Drama_Queen_VS_Mr_Handsome,Part_19,20

0
1800

Drama_Queen_VS_Mr_Handsome,Part_19,20
Writer_Neela
Part_19
.
.
নীল: হুয়াট রাবিশ? কি করলে কি এইটা।

নীলা: কেনো চোখ নেই দেখতে পাচ্ছেন না আপনার জুতো টা কাটি কাটি করে ফেলেছি।

নীল: ফাজলামো ভালো বাট অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না বেশি বেরো না।

নীলা: বাড়ালাম কই হাইট আমার যতোটুকু ছিলো ততোটুকু ই তো আছে ?

নীল: উউউউউফফফফফ!!!! জুতোর দোকান ও অনেক পিছনে ফেলে এসেছি আর এইদিকে ও কোনো জুতো সিলানোর ও কিছু নেই।

নীলা:হিহিহি ?

নীল: খবরদার হাসবে না স্টুপিড।

নীলা: এই কি বললেন?

নীল সোজা হাটা শুরু করলো নীলা রাগি চোখে যাওয়ার পথে তাকিয়ে আছে নীল হঠাৎ করে পিছন ঘুরে বললো___

নীল:সরি!! মুখ দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে অলওয়েজ ফ্রেন্ডদের সাথে বলায় অভ্যাস।

নীল আবার ও সোজা হাটা শুরু করলো নীলা মুচকি হেসে একটা লাফ দিয়ে দৌড়ে নীলের অনেকটা দূরে গিয়ে একটা গামছা বিছালো তারপর জুতো সিলানোর সব সামগ্ৰী বের করে মাথায় গামছা বেঁধে বসে পরলো।

নীল কিছু দূর সামনে যেতেই থমকে গেলো সে আস্তে আস্তে সামনে যেয়ে তাকিয়ে দেখলো নীলা। নীল অবাক না হয়ে পারলো না চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো হাটু গেরে বসে নীলার দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে রইলো আলগা তিল লাগিয়েছে গালে।

নীলা এক গাল হেসে বললো___

নীলা: শার? জুতা ছিররা গেছে? সিলামু?

নীল:শার??

নীলা: হ শার ইংরেজি টিংরেজি আমারে দিয়া হয় না‌ কন না জুতা কি ছিররা গেছে? সিলাই দিমু!

নীল: না মানে হুম মানে জি ?

নীলা জুতা নিয়ে সিলাতে যেয়ে উল্টো পাল্টা করছে জুতা সিলানোর বদলে আরো নষ্ট করে দিচ্ছে তবুও নীলের কাছে বেশ লাগছে অসাধারণ একটা মেয়ে একে দিয়ে সব হবে। নীল হাঁটু গেড়ে বসে গালে হাত দিয়ে মুচকি হেসে এক ধ্যানে নীলার দিকে তাকিয়ে আছে এক অন্যরকম অনুভুতি অন্যরকম ভালো লাগা সবই যেনো আজ অনুভব করতে পারছে।

নীলা: নিন শার হয়ে গেছে

নীল: এইটা কি শিলিয়েছো?[হাসতে হাসতে]

নীলা:আমি পারি না তো যতোটুকু পেরেছি ততোটুকুই করেছি হুহ নষ্ট হলেও পড়তে হবে।

নীল যেনো হাসি থামাতেই পারছে না হাসতে হাসতে। রাস্তায় বসে পরলো।

নীল: কিন্তু তুমি এতো সামগ্ৰী পেলে কোথায়?

নীলা: আপনি যে শো রুমে ঈশান ভাইয়ার জন্য জুতো কিনতে গেলেন সে শো রুমের বাহিরে ৫ মিনিট হাটলেই একজন জুতো সিলাতে বসে তার থেকে ১ ঘন্টার জন্য নিয়েছি।

নীল: হায় আল্লাহ!! তুমি চাইলে আর দিয়ে দিলো ইন্টারেস্টিং

নীলা: আরে না ১ হাজার টাকা দিয়েছি তো ‌

নীল: কি দরকার ছিলো?

