Lovable part : 8

0
1288

Lovable part : 8
writer : kabbo mahmud

সকালে তানিশা ঘুম থেকে উঠতেই তার মোবাইল এর দিকে চোখ যাই। সে মোবাইলটি হাতে নেই। এবং খেয়াল করে কোনরকম কোন ম্যাসেজ নেই।
তানিশাঃ এট কী হলো?? আমি যে গোমড়া মুখোকে এতো সুন্দর একটা কথা বললাম এর উত্তর দিলো না কেন??? খুব ভালো খুব ভালো ভেবেছে একজন চলে গেছে তো কী হয়েছে আরও একজন আসবে। ছেলেরা তো এমনি হয় তানিশা তুই কেন চিনতে ভুল করছিস???
****
নাহ আর কিছুনা এবার রেডি হয়ে কলেজে চলো।
**
বিছানায় থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নেই। তারপর নিচে চলে আসতেই তানিশা অবাক। সবাই তার দিকে তাকিয়ে আছে যেটা তানিশা বুঝে উঠতে পারছেনা।
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা **

তানিশাঃ কী হলো???উগান্ডার ডিমের মতো চোখ করে আছো কেন সবাই???(মুচকি হাসি দিয়ে)
বাবাঃ মা আমার কাছে এসো।
তানিশাঃ হুম বলো(বাবার কাছে যেয়ে)
-তানিশার বাবা তানিশার কপালে গালে ও গলাতে হাত দিয়ে দেখে।
বাবাঃ সব তো ঠিক আছে।
তানিশাঃ কী ঠিক আছে??
বাবাঃ তাহিয়া তোমার কোনদিক উলটো লাগছে?
তাহিয়াঃ না বাবা সব তো ঠিকই দেখছি।
তানিশাঃ কী হয়েছে বলবে???
মাঃ মা আজকে কী সপ্ন দেখে এতো তাড়াতাড়ি উঠেছো?
তানিশাঃ ওহ এই কথা নিয়ে এতো অবাক হওয়ার কী আছে? আর ঘুম ভেঙে যেতেই পারে স্বাভাবিক।
তাহিয়াঃ না মানে আজ প্রথম এমনটা দেখলাম।
তানিশাঃ ওহ তাহলে আমাকে এখন আবার যেয়ে ঘুমাতে হবে আর তোমরা ডাকবে তারপর উঠবো এমনটি করলে ভালো তাইতো??
বাবাঃ রেগে যাচ্ছ কেন? এমনি আজ আমার মামুনিই একটা এতো বড় কাজ করেছে তাই খুব ভালো লাগছে।
তানিশাঃ হুম হুম তোমাদের মতো বেআক্কেল নাকি আমি হুহ। দাও খেতে দাও খিদা লেগেছে।
তাহিয়াঃ মা দাও তো। আজ একসাথে যাই।
*সবাই ব্রেকফাস্ট শুরু করলো এবং কিছুক্ষণপর শেষ হওয়ায় দুজনেমিলে বাবা-মা এর থেকে বিদাই নিয়ে গাড়িতে করে চলে গেলো।
তানিশাঃ আচ্ছা আপু তুই আবির ভাইয়াকে বলে দিবি যে আমি আর অফিসে যেতে পারবো না।
তাহিয়াঃ না গেলে কি হবে জানিস তো।
তানিশাঃ তার থেকে বিয়ে করে নাও সব চিন্তা মুক্ত।
তাহিয়াঃ বাবাকে বলতে হবে তো:::
তানিশাঃ বলে দাও।
তাহিয়াঃ পাগল হয়েছো? বাবা কে এসব বলে যদি পছন্দ না হয় তাহলে ফুশশশ্
তানিশাঃ তাহলে সারাজীবন এভাবেই থাক।
তাহিয়াঃ সেটাও মন্দ বলিসনি। কিন্ত কী করি বল?
তানিশাঃ চাইলে আমার সাহায্য নিতে পারিস।
তাহিয়াঃ কী সাহায্য?
তানিশাঃ যেটাই হোক তোরটা আমি ঠিক করব আমারটা তুই দুজনেই একসাথে যাবো কেমন হবে??
তাহিয়াঃ তুই বিয়ে করবি????
