Drama_Queen_VS_Mr_Handsome,Part_3,4

0
2064

Drama_Queen_VS_Mr_Handsome,Part_3,4
Writer_Neela
Part_3
.
.
বাড়ির সবাই একে অপরের দিকে তাকিয়ে একটা শান্তির নিঃশ্বাস ফেললো। মিসেস শাহানা মুচকি হেসে নীলার দিকে এগোতে লাগলো হঠাৎ সবাইকে অবাক করে দিয়ে মিসেস শাহানা নীলার পিছনে যেয়ে মিহু কে বালা পড়িয়ে দিলো।

মিসেস শাহানা: আমি আমার ছেলের জন্য মেয়ে পছন্দ করে ফেলেছি মিহু ই হচ্ছে আমার এক মাত্র ছেলের হবু পুত্রবধূ।

মিহু: আন্টি আপনি এইসব কি বলছেন।

মিসেস শাহানা: আমি যা বলছি একদম ঠিক বলছি আমার ছেলের ওয়াইফ যদি কেউ হয়ে থাকে তাহলে সেটা মিহু আর কেউ না।

মিসেস শাহানা হাত জোর করে আম্মুর সামনে দাঁড়ালো___

মিসেস শাহানা: আমি অত্যন্ত দুঃখিত আমি জানি আমি যে কাজটা করেছি মোটেও ঠিক করি নি কিন্তু সত্যি বলতে নীলা আমার ছেলে মেঘের জন্য পারফেক্ট না আমার ছেলের জন্য পারফেক্ট এক মাত্র মিহু।

নীলা চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে নীলা যেনো পুরো স্তব্ধ হয়ে আছে আজ পর্যন্ত যতোগুলো পাত্র পক্ষ নীলাকে দেখতে এসেছে তারা কেউ নীলা কে ফিরিয়ে দেয় নি এমনকি অত্যন্ত পছন্দ করেছে সেটা নিয়ে কোনো আফসোস নীলার নেই কিন্তু যাকে সে পছন্দ করে তার সাথে কিভাবে মিহু কে সহ্য করবে।

আম্মু: হাত জোর করতে হবে না মিহু ও আমার মেয়ে আর নীলা ও যাকেই আপনারা পছন্দ করেন না কেনো সেটা তো সম্পূর্ণ আপনাদের মত।

মিসেস শাহানা হেসে দিয়ে আম্মু কে জড়িয়ে ধরলো। আম্মু একটা দেখানো হাসি হেসে মিসেস শাহানা কেও জড়িয়ে ধরলো আম্মুর নজর টা নীলার দিকে নীলার চোখে হালকা বিন্দু বিন্দু জল দেখা যাচ্ছে। আম্মুর বুকের মধ্যে হঠাৎ চিনচিন ব্যাথা অনুভব হতে থাকলো আজ অনেক বছর পর মেয়েকে কাঁদতে দেখছে।

নীলা দৌড়ে উপরে চলে গেলো মানিক যেনো থমকে দাঁড়িয়ে আছে আর মিহু? সে তো নিস্তব্ধ হয়ে আছে কারো কোনো কথা ই যেনো তার কানে লাগছে না।

মিসেস শাহানা: আপনি যদি কিছু মনে না করেন তাহলে আমি একটা কথা বলতে পারি।

আম্মু: জি বলুন।

মিসেস শাহানা: আমি চাচ্ছিলাম মিহু আর মেঘ যেনো একটু কথা বলে আলাদা ভাবে।

আম্মু: আমার কোনো আপত্তি নেই। মানিক ওদের একটু ছাদে নিয়ে যা তো।

মানিক: ঠিক আছে। নীল ভাইয়া তুমি ও চলো।

নীল: আমি?