নীলা: দরকার ছিলো না মানে? নয়তো পকেট মারের এক্সপেরিয়েন্স পেতাম নাকি।

নীল: ওয়েট আ সেকেন্ড তারমানে আমার এ
পকেট থেকে এক হাজার টাকা তুমি নিয়েছিলি

নীলা মাথা উপর নিচ উঠিয়ে নামিয়ে হ্যা বোধক বোঝালো। নীল নীলার গাল থেকে তিল টান দিয়ে বললো___

নীল: আর এইটা কই পেলে?

নীলা: কলেজে নাটক দিয়েছিলাম এর পর থেকে আমার ব্যাগেই থাকে।

নীল: তুমি কি সবই পারো।

নীলা: জ্বি আর না পারলেও চেষ্টা করি পারতে তো হবেই তাই না।

নীল: হুম বুঝলাম। মাল্টি টেলেন্টেড।

নীলা: জি আমি জানি কিন্তু সরি এই জুতো আমি পড়তে পারবো না এইটার ট্রেনিং নিতে হবে তোমাকে।

নীলা:???

নীল: এইদিকে দাঁড়াও উবার কল করেছি কিছুক্ষণের মধ্যেই এসে পড়বে।

নীলা: আপনার কাছে টাকা আছে?

নীল: না ভাবছি এইবার পকেট মার টা আমার ও ট্রাই করতে হবে তোমার উপর। কিন্তু তুমি এখন এইসব সামগ্ৰী উনাকে দিবে কিভাবে?

নীলা:???!!! উনাকে বলেছি আর্ট ক্লাস এর সামনে থাকতে উনার নাম্বার ও নিয়ে এসেছি উনিও আমার টা নিয়ে এসেছে।

নীল: কম পারো না!!
।।

নীল এবং নীলা দুজনই গাড়ি থেকে নামতেই অবাক অনেক ভিড় জমে আছে!!! নীল এবং নীলা একে অপরের দিকে অবাক চাহনি তে তাকিয়ে আবার সামনে তাকালো দেখলো একটা মেয়ে ছাদে সুইসাইড করার জন্য দাঁড়িয়ে আছে আর নিরবে চোখের পানি ফেলছে নীলা মেয়েটাকে দেখার সাথে সাথে নীলার শরীর যেনো পুরো বরফ হয়ে গিয়েছে পুরো স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

নীল আর এক মিনিট ও অপেক্ষা করলো না দৌড়ে সবার সাথে চিল্লাতে লাগলো___

নীল: এইদিকে দাঁড়িয়ে কি নাটক করছেন? কিভাবে মেয়েটাকে বাচাবেন তার চিন্তা নেই আপনারা ফেসবুক এ পোস্ট দেওয়ার জন্য কাহিনী টা খুব ভালো করে বুঝে নিচ্ছেন আর আপনি? আপনি ভিডিও করায় ব্যাস্ত কিভাবে একটা মৃত দেহ ভাইরাল করবেন তাই না।

নীল চিল্লাতে চিল্লাতে চলে গেলো মেয়েটা লাফ দিলে যে দিকে পরবে সেদিকে নরম ফমের মতো কিছু রাখলো আর দৌড়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলো দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। নীলের কথা শুনে অনেকেই নীলের সাথে এসেছে মেয়েটাকে বাঁচানোর জন্য। দরজা ধাক্কাতে লাগলো তবুও কোনো কাজ হচ্ছে না কোনো কিছু না ভেবেই দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করে যাচ্ছে নীল কিছু শুনতে পাচ্ছে মেয়েটা চিল্লিয়ে বললো___

মেয়েটা: প্লিজ এই জিনিস টা সরিয়ে দিন আল্লাহর রহমতে সরিয়ে দিন আমি বাঁচতে চাই না প্লিজ সরিয়ে দিন।

