#Ex_বেস্টফ্রেন্ড_যখন_বউ
#পর্ব_২
#লেখক_Ananta Sanny
বাহ বাহ বাহ (অনন্যা রেগে উঠে পড়লো)
-কি? এখন কি এই নিয়ে বক বক শুরু করবেন??(অনন্ত)
-তো কি করবো?? বউ এর সাথে কেউ এমন ব্যাবহার করে??
-বিয়ে করেছি এই পর্যন্তই তবে বউ না
-কি বললেন??
-যা বলছি নিশ্চয় শুনতে পাইছেন, এখন ঘুমান
-আচ্ছা বউ না তাহলে আমি আপনার কি??
-ফ্রেন্ড
-কিহহহহহহ, বিয়ে করে ফ্রেন্ড!!!
-হ্যা
,,,
দাড়ান আমি এখনি মাকে ডাকছি
-মা মা মা (অনন্যা)
অনন্ত অনন্যার মুখ চেপে ধরে বলল
-চুপচাপ ঘুমান বলছি, (ধমক দিয়ে)
,,,
অনন্তর কথায় ভয় পেয়ে রাত্রি ঘুমিয়ে গেলো…
,,,
,,,
পরদিন সকাল বেলা…
দুজনই ঘুম থেকে উঠে যার যার মতো ফ্রেস হয়ে নেয়, অনন্ত ভুলেও অনন্যার দিকে তাকায় না, আর অনন্যা অনন্তর দিকে তাকিয়ে থাকে আর ভাবে…
(ও তো এমন ছিলো না, আগে তো আমার জন্য পাগল ছিলো, এখন এমন করছে কেনো) এই প্রশ্ন গুলো অনন্যার মনের ভেতর ঘুরে বেড়াচ্ছে…
,,,
,,,
এভাবে কয়েকদিন কাটার পর…
অনন্যা ভাবে..
-ও হয়তো আমার উপর অভিমান করে আছে..বিয়ের আগে ওর ভালবাসা টা আমি গ্রহন করি নি… তাহলে ওকেই আমি প্রপোজ করবে…
,,,
সেদিন রাতে অনন্ত অফিস থেকে আসার সাথে সাথে…রাত্রি একটা গোলাপ ফুল দিয়ে হাটু গেড়ে..প্রপোজ করে…
,,,
,,,
অনন্ত সেটা এড়িয়ে যায়…
এইভাবে কয়েকদিন যাওয়ার পর অনন্যার ধৈর্যর বাধ ভেঙে যায়…
আজ সে একটা লাঠি নিয়ে দাড়িয়ে আছে…
,,
,,
অনন্ত অফিস থেকে আসার পর..
-ওই চেয়ার টাতে বস (অনন্যা)
অনন্ত শার্ট খুলছিলো..তখন কথাটা বলল অনন্যা..
-কিরে কথা কানে যায় না (অনন্যা)
-এমন করছেন কেনো??(অনন্ত)
-চোপপপ, চেয়ারে বস আগে..
-আরে আমি মাত্র…(অনন্ত কথা বলতে যাবে তখন অনন্যা তাকে একটা বারি দেয়…)
-ওমা রেএএএএএ
-চুপ, চিল্লাবি না, ভালয় ভালয় বলছি চেয়ারে বস, নাহলে মাথা ফাটিয়ে দিবো..
-বসছি বসছি…(অনন্ত চেয়ারে বসলো)
-হুমমম, এবার বল তোর সমস্যা কি?? আমার সাথে এমন ব্যবহার করছিস কেনো??
-জানি না
আবার একটা বারি দিলো..
-উফফফফ (অনন্ত)
-কেনো সাউন্ড না, আমার কথায় উত্তর দে
-বললাম তো জানি না
-তো বিয়ে করলি কেন??
-এমনি
-তোর ঘারের রগ গুলা সোজা ছিলো ব্যাকা হলো কিভাবে??
-……..(অনন্ত চুপ)
-কথা বলিস না কেনো??(ধমক দিয়ে)
-কিছু না, ক্ষুদা লাগছে, খাবো আমি
-আচ্ছা খেতে দিবো ওয়েট..
,,
,,
অনন্যা একটা ওড়না নিয়ে এসে অনন্তর হাত চেয়ারের পেছনে এনে বেধে দিলে…
-এই এই বাধলেন কেনো?? (অনন্ত)
-রিমান্ডে নিলাম এখন থেকে, যেই পর্যন্ত আমার প্রশ্নের উত্তর দিবি না,, সেই পর্যন্ত কোনো ছাড়া ছাড়ি নেই…
-আমি বলব না..
-ওকে আমিও বাধন খুলবো না
,,
,,
,,
অনন্যা গিয়ে বিছানায় বসলো..ঘড়িতে তখন ১২ টার উপরে বাজে..দুজনের কারও চোখে ঘুম নেই, দুইজনই খুব চুপচাপ..কেউ একটা কথা বলছে না…
-আচ্ছা শোনেন বলছি..
-………..