আম্মু:হ্যা হ্যা নীল তুমি একা কি করবে তুমি ও যাও ভালো লাগবে।

ওহ আপনাদের তো একটা কথা বলতে ভুলেই গিয়েছে এতোটুকু সময়ে নীল আর মানিকের খুব ভালো ভাব জমেছে।

৪ জন মিলে চলে গেলো ছাদে। মেঘ আর মিহু ছাদের এক কোনায় দাঁড়িয়ে রাতের বাতাস অনুভব করছে বললে ভুল হবে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে মেঘ চুপ করে আর মিহু চাপা কষ্ট বুকে নিয়ে শক্ত করে দাঁড়িয়ে আছে। নীল আশেপাশে ছাদে ঘুরতেই দেখতে পেলো নীলাকে।

নীল: আচ্ছা মানিক তুমি এই ভিডিও গেইমস টা খেলো ততোক্ষণে আমি আসছি।

মানিক: কেনো কই যাও।

নীল: তোমার বোনের হয়তো অনেক মন খারাপ।

মানিক: এই না না না এখন যাবেন না কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে ‌

নীল: কেনো? কি হয়েছে।

মানিক: ও একটা পাগল তুমি গেলেই দেখবে তোমার মাথায় একটা চুল ও নেই।

নীল: বাহ আমি এমনিতেই ও অনেক দিন ধরে চুল কাটতে চাচ্ছিলাম সেই হিসেবে ভালোই হয় কি বলো সেলুন এ টাকা ও গেলো না ‌

মানিক ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে নীলের দিকে তাকিয়ে রইলো নীল মুচকি হেসে মানিকের চুল আল্লিয়ে দিয়ে নীলার কাছে পা টিপে টিপে গেলো।

নীল: উহুম উহুম।

নীলা: দেখ মানিক ফাজলামো করিস না ভালো লাগছে না।

নীল: উহুম উহুম আমি মানিক না আমি নীল‌।

নীলা: নীল নামের আমার কোনো ভাই নেই আর আপনি নীল কালো সাদা যেকোনো ভুতই হন‌ না কেনো আমি ভয় পাই না।

নীল: এই মেয়ে তাকাবে তো।

নীলা পিছন ঘুরতেই এতো বড় শকড খেলো মনে হলো ওর মধ্যে ঝটকা দিয়ে উঠলো আর সেই ঝটকায় নীলা ছাদের রেলিংয়ের এর সাথে বেজে পরে যেতে নিলেই নীলা নীলা শার্ট ধরে নিজেই নীলের কাছে চলে যায়।

নীল: হায় আল্লাহ!!! পরে যেতে নিলে ধরবো কি তুমি নিজেই ধরে নিয়েছো।

নীলার হুস ফিরে উঠে এক ধাক্কায় নীল কে সরিয়ে দেয় ‌।

নীলা: আপনি!! আপনি এইদিকে কেনো এসেছেন?

নীল: তো কি করবো একা একা বোরিং লাগছিলো তাই তোমার কাছে বিনোদন পেতে চলে আসলাম। বাই দা ওয়ে তুমি কিন্তু অনেক সুন্দর বিনোদন দাও আই লাইক ইট।

নীলা: লজ্জা করে না আমার বোনের সাথে আপনার বিয়ে ঠিক হয়েছে আর আপনি এইদিকে আমার সাথে ফাজলামো করছেন।

নীল: আরে আরে আমি মেঘ না। মেঘ তো আমার বড় ভাই মানে কাজিন চাচাতো ভাই আমরা।

নীলা: তার মানে আপনার জন্য আমাকে দেখতে আসে নি?

নীল: জি না আমার ভাই এর জন্য।

নীলা: ঐ যে ঐ ভাইটা যার কপাল সোজা ই হয় না সবসময় কুচকিয়ে রাখে।

নীল: আল্লাহ হ্যা।

নীলা: এই আপনি আমাকে আগে বলবেন না আমি শুধু শুধু কষ্ট পেলাম।

নীল: তুমি কেনো কষ্ট পেয়েছো।

নীলা: জানি না। মিহু আর মেঘ ভাইয়া কোথায়?

নীল: ছাদের ঐ কর্নার এ

নীলা: চলুন না দেখে আসি।

নীল: না পার্সোনাল কথা শুনতে যাবো কেনো।

নীলা: আরে আসুন তো এইসব কথা তো একসময় আমরা ও‌‌ বলবো আগে থেকে জেনে রাখা ভালো না কি কি কথা বলতে হয়।

নীল: মানে?

নীলা: উফফফ আপনি তো অনেক বোকা থাক পরে বুঝিয়ে দিবো।

নীল: আচ্ছা।

নীলা: উফফফ এখন চলুন তো।

মিহু: আপনার মা কাজটা মোটেও ঠিক করেনি সরি টু সে বাট উনার এই কাজ টা করা ঠিক হয় নি।

মেঘ: এক্সকিউজ মি!!! আমার মা কি করেছে?