নীল দরজা ভাঙ্গার সাথে সাথে মেয়েটা ভীত চোখে নীলের দিকে তাকালো আর সাথে সাথে সামনে তাকিয়ে লাফ দিতে নিলেই নীল এসে মেয়েটার হাতের বাহু ধরে ফেললো।

মেয়েটা: প্লিজ আমাকে ছাড়ুন আমি বাঁচতে চাই না প্লিজ ছাড়ুন।

নীল: চুপ।

মেয়েটা: দেখুন প্লিজ আমাকে ছাড়ুন [চিল্লিয়ে]

নীল সাথে সাথে মেয়েটার গালে চর বসিয়ে দিলো মেয়েটা সেন্সলেস হয়ে পড়লো। প্রতিবেশী মহিলারা এসে মেয়েটাকে ধরিয়ে শুইয়ে দিলো।

নীল: মেয়েটাকে সামলে রাখবেন ঘুম থেকে উঠার পর আবার ও সুইসাইড করতে চেতে পারে তাই বলছি একজন উনাকে পাহাড়া দিয়ে রাখুন।

নীল ঘেমে একাকার আর কারো দিকে না তাকিয়ে নিচে নেমে আসলো নীল নীলার দিকে তাকিয়ে দেখলো নীলা কাঁপছে থরথর করে কাঁপছে।

নীল বেশ বুঝতে পেরেছে এই প্রথম এমন কিছু দেখাতে নীলার শরীর কাঁপছে আর স্তব্ধ হয়ে আছে। নীল নীলার গায়ে আস্তে করে হাত দিয়ে বললো___

নীল: নীলা!!! আর ইউ ওকে!!

নীলা নীলের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়লো পুরো শরীর থরথর করে কাঁপছে সেটা নীল খুব ভালো করে অনুভব করতে পারছে নীলা যেনো কি বলতে চাচ্ছে কিন্তু তা অস্পষ্ট।

নীলা: আমি কিছু করি নি আমি কাউকে খুন করি নি বিশ্বাস করো নীল উনারা আমাকে মেরে ফেলবে!! উনারা আমাকে মেরে ফেলবে আমি কিছু করি নি বিশ্বাস করো আমি কিছু করি নি ওরা আমাকে মেরে ফেলবে ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।

চিল্লিয়ে কাঁদছে নীলা নীলের শার্ট শক্ত করে মুঠ করে চেপে ধরে চিল্লিয়ে কাঁদছে নীল বুঝতে পারছে নীলার অতীত টা হয়তো ভয়ংকর কিন্তু কি কারনে সেটা বুঝে উঠতে পারছে না নীল। নীল নীলার চেহেরার দিকে তাকালো পাগলের মতো করছে চুল টানছে হাত কামড়াচ্ছে আর চিল্লিয়ে কাঁদছে।

নীল: নীলা!!! কি হয়েছে তোমার? কি হয়েছে?[ চিল্লিয়ে]

নীলা আবার স্তব্ধ হয়ে গেলো আশে পাশে তাকালো সব কিছু দেখলো আবার কেঁদে উঠলো___

নীলা: ওরা আমার দিকে তাকিয়ে আছে!!! তুমি তো আমাকে বিশ্বাস করো বলো সত্যি আমি কিছু করি নি বিশ্বাস করো আমি কিছু করি নি আমি কিছু করি নি।

নীলা আস্তে আস্তে হেঁটে একটা রিকশা দাড় করিয়ে সেটাতে উঠে চলে গেলো নীল অবাক চোখে তাকিয়ে আছে নীলার দিকে।

নীল:[নাহ!!! তার মানে ওর হাসি খুশি টাই ওর সব কিছু না এর মধ্যেও লুকিয়ে আছে অজস্র রহস্য যা আমাকে জানতেই হবে]



চলবে,,,,,,

❣Drama_Queen_VS_Mr_Handsome ❣
#Writer_Neela
#Part_20
.
.
মিহু: খালামনিইইইইইইই দেখো নীলার যেনো কি হয়েছে?

