউজ করে সেটাও সে ইউজ করে নিলো নীলের নিউ জেল নিজের চুলে যেই লাগাতে যাবে তখনি নীল ওয়াশরুম থেকে শাওয়ার নিয়ে বেরিয়েছে___

নীল: কি হচ্ছে টিটু সাহেব এইগুলো?

টিটু:ক্ষমা করবেন ছোট সাহেব? মাফ কইরা দিয়েন একটা মাইয়া আজ আমারে চিঠি ফিক্কা ফালাইছে বাহির থেকে ওর লগে দেখা করতে যাইতিছি।

নীল: হাহাহা তাই নাকি তো কি লিখা ছিলো।

টিটু: এই যে মিস্টার হ্যান্ডসাম নিচে নামবেন না কখন থেকে অপেক্ষা করছি

কথাটা বেশ লজ্জাজনক চেহেরা নিয়েই বললো টিটু। নীল মিস্টার হ্যান্ডসাম কথা টা শুনে চমকে গেলো বারান্দায় গিয়ে দাঁড়িয়ে দেখলো নীলা কে তাকে দেখে লম্বা একটা হাসি দিয়ে হাই দিচ্ছে।

নীলা: অবশেষে আপনার দেখা পেলাম [চিল্লিয়ে] নিচে নামবেন না ক্লাসে যাবেন না আজ।

নীল ভাবলো একটু মজা করা যাক সে কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে রুমে ঢুকে গেলো___

নীল: বাহ মেয়ে টা বেশ সুন্দরী আর তোমার সাথে ও অনেক সুন্দর মানাবে দেখে মনে হচ্ছে অনেক সময় ধরে অপেক্ষা করছে জলদি যাও আমি বারান্দায় যাওয়ায় বললো টিটু সাহেব কোথায়।

টিটু তো পারছে না খুশিতে আসমানে উরে যেতে দৌড়ে গেলো নিচে একটু ভাব সাব চেহেরা নিয়ে। নীল বারান্দায় এসে দাঁড়ালো এন্টারটেইন হওয়ার জন্য।

টিটু শার্ট এগুলো ঠিক করতে করতে নীলার সামনে গেলো ৩২ টা দাঁত বের করে হাসলো।

টিটু: আসসালামুয়ালাইকুম।

নীলা দেখেও না দেখার ভান করে দাঁড়িয়ে আছে।

টিটু: এই আমি এসেছি তো।

নীলা: আমাকে বলছেন?

টিটু: জ্বী

নীলা: ওহ ওয়ালাইকুম সালাম!! কোনো দরকার ছিলো?

টিটু: আপনেই তো আমারে ইট ফিক্কা মারলেন না।

নীলা: ওরে গাধা আমি তোর মতো মহিষ কে ডাকতে যাবো কোন দুঃখে শালা বলদ যা এইদিক থেইকা আর কোনোদিন সামনে আসলে এক ঘুশি দিবো নাক গলে পইরা যাবে দেখিস।[ঘুশি দেখিয়ে]

টিটু: আপনে আমারে ডাকেন নাই?

নীলা: ওরে গাধা আমি তোরে ডাকতে কেন যাবো এই মাত্র ও তো বললাম কথা কানে যায় নাই।

টিটু:তো কারে ডাকছেন?[কান্না কান্না চেহেরা নিয়ে]

নীলা বারান্দায় চোখ দিয়ে দেখলো নীল হেসেই যাচ্ছে নীলা ভাব সাব নিয়ে দাঁড়িয়ে বললো___

নীলা: ঐ যে উনারে।
‌।
টিটু:কারে? কেউ ই তো নাই।

নীলা তাকিয়ে দেখলো বারান্দায় কেউ নেই নীলা এইবার খুব ভালো করে বুঝতে পারলো নীল ইচ্ছে করে এমন করছে।

নীলা: কোথা থেকে যে আপনার মতো‌ গাধা দের আন্টি তুলে নিয়ে আসছে।

টিটু: কিইই

নীলা আবারো বললো কিন্তু টিটু শুনতে পারলো না।

নীলা: ওহ মাই মাই আপনি দেখি বয়রা ও আমার থেকে বয়সে কমপক্ষে ১৫ বছর বড় আবার হাইট এও খাটো এই তুই যা যা এইদিক থেইকা আর নীল কে পাঠা।

টিটু: ওওও আপনে নীল স্যারের কাছে আসছেন।

নীলা: আগ্গে জ্বি ভাগ্যেস এই কথাটা শুনছিস নয়তো যে কি করতাম ?

টিটু: কি?

নীলা: কিছু না ??[দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে]
।।

নীলা টিটুর অপর পাশে তাকিয়ে দেখলো নীল আসছে ব্ল্যাক ফিটিং শার্ট, স্কাই কালার জিন্স আর ঘন কালো চুল গুলো ঠান্ডা বাতাসে উরছে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে হেঁটে এইদিকে আসছে।

নীলা: হায়য়য়য়য়

টিটু: কি

নীলা: এই তুই যাবি?

নীল টিটুর কাঁধে হাত দিয়ে ইশারা করে বললো চলে যেতে টিটু ও চলে গেলো নীলা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বললো “এট লাস্ট” আর নীল হেসেই যাচ্ছে।

নীলা: সুন্দর লাগছে।

নীল: কি!

নীলা: বলছিলাম আমাকে সুন্দর লাগছে না?

নীল: জানি না। তুমি এইদিকে কি করো?

নীলা: আপনাকে নিতে এসেছি?

নীল: কেনো আমি একা যেতে পারতাম না।

নীলা: হুম পারতেন কিন্তু দেখুন যেসব কাজ ছেলেদের করার কথা সেইগুলো আমার করতে হচ্ছে।

নীল: তোমাকে এইভাবেই মানায়।

নীলা হেসে দিলো নীল ও হেসে বললো__

নীল: তুমি দাঁড়াও আমি বাইক নিয়ে আসছি।

নীলা: হেঁটে যাই?

নীল: শিওর?

নীলা: অফকোর্স ?।

নীল: বাট আমার একটু জুতার দোকানে যেতে হবে।

নীলা: কেনো?

নীল: ঈশানের জন্য কেটস কিনতে বলেছে ওর আর আমার পায়ের মাপ একই।

নীলা: বাহ অনেক মিল।

নীল: হুম ওর আমার সব কিছুই সেইম দুজনের পছন্দ সবসময় এক হয় তাই আমাদের সব কিছু সেইম। আম্মু মাঝে মাঝে বলে আমাদের জন্য জমজ মেয়ে কোথায় পাবে কারন পছন্দ ও যদি একই মেয়েকে করলাম সেটা ভেবে।

নীলা: বাহ কিন্তু আপনি বেশি ভালো উনার থেকে।

নীল: ঈশানের সাথে মেশো নি আমার থেকে ও বেটার।

নীলা: আপনার মতো বেটার কেউ নেই।

নীল একটু অবাক চোখে নীলার দিকে তাকিয়ে সামনে তাকিয়ে হাটা শুরু করলো। নীলার মাথায় প্ল্যান ঢুকলো নীলের জুতোর বারোটা বাজাবে আজ ?



চলবে,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here