Mr_Arrogant_2 ? #The_Gangster_Lover,Part_8,9

0
1761

#Mr_Arrogant_2 ?
#The_Gangster_Lover,Part_8,9
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_8
.
.
.
.
সুবহাঃ আমি আর সামনে এগোতে পারবো না,,,

সুবহা কোমড় ধরে দাঁড়িয়ে গেল হাঁপিয়ে গিয়েছিলে বেচারি। সুবহাকে থেমে যেতে দেখে রওশন ও দাঁড়িয়ে গেল তারপর ভ্রু কুঁচকে বলতে শুরু করল।

রওশনঃ এতো টুকু দৌড়েই তোমার এই অবস্থা সিরিয়াসলি?

সুবহাঃ এটাকে এতটুকু বলে?( রেগে ) আধা ঘন্টা ধরে ননস্টপ দৌড়েই যাচ্ছেন বলছি কি আপনি কি ম্যারাথনে পার্টিসিপেন্ট করছেন যে ভাগ মিলখা ভাগ এর মতো দৌড়াচ্ছেন?

রওশনঃ স্টুপিড কথা বার্তা বন্ধ করে আমাকে ফলো করো,,,

সুবহাঃ আমি পারবো না উফফফ পা ব্যথা করছে,,,,

সুবহা গ্ৰাউন্ড সাইডে রাখা বেঞ্চে বসে পরলো তারপর কাঁদো কাঁদো ফেস করে বলতে শুরু করল।

সুবহাঃ আপনার কি আমার মতো নিরিহ অবলা মাসুম মেয়ের উপর একটুও দয়া হয় না। দুইদিন হয়নি অ্যাক্সিডেন্ট করে সুস্থ হয়েছি আর আপনি আমার উপর টর্চার শুরু করলেন?( ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করছে )

রওশনঃ ওভার অ্যাক্টিং কুইন। ( বিরবির করে)

সুবহাঃ কিছু বললেন ?( ভ্রু উঁচু করে)

রওশন নিজের ওয়াচের দিকে তাকিয়ে বলে,,,

রওশনঃ ওকে ফাইন তুমি বাড়ি চলে যাও আমি ড্রাইভার কে কল করে দিচ্ছি। ( কল করতে করতে)

সুবহাঃ আপনি যাবেন না?

রওশনঃ আমি তোমার মতো অলস না। আমার টাইম হলে আমি চলে আসবো।

সুবহাঃ সুন্দর করে একটু কথাও বলতে পারে না #Mr_Arrogant Rowshan.( বিরবির করে)

রওশন সুবহাকে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে জিমে চলে যায়।

???

ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে চুল সেট করছে আর গান গাইছে আভি।

আভিঃ ম্যায় তেরা বয়ফ্রেন্ড তু মেরি মেরি গার্লফ্রেন্ড কিউ মেনু ক্যান্দি না না না না,,,

হঠাৎ ফোনের কলার টিউন বাজতে গানে ব্যঘাত ঘটে ওর। আভি বিরক্ত হয়ে ফোন হাতে নিয়ে বলতে শুরু করে।

আভিঃ মাঝে মধ্যে মনে হয় পুরো দুনিয়া আমার শত্রু আর সেই শত্রুদের লিডার হচ্ছে এই ফোন। কোন রাম ছাগলে এই ফোন আবিষ্কার করেছে কে জানে?( রেগে)

আভি ফোন রিসিভ করে লাউড স্পিকার করে টেবিলে রেখে জ্যাকেট পরতে পরতে বলে,,,

আভিঃ হ্যালো সিবিআই অফিসার আভি রায়জাদা স্পিকিং,,,

অর্নব খাঁনঃ ইউর বস স্পিকিং,,

আভিঃ ওহ শীটট হিটলার,,,, ( আস্তে বলল )

আভি দ্রুত ফোন হাতে নিয়ে গলা ঝেড়ে বলতে শুরু করে।

আভিঃ গুড মর্নিং স্যার,,,

অর্নবঃ গুড মর্নিং। হেড কোয়ার্টার আসছো কখন?

আভিঃ এই তো স্যার বের হচ্ছি।

অর্নবঃ একচুয়ালি আমি আসতে পারব না তাই তোমাকে আমার বদলে কিছু কাজ কমপ্লিট করতে হবে।

আভিঃ সিউর স্যার,,,

অর্ণব আভিকে সব বুঝিয়ে দিল কি কি করতে হবে।

আভিঃ সব তো বুঝলাম কিন্তু আপনি কি আজকে ছুটিতে আছেন?