নীলার হাত মিহুর ঘাড়ে নীলাকে মিহু নিয়ে ঘরে ঢুকলো সাথে সাথে পিছনে পিছনে নীল দৌড়ে আসলো নীল কে দেখে মিহু চমকে উঠলো___

মিহু: নীল তুমি?

নীল: ভাবি আমি নীলার সাথেই ছিলাম

মিহু: আচ্ছা ঠিক আছে তুমি বসো আমি নীলাকে শুইয়ে দিয়ে আসছি।

নীল: না ভাবি।

নীল নীলার হাত টা মিহুর কাধ থেকে সরিয়ে নীলাকে কোলে তুলে নিলো নীল নীলার চেহেরার দিক তাকালো। “মেয়েটা একটু আগেও ঠিক ছিলো এখন কিভাবে অচেতন হয়ে পড়ে আছে পুরো চেহেরা হালকা লাল রঙের আবরন ফুটে উঠেছে সবচেয়ে বেশি ওর নাক টা ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করছে কিন্তু না এখন সেটা সম্ভব না আন্টি আর মিহু আমাকে ই দেখছে কিন্তু মন তো মানছে না নীলাকে শুইয়ে দিয়ে ওর কপাল আর নাক টা হালকা ছুয়ে দিলাম মনে হলো কোনো কারেন্টের তার আমাকে ছুঁয়ে দিয়েছে”।

আম্মু: কি হয়েছে নীল বলবে?

নীল:আন্টি এখানে কথা বলা ঠিক হবে না আগে একটা কাজ করতে হবে।

মিহু: কি কাজ।

নীল: হালকা কুসুম গরম পানি,লেবু আর লবনের সরবত নিয়ে আসো ভাবি এইটা স্যালাইনের থেকে ও ভালো কাজ করে।

মিহু: ঠিক আছে

মিহু দৌড়ে চলে গেলো নীল খেয়াল করলো নীলার আম্মু অনেক ভীরু চোখে নীলার দিকে তাকিয়ে আছে নীল এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে নীলার আম্মুর দিকে আর নীলার আম্মু নীলার দিকে তারপরই এক দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে রুমে চলে গেলেন।

নীল উঁকি দিয়ে দেখলো কেউ কি আসছে কি-না। দেখলো কেউ আসছে না নীলার পাশে বসে আলতো করে কপালে চুমু খেলো তারপর নাকে চুমু খেলো। নীল স্বাভাবিকভাবে উঠে বসতেই অবাক হয়ে পড়লো নীলা অচেতন অবস্থায় ও কাঁদছে।

নীলের মাথাটা ঝিম মেরে গেলো কিছু বুঝতে পারছে না। হঠাৎ ই কারো আওয়াজ এ পিছু ফিরলো নীল।

মিহু: কি অবাক হচ্ছো? আমিও অবাক হতাম তোমার জায়গায় থাকলে কিন্তু তুমি অনেক সাহসী‌।

মিহুর হাতে সরবতের গ্লাস হাঁটতে হাঁটতে নীলার পাশে যেয়ে বসলো একটা চামচ নিয়ে আস্তে আস্তে নীলার মুখে দিয়ে খাওয়াতে লাগলো।

নীল: বলছিলাম ডক্টর…

মিহু: তার দরকার নেই ওকে ৩ বছর ডক্টর ছাড়া আমরা ই সামলিয়েছি বলবো না যে ডক্টর এর কোনো হাত ছিলো না এর মধ্যে কিন্তু যা করার আমরাই করেছি।

নীল: ওহ।

মিহু: নীলা অনেক সুন্দর তাই না।

নীল অবাক হয়ে মিহুর দিকে তাকিয়ে তারপর নীলার দিকে তাকিয়ে আনমনে বলে উঠলো “হ্যা”। মিহু হালকা হাসলো নীল বুঝতে পারছে না কিসের ৩ বছর আর এতো সিরিয়াস মোমেন্ট এ মিহু কিভাবে হাসছে।