-আপনার তো বি এফ আছে, হয়তো তাকেই আপনি বেশি ভালবাসেন, তাই আমি এভাবে এড়িয়ে চলি (অনন্ত)
,,
,,
অনন্তর কথা শুনে অনন্যার চোখ বড় বড় হয়ে গেলো…
অনন্যা অনন্তর কাছে আসলো আর বলল
-কি বললি আবার বল তো.. (অনন্যা)
-আপনার বি এফ আছে তাকেই তো আপনি ভালবাসেন(অনন্ত)
-হাইরে কি একটা গাধার সাথে বিয়ে হলো আমার, বি এফ থাকলে কি তোকে বিয়ে করতাম???
-এখন হয়তো নাই, আগে ছিলো তো
-তখনও ছিলো না,
-তাহলে আমাকে সেদিন মিথ্যা বলেছিলেন কেনো??
-তুই তো সেটা বুঝবি না, তোর মাথায় তো কিচ্ছু নেই…যা আছে সব পঁচা গোবর..
-আমাকে ছেড়ে দেন,
-উহুম ছাড়া ছাড়ি নেই, ভাবতে দে আমাকে…
,,
,,
কথা বলতে বলতে ঘড়িতে তখন ২ টা বাজে..
হঠাৎ অনন্যা কোথা থেকে একটা ফুল এনে আবার অনন্ত কে প্রপোজ করে..
-ভালবাসি (অনন্যা)
,,
অনন্ত মুখ ঘুরিয়ে নেয়….
,,
,,
এবার রাত্রির খুব রাগ হয়..
-এই কুত্তা এই তোর এত কিসের অভিমান হ্যা??(অনন্যা)
-দিন অনেক গুলো গেছে (অনন্ত)
-কি বোঝাতে চাইছিস?? অনেক অভিমান তোর?? তোর অভিমান এর গুষ্টি তুষ্টি করে দিবো এখন….
,,
,,
,,
অনন্যা অনন্তর হাটুর উপর বসে..
-এই এই এমনিতে আমি নড়তে পাড়ছি না.. এখানে বসে আবার কি শাস্তি দিবেন??(অনন্ত)
-শাস্তি না, অভিমান ভাঙাবো..(অনন্যা)
-কি করবেন??
-দেখো কি করি
,,
,,
অনন্যা ধীরে ধীরে তার মুখ অনন্যা মুখের কাছে নিলো, ততক্ষণে অনন্যা কান্না করে দিছে…অনন্যা অনন্তর মুখের সাথে তার মুখ ঠেকিয়ে বলল
,,
,,
-আমার ভালবাসার গভীরতা তুমি বুঝতে পারো নি হাদারাম (অনন্যা)
-মানে??(অনন্ত)
-কিছু না, যা বুঝো না, এখন বুঝিয়ে লাভ নেই, এখন আমার কাজ করতে দাও
-কি করবেন??
-দেখো কি করি
-আচ্ছা আগে আমার হাত টা খুলে দেন
-না না, হাত খুললে যে আমার কাজ আমি করতে পারবো না
,,,
,,,
অনন্যা অনন্তর আরও কাছে গেলো..
অনন্ত বুঝতে পাড়লো অনন্যা কি করতে চাইছে..
-আচ্ছা থামনে থামনে, এগুলো পড়ে..(অনন্ত)
,,
অনন্তর কথায় কান দেয় না অনন্যা.
-আচ্ছা আজ না হ…(অনন্গ আর কিছু বলতে পারে না, কারন তার ঠোঁট এর সাথে আর এক জোড়া ঠোঁট লেগে গেছে…)
,,,
অনন্ত চেষ্টা করেও অনন্যাকে আটকাতে পারবে না, কারন তার হাত তো অনন্যা চেয়ারের পেছনে এনে বেধে রেখেছে…
,,
,,
অনন্যা কিছুক্ষণ পর বলল
-কি অভিমান কমে নি (অনন্যা)
-…..(অনন্যা কিছু বলল না)
-এই
-খুব ক্লান্ত লাগছে…
-আগে আমার কথার উত্তর দাও
-হুমম কমেছে অভিমান
-আচ্ছা শোনো এখন তুমি আমাকে বলো ভালবাসি
– এমম মানে
-বলো
-ভালবাসি
-হুমম সবকিছুর জন্য সরি, আর কষ্ট দিবো না, আমি এখনই হাত টা খুলে দিচ্ছি, আর খাবারও দিচ্ছি..
-…(অনন্ত তো ঘেমে শেষ)
-আজ তো অনেক রাত হইছে, একটু পর সকাল হয়ে যাবে, সকালে আর অফিসে যেতে হবে না, ছুটি নিয়ো,
-নাহহ ছুটি নেওয়া যাবে না
-অবশ্যই যাবে, বিয়ের পর আমাকে সময় দাও নি
-হুমম
-কি হুমম?? কাল আমার বাপের বাড়ি মানে তেমার শ্বশুর বাড়ি যাবো…
-যদি ছুটি না দেয়..
-ছুটি দিবে কি দিবে না, সেটা তোমার ব্যাপার, আর হ্য আমার কথা যদি না শোনো আজ রাতটার কথা যেনো মনে থাকে..
-আচ্ছা
,,
,,
অনন্যা অনন্ত কে চিমটি কেটে বলল
-ডোজ টা কেমন ছিলো গো??(অনন্যা)
-…(অনন্ত লজ্জায় মাথা নিচের দিক দিলে)
-হাইরে কপাল, এটা বর নাকি এলিয়েন… এলিয়েন লজ্জা পাচ্ছে..হুহ
চলবে