#Ex_বেস্টফ্রেন্ড_যখন_বউ♥
#পর্ব_৩
#লেখক_Ananta Sanny
অনন্য অনন্তকে কে চিমটি কেটে বলল
-ডোজ টা কেমন ছিলো গো??(অনন্যা)
-…(অনন্ত লজ্জায় মাথা নিচের দিক দিলে)
-হাইরে কপাল, এটা বর নাকি এলিয়েন… এলিয়েনের মতো লজ্জা পাচ্ছে..হুহ(অনন্যা কথা গুলো বলতে বলতে বলতে অনন্তর হাতে এর বাধন খুলে দিলো..)
,,,
,,,
অনন্ত উঠে দাড়ালো…
-ভোর হয়েই গেছে, আপনি এখন গোসল করে ফ্রেস হয়ে আসেন, আমাকে রান্নার কাজে সাহায্য করবেন, (অনন্যা)
-খাওয়ার কিছু নেই?? আমার খুব খুদা লাগছে..(অনন্ত)
-ওই একটা ডোজ যে দিলাম সেটার কথা ভুলে গেছেন?? আর তো খুদা লাগার কথা নয়
-হুমমম
-তো যান তাড়ি তাড়ি গোসল টা করে এসে আমাকে রান্নার কাজে সাহায্য করবেন…তারপর সকালের খাওয়া শেষ করে, সোজা আপনার শ্বশুর এর বাসায়
-হুমমমম
-কি হুমম হুমম আপনি তো এমন ছিলেন না, আগে তো অনেক পট পট করে কথা বলতেন, এমন হয়ে গেলেন কিভাবে???
-আচ্ছা তোয়ালে টা নিয়ে আসেন
-হুহহহ, হুমম আনছি..
,,,
,,,
অনন্ত গোসল এ গেলো, আর অনন্যা রান্না ঘরে টুকি টাকি কাজ করছে..
কিছুক্ষণ পর অনন্গ গোসল শেষ করে বের হলো, ততক্ষণে অনন্যা রান্না শুরু করে দিয়েছে….
,,,
,,,
অনন্ত রান্না ঘরে গিয়ে, অনন্যার পেছনে এসে দাড়ালো…অনন্যার তো রান্নায় অনেক মনোযোগ, অনন্ত যে আসছে সেটা সে বুঝতেই পারে নি, হঠাৎ অনন্যা খেয়াল করে দেখে অনন্ত এসে দাড়িয়ে আছে….
,,,
-এই কখন আসছেন??(অনন্যা)
-এইতো মাত্রই আসলাম (অনন্ত)
-ভালো করছেন…আচ্ছা একটা কথা বলব রাখবেন
-কি??
-আগে প্রমিস করেন রাখবেন
-মানে কি যে বলবেন আবার
-আরে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, ছোট্ট একটা আবদার
-হুমম বলেন
-আমি রান্না করবো আর আপনি মুভি স্টাইলে আমার কোমর ধরে দাড়িয়ে থেকে আমার রান্না দেখবেন
-উহুমম না
-প্রমিস করছেন কিন্তু
-এটা কোনো কথা হলো??
-হ্যা এটাই কথা,
,,,
,,,
অনন্যা রান্না করছে, অনন্ত পেছনে দাড়িয়ে আছে, কিন্তু কোমরে হাত রাখার সাহাস পাচ্ছে না..
-কি হলো ধরেন…(অনন্যা)
অনন্ত আস্তে করে হাত রাখলো…
আর অনন্যা বলল,
-রান্না শেষ না হওয়া পর্যন্ত এভাবে ধরে রাখবা..রান্না শেষ হলে তোমার ছুটি
-হুমমমম
-তুমি না কেমন যেনো হয়ে গেছো..কথা বলো না
-বলছি তো
-তো হুমম হ্যা ওহহ এভাবে কেউ কথা বলে??
-হুমম
-আবার!!!! (অনন্যা রেগে উঠলো)
,,,
,,,
কিছুক্ষণ পর…
অনন্তর হাত কাপছে, সেটা অনন্যা দেখতে পেলো..
-এই তোমার হাত কাপছে কেনে??(অনন্যা)
-কই না তো এমনি (অনন্ত)
-না, বলো খারাপ লাগছে কি??