মিহু: আমাদের দেশে সুন্দর হওয়াটা সত্যিই অনেক দোষের জানো নীল!! আর যদি হয় সুন্দরী মেয়েদের চোখে কাজল আর ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক দিয়ে বের হওয়া তাহলে তো কোনো কথা ই নেই। আগে আমিও অনেক সাজতাম এবং নীলা ও।

নীল: তাহলে!! তুমি সাজো না কেনো নীলা তো এখনো সাজে।

মিহু: অদ্ভুত আমি!! কাহিনী নীলার সাথে হয়েছে নীলা ঠিকই নিজেকে স্ট্রং বানিয়ে আগের মতো করেই ঘুরে বেড়াচ্ছে আর আমাকে দেখো।

নীল: মাইন্ড করবে না প্লিজ আমাকে কি বলা যাবে কাহিনী টা।

মিহু: অবশ্যই যেহেতু নীলা তোমাকে লাইফ পার্টনার বানাতে রাজি আমার বলতেই বা কিসের দোষ।

নীল: মানে?

মিহু: জানি তুমি কিছু জানো না কিন্তু নীলা তোমাকে সত্যিই ভালোবাসে এই প্রথম দেখেছি ওর কোনো ছেলের প্রতি এতো এট্রাকশন।

নীল: কিন্তু ও আমার থেকেও তোমাকে বেশি ভালোবাসে ‌

মিহু: সেটা জানা কথা আচ্ছা এইসব বাদ দাও শুনো তাহলো।

নীল: হুম বলো!!

মিহু: নীলা হয়তো তখন ইন্টার ফার্স্ট এর ফাইনাল এক্সাম দিচ্ছে ফাইনাল এক্সাম দিচ্ছে নাকি ক্লাস টেস্ট দিচ্ছে সেটা ওকে দেখে বোঝা মুশকিল আমরা দুজন তো একই ক্লাসের একদিকে আমি ঘুমিয়ে না ঘুমিয়ে পড়ছি আরেকদিকে ও নেচে নেচে পাড় করছে তার দিন। তখন আমরা নারায়ণগঞ্জ এর মানুষ ?[হেসে দিয়ে]

আম্মু: নীলাআআআআ তুই কি পড়তে বসবি না।

নীলা: ওয়েট আম্মু বসবো তো তার আগে দাঁড়াও আমি আদিবার সাথে দেখা করে আসি।

আম্মু: আবার আদিবা কেনো?

নীলা: আরে একটা ম্যাথ বুঝি না তাই যাচ্ছি।

আম্মু: তাহলে মিহুর থেকে বুঝ।

নীলা: মিহুকে বলেছিলাম ঐ ও পারে না।

নীলা চুল বাঁধতে বাঁধতে মিহুর দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ মিহু কফি খাচ্ছে আর চোখ রাঙিয়ে তাকিয়ে আছে নীলার দিকে। নীলা কান ধরে দু’বার উঠবস করে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে যেই বের হতে যাবে।

মিহু: হঠাৎ কেনো যাচ্ছিস বলবি তো।

নীলা: আরে আমি নিজেই জানি না বললো যেতে।

আম্মু: আজ যেতে হবে না অংক বুঝতে হবে না যে অংক বুঝিস না সেটা বাদ দিয়ে করিস।

নীলা: আরে আম্মু সেটা আসবেই আসবে আর সেটা দিতে না পারলে নির্ঘাত ফেইল।

মিহু আবার চোখ রাঙিয়ে তাকালো নীলার দিক নীলা মুচকি হাসলো।

মিহু: কি দরকার?