মিহু: কেনো আপনি দেখেন ‌নি নিচে?

মেঘ: সরি বাট আমি দেখি নি।

মিহু: হুয়াট? লাইক রিয়েলি আপনি ওদিকে কি করছিলেন।

মেঘ: অফিসের কাজ। সত্যি বলতে তোমাদের ঘরে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিলো ছিঃ অতোটুকু ঘরে কেউ থাকে? তাও আবার ঐটা ডাইনিং রুম অতোটুকু তো আমার বেডরুম ও না।

মিহু: দেখুন মুখ সামনে কথা বলুন যথেষ্ট ‌বড় রুম আমাদের।

মেঘ: রাইট খেলনা ঘর।

মিহু: মাইন্ড ইউর ল্যাংগুয়েজ মিস্টার।

মেঘ: হেই জাস্ট শাট আপ।

মেঘ মিহুর হাতের বাহু শক্ত করে চেপে ধরে রেলিং এর সাথে হেলান দেওয়ালো রক্ত মাখা চোখ নিয়ে বললো___

মেঘ: লিসেন!! আমার তোমাকে মোটেও পছন্দ হয়নি ব্যাকডেটেড মেয়ে কাকে বলে সেটা তোমাকে দিয়ে উদাহরণ হিসেবে দেওয়া দরকার তবুও আমার তোমাকে বিয়ে করতে হবে আমি বাধ্য কারন আমার মা বলেছে আরেকটা কথা কখনো তুমি আমার সাথে বউ এর মতো করে আচরণ টা ও করবে না মাইন্ড ইট।

মিহুর চোখে পানি টলটল করছে একে তো হাতের ব্যাথায় আরেকটা মেঘের এইসব কথা শুনে।

মিহু: তাহলে আমি যেয়ে বলে দেই আমি এই বিয়েটা করতে পারবো না ‌

মেঘ: নিজের বোনের ভালো চাইলে তোমাকে এই বিয়েতে রাজি হতেই হবে।

মিহু মেঘের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে ‌নিয়ে চলে যেতে নিলেও মেঘের কথায় যেনো তার পা থমকে যায়।

মিহু: দেখুন আপনি আমার বোনের কিছু করতে পারবেন না।

মেঘ: সেটা তো সময় বলবে। নিচে যেয়ে বলবে তুমি রাজি।

মিহু আর কিছু বলতে‌ পারলো না। নীলা আর নীল দূর থেকে ওদের লক্ষ্য করে নীলের দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো___

নীলা: আচ্ছা ওরা কি এক্স?

নীল: মানে?

নীলা: এক্স না হলে এইভাবে কেনো কথা বললো।

নীল: এইভাবে কথা বললেই কি এক্স হয়ে যাবে নাকি।

নীলা: আপনি মানেন আর না মানেন আমি তো বুঝেই গিয়েছি ওরা এক্স।

নীল: যার ব্রেইন যেমন। আচ্ছা তুমি কি সবসময় এইগুলো ‌নিয়েই ঘাঁটাঘাঁটি করো।

নীলা: পিএইচডি চিনেন হিহিহি পিএইচডি করেছি বান্ধবীদের টা দেখতে দেখতে।

নীল: ইশশশ মিথ্যুক এমন ভাবে বলছো মনে হয় তুমি কখনো রিলেশন এ যাও নি।

নীলা: আমি তো শুধু ক্রাশের উপর ক্রাশ খেতাম আর সে ক্রাশ গুলোই এসে প্রোপোজ করতো আমি ভাব দেখিয়ে না বলে দিতাম পরে‌ পচতাতাম।

নীল: না কেনো করতে আর পরে কেনো পচতাতে?