-না আসলে, যে জায়গায় ধরে আছি, কখনো ধরি নি, তাই ভয় লাগছে
-হা হা হা হা হা পাগল একটা
-আচ্ছা আমি রান্নার কাজে সাহায্য করি
-হুমমম থ্যাংকস… শুরু করেন (অনন্যা মিষ্টি হাসলো)
,,
,,
,,
সকালের খাওয়া শেষ করে,
অনন্তর বাবা মার কাছে থেকে বিদায় নিয়ে…রওনা হয় অনন্যার বাসায়…
,,
বাসায় যাওয়ার পর…
-আচ্ছা কয়দিন থাকবে??(অনন্ত)
-এইতো ছয় মাস (অনন্যা)
-কিহহহ এত দিন কেনো??
-এমনি, আমার ইচ্ছা আমি থাকবো
-আচ্ছা
-হা হা হা ধুরর পাগল কালই ফিরবো
,,
,,
বাসার মধ্যে ঢুকতে যাবে দুজন হঠাৎই একটা মেয়ে এসে অনন্যাকে কে জড়িয়ে ধরে…
-সরি সরি সরি সরি সরি, তোর বিয়েতে আসতে পারি নি(মেয়েটি হলো অনন্যার মামাতো বোন তিথি। কিন্তু তার থেকে বড় সম্পর্ক হলো, তারা একে অপরের বেষ্ট ফ্রেন্ড)
-….(অনন্যা চোখ বড় বড় করলো)
-কিরে ওভাবে তাকাচ্ছিস কেন?? আমার ভয় লাগে তো, (তিথি)
-চুপপপ তোর সাথে আমার কোনো কথা নেই…(অনন্যা)
-তোকেই কিন্তু আমি কল করে আনিয়েছি
-হুমম ভালো করছিস
-তা আমার দুলাভাই টা কই??
-এই যে দেখ..(এটা বলে অনন্যা ভেতরে চলে গেলো)
,,
,,
আর তিথি অনন্তর দিকে তাকাতেই, তিথির চোখ ছলছল করে উঠলো…
-আপনি এখানে??(অনন্ত অবাক হয়ে বলল)
-আ আ আমি ওর মামাতো বোন (তিথি)
-ওহহহ
-তু তুমিহ ও ওর বর??
-হুমমম
-এর জন্য অফিসে কিছুদিন আগে অফিস ছুটি নিয়েছিলে??
-জ্বি ম্যাডাম
-আর আমার ভালবাসা টা???
,,,
,,,
এই যে তিথি কে দেখছেন, অনন্তকে দেখে তার চোখে পানি এসে গেছে…এই তিথি হলো অনন্তর অফিসের বস…মেয়েটা অনন্তকে কে প্রথম দেখেই ভালো বেসে ফেলছে,,, তারপর অনন্তকে কে বিয়ের জন্য প্রস্তাব ও দেয়, কিন্তু রাজি হয় না অনন্ত..
,,
,,
,,
বিয়ের জন্য অনন্ত যখন অফিস থেকে ছুটি নেয়, তখন তিথি অনন্ত কে জিজ্ঞাস করেছিলো কি জন্য ছুটি নিচ্ছো…
আর আবার এমনি একটা কারন দেখায়…
,,
,,
হঠাৎ অনন্যা চলে আসলো..
-এই ভেতরে আসছো না কেন?? (অনন্যা)
-হুমম চলো
-আর এই যে তুই ও, দুলাভাই পেয়ে এখানে দাড়িয়ে কথা বলছিস..ভেতরে চল, তারপর যত কিছু জানার জেনে নিস…
,,
,,
তিথি চোখের পানি মুছে ফেললো এরি মধ্যে অনন্যা দেখে ফেলেছে। অনন্যা বলল
-এই তোর কি হয়েছে??(অনন্যা)
-কই কিছু না তো (তিথি)
-এই তুমি কি ওকে কিছু বলছো?
-না, আমি তো কিছু বলি নি
-ওই বল কি জন্য কান্না করছিস??
-কিছু না ভেতরে চল
-হুমম চল
,,
অনন্যা আগে ভেতরে গেলো…
অনন্ত ভেতরে ঢুকতে যাবে তখনই তিথি হাত টেনে ধরলো, অনন্ত আর ভেতরে যেতে পারলো না…
-কি হয়েছে এভাবে টানছেন কেনো?? কেউ দেখে ফেলবে তো..(অনন্ত)
,,,
,,
তিথি কান্না করে বলল
-ভালবাসি…
চলবে