নীলা: সেটাই তো বললো যে দরকার।

মিহু: আচ্ছা সাবধানে যাস।

আম্মু: বললাম না যেতে হবে না আজ। কাল যাইস কাল তোর পরীক্ষা এমনিতেই ও নেই।

নীলা: আজ বুঝে আসি কাল বারবার করবো।

বলেই নীলা দৌড়ে পালালো আম্মু নীলার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো আর বলতে লাগলো___

আম্মু: রং ঢং বুঝি না যে মেয়ে বাংলা বুঝতে আসে ওর কাছে সে মেয়ে অংক পারে আর ওকে বুঝাবে।

মিহু হাসতে লাগলো আম্মু চিল্লিয়ে মিহুকে বললো ” এই হাসবি না পড়” মিহু ঢোক গিলে খাতায় দাগ টানতে লাগলো।
।।

নীলা: বান্ধুবীঈঈঈঈঈ মে আ গায়া।

আদিবা:ওহ তুই আসছিস।

নীলা: তুই ডাকছিস আর আমি আসবো না এমন কখনো হয়েছে।

আদিবা: একদম না ?

নীলা:আচ্ছা শোন বল কি দরকার ছিলো কোনো দরকার।

আদিবা: হুম কিন্তু আমার না।

নীলা: তো কার বাই দা ওয়ে বাসায় কেউ নেই?

আদিবা: না ভাইয়া আছে। আর ভাইয়া ই তোকে ডেকেছে।

নীলা:তোর ভাই আমাকে কেনো ডেকেছে?[ভিত হাসার চেষ্টা করে]

আদিবা: ভাইয়া তোকে অনেক দিন ধরেই কিছু বলবে ভাবছিলো কিন্তু বলে উঠতে পারে নি।

নীলা: আচ্ছা ভাইয়া কে বলিস কাল আমার সাথে দেখা করতে আমি এখন যাই।

নীলা বেরিয়ে যেতে নিবে সাথে সাথে আদিবার ভাইয়া এসে নীলার সামনে এসে দাঁড়ালো।

নীলা: আরে ভাইয়া আপনি!!

ভাইয়া: ভাইয়া কিসের দীপ বলো।

নীলা: সরি কেনো?

‌দীপ: বি’কজ তোমাকে আমি ভালোবাসি আর বিয়ে করলে তো তোমাকেই করবো তো আমরা ফিউচার হাসবেন্ড ওয়াইফ না?

নীলা:আজিব তো!! আমি কখন বলেছি আপনাকে আমি আমার জীবন সঙ্গী হিসেবে মেনে নিয়েছি।

দীপ: কেনো আমাকে মেনে নিতে পারবে না কেনো?

আদিবা:কেনো পারবি না আমার ভাইয়া এলাকার টপ ক্রাশ সব মেয়েরা তাকে পছন্দ করে আর তোর সাথে ভাইয়া কে অনেক মানাবে।

নীলা: দেখ আমি তো বললাম তোকে আর শুনুন আপনাকে ও বলছি আমার সামনে থেকে সরে যান।

দীপ: দেখো বেশি বাড়াবাড়ি করবে না ভালো হবে না বলে দিচ্ছি।

নীলা:আচ্ছা আমি তো আপনাকে বলছি কাল কোথাও যেয়ে আমরা কথা বলবো।

দীপ: আমি আজ ই বলবো।

নীলা: ঠিক আছে তাহলে আমার সময় লাগবে।

দীপ: সত্যি তো!!

নীলা: জ জী।

দীপ সরে গেলো নীলা কাঁধে ব্যাগ টা নিয়ে চলে যেতে নিলেই দীপ নীলার হাত ধরে ফেলে।

দীপ: আদিবা তুই যা আমার ওর সাথে কিছু কথা আছে।

আদিবা কিছু বললো না নীলা এতো সময় ভয় নিয়ে সাহস করে কথা বললেও এখন পারছে না।

দীপ: উত্তর দাও আমার।

নীলা: বললাম তো সময় লাগবে ‌

দীপ: কতো সময় লাগবে ১ ঘন্টা ২ ঘন্টা ৩ ঘন্টা যতো সময় ই লাগুক না কেনো আমার সামনে বসে থাকো।

দীপ নীলার হাত ধরে টেনে বিছানায় বসিয়ে দিলো তার পাশে দীপ বসে এক ধ্যানে নীলার দিকে তাকিয়ে রইলো নীলা ভয়ে এইদিক ওদিক তাকাচ্ছে।



চলবে,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here