নীলা: না করতাম কারন যাদের উপর পুরো এলাকার সুন্দরী মেয়েরাও ক্রাশ সে আমাকে এসে প্রোপোজ করছে তাহলে তাকে কেনো আমি পাত্তা দিবো।

নীল: তারমানে তুমি যেয়ে প্রোপোজ করবে।

নীলা: নেভার হাহ! গলায় ছুরি দিয়ে বিয়ে করবো।

কথা টা বলেই নীলা নীলকে দিলো এক চোখটিপ। নীল সাথে সাথে এক ঢোক গিললো।

নীলা: হিহিহি চলুন নিচে যাই।


।❣Drama_Queen_VS_Mr_Handsome❣
#Writer_Neela
#Part_4
.
.
মিসেস শাহানা আম্মুর সাথে কথা বলে হাসি মুখে কুশল বিনিময় করলো আর একটা প্লেট থেকে একটা মিষ্টি উঠিয়ে খাইয়ে দিলো আম্মু কে। এখন তাদের যাওয়ার সময়। নীল চুপ করে দাঁড়িয়ে মানিকের পাশে দাঁড়িয়ে হেসে হেসে কথা বলছে বলতে গেলে দুজন মিলে দুষ্টুমি করছে। হঠাৎ নীলা আস্তে আস্তে হেটে মানিকের পাশে যেয়ে দাড়ালো___

মানিক: কি হয়েছে তুমি এইদিকে দাঁড়িয়ে আছো কেনো?

নীলা: একটু শর নীল ভাইয়ার সাথে কথা আছে।

মানিক: পরে বইলো এখন আমি বলতিছি।

নীলা:তুই কি যাবি [চোখ রাঙিয়ে]

মানিক: আরে আরে যাচ্ছি তো এমন করো কেনো।

মানিক চলে গেলো নীল এতোক্ষণ নীলার কথাগুলো শুনে শুধু মুচকি হাসি দিয়েছে। নীলা নীলের সাথে দাঁড়িয়ে__

নীলা: উহুম উহুম।

নীল: কিছু বলবে?

নীলা: মিস্টার হ্যান্ডসাম।

নীল: ইয়েস।

নীলা: আবার কবে কথা হবে?

নীল: আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে খুব জলদি হবে কারন এখন তো তোমাদের পরিবার আমাদের পরিবারের রিলেটিভ।

নীলা: তার মানে শুধু মিট হলেই কথা হবে আর হবে না?

নীল: কোনো ওয়ে দেখছি না।

নীলা: ওয়ে না দেখার কি হলো এখন তো মডার্ন যুখ তাই না অনেক ধরনের ওয়ে ই আছে একটু ভেবে দেখুন প্লিজ।

নীল: উফফ না ওয়ে নেই। আর তুমি তো পিচ্চি মেয়ে ফেসবুক আইডি আছে বলে মনে হয় না।

নীলা: আছে তো।

নীল: কি আছে?

নীলা: কেনো ফেসবুক আইডি।

নীল: ও আচ্ছা তোমার ফেসবুক আইডি আছে।

নীলা কাঁদো কাঁদো কন্ঠ নিয়ে বললো “হুম”। উনি কি বুঝতে পারছে না আমি আমার নাম্বার উনাকে দিতে চাচ্ছি উনার নাম্বার নিতে চাচ্ছি উফফ ফেসবুক আইডি টাও দিচ্ছে না।

নীল এইদিকে শুধু মিটমিট করে হাসছে নীলা কে এমন ভাবে রাগাতে তার বেশ লাগছে। নীল ইচ্ছে করে নীলার সাথে এমন করছে ভেবেছিলো হালকা রিয়েকশন দিবে কিন্তু না যা ভেবেছিলো তার বেশি রিয়েকশন দিয়ে ফেলেছে।

নীলা: আমি না বাচ্চা না। আমার না ফেসবুক,ইনস্টা,টুইটার,হোয়াট”‘স আপ, স্ন্যাপচ্যাট সব আছে।

নীল: ওহ আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম আজকাল কার বাচ্চারা একটু বেশি আপডেট।

নীলা: উফফ ভালো লাগে না।

নীল: কেনো? কি এমন হলো যে ভালো লাগছে না।

নীলা মনে মনে নীলের কথার উত্তর দিলো__ আমি একটু বেশি কথা বলি আমি জানি কিন্তু সেটা শুধুমাত্র দুষ্টুমির ক্ষেত্রে অন্যকোনো কিছুর ক্ষেত্রে নয় ? আমি এখন কিভাবে বলবো উনার নাম্বার টা আমার চাই কতোবার বলতে যেয়েও কথাটি মুখে আটকিয়ে গিয়েছে আচ্ছা উনি কি আমার সাথে মজা করছে? ইচ্ছে করে বুঝেও না বোঝার ভান করছে?

মিসেস শাহানা: চলো মেঘ‌। নীল

নীল: জ্বী?