তানিশাঃ সন্দেহ??
তাহিয়াঃ সেটা না তুই তো এখনো অনেক ছোট।
তানিশাঃ ছোট এটাই তো সমস্যা তুই তো জানিস আমি ছোট থেকে কোন গল্প পছন্দ করি।
তাহিয়াঃ হুম একটা বাবু কে বিয়ে করবি অনেক বাচ্চাকাচ্চা হবে তাদের বিয়ে দিবি নাতি-নাতনীর মুখ দেখে বুড়ো হয়ে যাবি ইত্যাদি এগুলো তো??
তানিশাঃ আরে আরে তোমারতো দেখছি সব মনে আছে।
তাহিয়াঃ হুম। কিন্ত তুই কলেজ পার করেই বিয়ের চিন্তা মাথাই নিবি।
তানিশাঃ আর তুই?
তাহিয়াঃ হুর। তুই সাহায্য করবি আমার বিয়ে হওয়াতে তারপর আমার বিয়ে হয়ে যাবে আর তোর বিয়ের ব্যাবস্থাও আমিই করব।
তানিশাঃ বাহ্ বেহ হবে তাহলে।
তাহিয়াঃ তা তো হবেই।
তানিশাঃ থাক এখানে থামো আর যাবোনা।
তাহিয়াঃ আর নিয়েও যাবোনা হা হা । আচ্ছা ভালো করে পড়াশোনা কর।
তানিশাঃ হুম bye…
তাহিয়াঃ bye..
*
তাহিয়া সেখানে থেজে অফিসে চলে যাই এবং ১৫মিনিট এর মধ্যে পৌছেও যাই।
★★
পৌছে যাওয়ার পর সে তার নির্দিষ্ট সিট এ বসে পড়লো। এবং কাজে মনোযোগ দেবে তখনই একজন এসে বলে যে স্যার তাকে ডাকছে।
তাহিয়াঃ স্যার আমাই এসময় কেন ডাকছে? কোন সমস্যা হলো নাকি??(মনে মনে) দেখেই আসি।
.
তাহিয়াঃ স্যার আসতে পারি??
আবিরঃ অনুমিত নেওয়ার কী আছে চলে এসো।
তাহিয়াঃ বজ্জাত একটা (বিড়বিড় করে) কিছু বলছেন স্যার?
কাব্যঃ বলছি বলতে যদি ভাইয়া বলতেন তাহলে খুশী হতাম আর কী?(মুচকি হাসি দিয়ে)
তাহিয়াঃ এটা অফিস তাই আর কী.
কাব্যঃ আচ্ছা ঠিক আছে।। একটা কথা বলার ছিলো।
তাহিয়াঃ জ্বী বলেন।
কাব্যঃ তোমাদের বাসাই তোমরা ছাড়া আর কোন কেউ এসেছিলো?? মানে তোমাদের relatives কেউ?
তাহিয়াঃ না তো আমাদের বাসাই তো কেউ আসেনি। কেন স্যার হঠাৎ এমন কথা? কিছু হয়েছে?
কাব্যঃ না আসলে গতকাল রাতে একটা ম্যাসেজ এসেছিলো তানিশার সিম থেকে।
তাহিয়াঃ কী ম্যাসেজ?
কাব্যঃ ওটা বলা যাবে না। কিন্ত ওর ফোনকি ওর কাছেই ছিলো?
তাহিয়াঃ হ্যা আর ওর কাছেই থাকবে কেননা ওর ফোন এর ব্যাপারে আমি আর ও ছাড়া কেউ জানেনা আর ওর কলেজের ফ্রেন্ড।
কাব্যঃ ওহ্ আচ্ছা ঠিক আছে যাও। এটুকুই জানার ছিলো।
তাহিয়াঃ আচ্ছা ঠিক আছে স্যার।
*আর কিছু না বলেই সেখানে থেকে উঠে চলে গেলো।
আবিরঃ তোর দরকার ছিলো তুই ডেকে এনে কথা বলে চলে যেতে বললি!! আর আমার কোন প্রয়োজন নেই??
কাব্যঃ তোর প্রয়োজন আর আমারটি এক না। তোর প্রেম পিরিতি আর আমার জরুরি। বোঝ একবার জরুরি কথা সবার সামনে বলা যাই প্রেম ভালোবাসার কথা সবাইকে বলা যাই??
আবিরঃ হুম সেটাও ঠিক। আমিই গাধা, আচ্ছা তুই থাক আমার কাজ আছে।
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা **

কাব্যঃ হুম বুঝতেই পারছি। আচ্ছা যা★
*আবির চলে যাওয়ার পর একজন এসে দরজাই নক করে।
লোকটিঃ স্যার আসতে পারি??
কাব্যঃ হুম এসো।
লোকটিঃ স্যার এই ফাইল গুলো দেখে নিন। সব কাজ ঠিক আছে কী না।
কাব্যঃ আমি আবার কী দেখব বলোতো??? তোমাদের নিজ নিজ কাজ তোমরাই করবে আশা করি কোনরকম ভুল ত্রুটি হলে আমাদের সাহায্য নেবে।
লোকটিঃ আমি জানতি স্যার এতোদিন কাজ করছি কোনদিন কোন অসুবিধা পাই নি বা আপনার বাবা পেতে দেইনি। তাই কীভাবে এসব কাজে ফাঁকি দিই বলেন!! তাও বলছি স্যার অনেক প্রয়োজনীয় ফাইল দেখে নিন।
কাব্যঃ আচ্ছা রেখে যাও। আমি দেখে নেবো।
লোকটিঃ ok sir..
*লোকটি চলে যাওয়ার পর কাব্য ফাইলগুলো হাতে নিয়ে দেখছে আর ভাবছে।
কাব্যঃ তাহলে তানিশা নিজেই আমাকে এসএমএস দিয়েছিল? আর এসএমএস এ যেটা লিখেছিল সেটা ও লিখেছিল???
::::::
উফফ এতো ভাবতে গেলে মাথা ব্যাথা হয়ে যাবে।এসব পরে বুঝতে হবে তানিশার কাছে থেকে।
****
আবিরঃ এই তোমার বোন এর সাথে কাব্যর বিয়ে দিয়ে দাও তাহলে দুজনে একসাথে থাকতে পারবে।
তাহিয়াঃ আগে ণিজের বিয়ে ঠিক করো তারপর ও।
আবিরঃ এ ইয়ে অহ হুম কিন্ত::::::
তাহিয়াঃ হা হা হা,,,,,সেটা পারবে না পারলে অনেক আগেই হয়ে যেতো।
আবিরঃ কী পারব না?
তাহিয়াঃ আমার বাবাকে যেয়ে বিয়ের কথা বলতে।
আবিরঃ এবার পারতে হবে আমাই।
তাহিয়াঃ আচ্ছা ঠিক আছে দেখা যাবে। এখন একটু যাও তো এই কাজটি হয়ে গেলে গল্প করব।
আবিরঃ তুমি কাজ করো আমি দেখি।
তাহিয়াঃ আচ্ছা।
আবিরঃ *****কাব্য কোথাই যাচ্ছিস???
কাব্যঃ আমি একটু বাইরে যাচ্ছি তুই একটা কাজ করে দিতে পারবি??
আবিরঃ কী?
কাব্যঃ আমি কিছু ফাইল রেখে দিয়েছি দেখে নিবি।
আবিরঃ ok যা।।।
**কাব্য গাড়ী নিয়ে সেখানে থেকে বেড়িয়ে গেলো।
এবং কিছুক্ষণ এর মধ্যে তানিশাদের কলেজের পাশে গাড়িটি ব্রেক করে দাঁড় করালো।
***
***
***
***
প্রায় কিছুক্ষণ পর কাব্য লক্ষ্য করে তানিশা ও সাথে দুইজন বলতে নীলা ও আরও একজন আছে। সে আর এক মূহুর্ত সেখানে না থেমে তানিশাদের পাশে গাড়ি নিয়ে যেয়ে থামাই।
।।
নীলাঃ ভাইয়া তুই??(কাব্যর দিকে লক্ষ্য যেতে)
কাব্যঃ হুম। তানিশা গাড়িতে উঠো।
তানিশাঃ মমানে??
কাব্যঃ বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে? গাড়িতে উঠে বসো।
তানিশাঃ কেন?
কাব্যঃ উঠবে নাকি???(রেগে যেয়ে)
*কাব্যর রাগীভাব দেখে তানিশা চুপচাপ গাড়ির মধ্যে উঠে বসে। আর নীলা ও দৃষ্টি অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখছে।
*কাব্য গাড়ি স্টার্ট করে সেখানে থেকে চলে গেলো আর তানিশা ভিতুর মতো বসে আছে।
.
.
#_____________চলবে________________


#কোনো গল্পের পর্ব খুজে না পেলে সর্বশেষ পোস্ট কমেন্ট করে জানাবেন।



#আপনাদের উৎসাহ পেলে পরবর্তী পার্ট দিবো। আসা করি সবাই লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here