মিসেস শাহানা: তুমি কি থাকবে?

নীল: না

মিসেস শাহানা: তাহলে দাঁড়িয়ে আছো কেনো চলো।

মিসেস শাহানা মেঘের সাথে বেরিয়ে গেলো। নীল সবাই কে টাটা দিয়ে বেরোতে নিলেই নীলা বললো__

নীলা: আমি আপনাকে দেখে নিবো?

নীল: কেনো এখন দেখতে পাচ্ছো না? আমি কি অদৃশ্য নাকি।

নীলা: উউউউউফফফফফ

নীলা বোম ব্রাস্ট হয়ে রেগে ধুমধাম করে সিঁড়ি তে উঠতে লাগলো নীল যাওয়ার সময় একটা উঁকি দিলো মেয়েটির কান্ড দেখে হাসতে হাসতে বেরিয়ে গেলো।

গাড়িটি নিরব ভাবে চলছে রাস্তা ও পুরো খালি সব কিছু যেনো নিরবতা পালন করছে সবকিছু নিরবতা পালন করলেও মিসেস শাহানার মন নিরবতা পালন করছে না মনে মনে সে অনেক কিছু ভাবছে “নীলা!!মেয়েটা অদ্ভুত। মিহু!! মেয়েটা সুশীল। কিন্তু নীলা যদি আমার ঘরের বউ হয়ে আসতো আমি আমার সিংহাসনে বেশি দিন রাজ করতে পারতাম না। নীলা কে দেখে যতোটুকু মনে হলো মেয়েটি সবার মন খুব জলদিই জয় করে নেয় আর নীলের মা ঘরের বড় বউ প্রচন্ড হাসি খুশি একজন মানুষ কিন্তু নীলের মা কে আমি বেশি একটা সহ্য করতে পারি না তাই তো মেঘ কে আগে জন্ম দেই বাড়িটার বেশি সম্পত্তি মেঘের নামেই থাকে মেঘের হওয়ার পর ৪-৫ বছর পর নীল এসেছে নীল আসার পর থেকে মেঘকে উনারা একটু দুরে সরিয়ে দিলো নীল ছোট বলে নীলের সাথে বেশি লাফালাফি করতো ঘরের মানুষ কিন্তু আমি যা চেয়েছি তাই পেয়েছি বাড়ির বেশি অংশ যায়গা ই মেঘের নামে। আর নীলাকে মেনে না নেওয়ার একটা ই কারন দেখেই মনে হয়েছে ভবিষ্যতে অনেক বড় গোয়েন্দা হতে পারবে জানার আগ্ৰহ টা যেনো ওর মধ্যে অনেক আর এইভাবে আমার সমস্ত প্ল্যান মাটিতে মিশিয়ে দিতো মিহুকে মানার কারন মেয়েটা বেশি একটা প্রতিবাদি না আমার কথার সাথে পাল্টা জবাব সে কখনো দিবে না”।

মেঘ: আম্মিইইইইই!!

মিসেস শাহানা চমকে উঠে মেঘের দিকে তাকায়। মেঘ ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো__

মেঘ: কি ভাবছিলে তুমি?
‌।
মিসেস শাহানা: কিছু না।

নীল: চাচি তুমি জানো তোমাকে কতোসময় ধরে ডাকছিলো মেঘ ভাইয়া।

মিসেস শাহানা নীলের দিকে চোখ রাঙিয়ে তাকায় নীল কিছু বললো না চুপ করে রইলো মেঘের দিকে মুচকি হেসে মেঘকে বললো__

মিসেস শাহানা: তোর বিয়ে নিয়ে ভাবছিলাম কোনটাতে করলে ভালো হবে কিভাবে করলে ভালো হবে। শোন মেঘ আমরা বেশি একটা দেরি করবো না খুব জলদি তোর আর মিহুর এংগেজ করিয়ে দিবো।

মেঘ: এজ ইউর উইশ আম্মি।

নীল: চাচি অনেক মজা হবে তাই না।

মিসেস শাহানা: হুম অনেক মজা হবে। [কিন্তু নীলাকে কোনো মতেই আমি এই বিয়েতে এটেন্ড থাকতে দিবো না কিছু একটা করতেই হবে]

মেঘ মুচকি হেসে মায়ের দিক তাকালো “তোমার জন্য আমি সব পারবো নিজের ভালোবাসা কে ছেড়ে একটা ব্যাকডেটেড মেয়ে কেও বিয়ে করতে রাজি হলাম। আই মিস ইউ নেহা”
।।

মিহু আস্তে আস্তে নীলার সামনে যেয়ে রীতিমত কাঁপতে লাগলো প্রচন্ড খারাপ লাগছে যখন মিহু রেগে যায়, প্রচন্ড ভয় পেয়ে যায় তখন সে রীতিমত কাঁপতে থাকে।

মিহু: নীলা।

নীলা: এই কথা বলিস না তো।

মিহু নীলার কথা শুনে যেনো কেঁদেই দিলো নীলা অবাক হয়ে তড়িঘড়ি করে বিছানায় থেকে নেমে মিহুর সামনে যেয়ে দাড়ায়___

নীলা: এই এই এই তোর কি হলো

মিহু: সরি আমি…

নীলা:ঐ সরি কিসের হুম আমি তো প্রথমে ভেবেছিলাম মিস্টার হ্যান্ডসাম এর সাথে আমার বিয়ের কথা চলছে পরে যখন দেখলাম ঐটা ডেভিল পরে আমার বিয়ের শখ মিটে গিয়েছে ?।

মিহু: মানে?

নীলা: আরে পাত্রর পাশে যে ছেলেটা ছিলো তার উপর আমি ঝাকানাকা প্রেমে পরে গিয়েছি ঐ ডেভিল এর উপর না ‌

মিহু এইবার হাসতে লাগলো এই হাসি টা চিরস্থায়ী না জেনেও নীলার কথায় হাসতে লাগলো পরে হঠাৎ ই আবার কেঁদে দিয়ে নীলাকে জড়িয়ে ধরলো।

নীলা: আরে ভুলে গিয়েছিলাম তুই তো আবার ডেভিল ভয় পাস আরে তুই নিজেই তো ডেভিল একটা কাজ শিখিয়ে দেই ঐ ডেভিল টা যদি তোর সাথে কোনো খারাপ কাজ অথবা তোকে তার কথার মাধ্যমে কান্না করিয়ে দেয় তাহলে তুই ও কি কম নাকি ডিটারজেন সাবান দিয়ে জামা কাপড় যেভাবে ধয় উনাকে গোসল করিয়ে দিবি ?

মিহু: নীলা!!

নীলা: এখন তোকে ডেভিল গিরি করতে কে বলেছে আমার সামনে ডেভিল গিরি নট এলাউড ?

মিহু: ড্রামা কুইন একটা।

নীলা: ঢিশমিশ ডেভিল কুইন একটা?

নীলা: ঐ এখন আমাকে ছাড় মানিকের সাথে যেয়ে একটু পার্সোনাল কথা আছে।

মিহু: তোর আবার পার্সোনাল কথা তাও মানিকের সাথে? লাইক রিয়েলি

নীলা: ইয়াপ। দেখি ঐ ডাম্বো কে গুতা দিলে মিস্টার হ্যান্ডসাম এর ব্যাপারে কিছু বেরিয়ে আসে নাকি।

মিহু: তার মানে তুই এখন মানিক কে সেই লেভেলের জালাবি তাই তো।

নীলা: ইয়াপ।

নীলা দৌড় মিহু নীলার পিছন পিছন দৌড় আর মিহু নীলার পিছন দৌড়িয়ে একটাই কথা বলছে ” নীলা নো কাল ওর টেস্ট এক্সাম তাও আবার ম্যাথ উফফ বুঝিস ই তো ও ক্লাস ১০ এ পড়ে আর ক্লাস ১০ এ ম্যাথ এ আমরা কি ছিলাম একটু এই কথাটা ভাব ” নীলা পিছন ঘুরে উত্তর দিলো “ওকে খুব জলদি মানিক কে ছেড়ে দিবো যদি জলদি আমাকে মিস্টার হ্যান্ডসাম এর ব্যাপারে সব ইনফরমেশন দেয় তাহলে”।

মানিক ম্যাথ করছিলো বাহিরে চিল্লাচিল্লির আওয়াজ শুনে দরজা দিয়ে একটা উঁকি দিলো দেখলো নীলা তার রুমে আসছে আর মিহু আটকাচ্ছে মানিক সাথে সাথে দরজা জানালা সব বন্ধ করে ফেললো।

চলবে,,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here