অর্নবঃ ডাফফার রায়জাদা শুধু শুধু বলি না তোমাকে,,,

আভি ভেঙচি কাটলো অর্নবের কথায়। তারপর মনে মনে বলতে শুরু করল।

আভিঃ ডাফফার দেখেই তো আপনাকে আর আপনার সাইকো মেয়েকে সহ্য করি আল্লাহ আমার কত ধৈর্য। ( মনে মনে)

অর্নবঃ কোথায় হারিয়ে গেলে?

আভিঃ কোথাও না। ( আই উইশ হারিয়ে যেতে পারতাম অ্যাট লিস্ট সবার জ্বালা থেকে তো বাচঁতাম,,, মনে মনে) আপনি বলেন কি যেন বলছিলেন?

অর্নবঃ আজকে বাড়িতে পার্টি থ্রু করেছি সেটা এক সপ্তাহ আগে তোমাকে বলেছিলাম ভুলে গিয়েছো?

আভিঃ ভুলি নি আসলে মনে ছিল না,,,( বোকার মতো বলল )

অর্নবঃ তুমি কখনো সুধরাবে না। আচ্ছা রাতে পার্টিতে টাইম মতো পৌঁছে যাবে তখন আবার অ্যাক্সকিউজ দিও না যে ভুলি নি আসলে মনে ছিল না।

আভিঃ জি স্যার।

অর্ণব ফোন রেখে দিতেই আভি হাফ ছেড়ে বাঁচলো এতক্ষন মনে হচ্ছিল ওর গলায় দড়ি আঁটকে আছে।

আভিঃ এই বাপ বেটি দুইটাই এক রকম হিটলারের গুষ্টি। লাইফটা সাদাকালো মুভি বানিয়ে দিয়েছে আমার দেখলেই মাথা ঘুরায়। ( নিজে নিজে বলছে)

???

সুবহা বাড়িতে পৌঁছেই ফ্রেশ হয়ে নেয়। আটটা বাজে ব্রেকফাস্ট টাইম এখন সাতটা ত্রিশ বাজে অনেক সময় বাকি তাই সুবহা বেডে বসে‌ ফোনে গেমস খেলতে শুরু করে।

সুবহাঃ উফফ কি বোরিং গেম ভালো লাগে না।

সুবহা ফোন রেখে বারান্দায় চলে আসে। বারান্দায় আসতেই সুবহার চোখ কপালে। প্রতিদিন সুবহার দরজার সামনে যেমন বাস্কেট রাখা থাকতো বারান্দায় সেম ভাবে সাজানো বাস্কেট রাখা।

সুবহা দ্রুত গিয়ে বাস্কেট টা তুলে,,, সবসময়ের মতো চকলেট আর ফুল আর একটা পোয়েম কার্ড। সুবহা বাস্কেট টা নিয়ে রুমে চলে আসলো তারপর কার্ডটা পড়তে শুরু করলো,,,

You are the Sky
I am the Sea
You dip into me
All of my depth
I take you in
Like a final breath
Together we become
Eternity……… ( fvrt)

#সুবহার_সাদিক

পোয়েমটা পড়ে সুবহার ঠোঁটে হাসি ফুটে উঠল। সুবহা নামটার উপর আঙ্গুল দিয়ে স্লাইড করতে করতে বলে,,,

সুবহাঃ ফাইনালি মি সাইকোর নামটা তো জানতে পারলাম,,, “ সাদিক ”( মুচকি হেসে) আচ্ছা উনি কি আমার নামের সাথে মিলিয়ে নাম রাখার চেষ্টা করছেন? আমার নাম সুবহা উনার সাদিক?

ওয়েট ওয়েট আমার তো খেয়ালই নেই উনি জানলেন কি করে আমি এখানে?( অবাক হয়ে) আর এই বাস্কেটটাই কিভাবে আমার রুমের বারান্দায় রাখলেন? হাও কিউট দিস পসিবল?( কনফিউজড হয়ে)

হঠাৎ দরজায় টোকা পরতে ধ্যান ভাঙে সুবহার। সুবহা দরজার দিকে তাকিয়ে দেখে ন্যান্সি দাঁড়িয়ে আছে।

ন্যান্সিঃ ম্যাম স্যার ব্রেকফাস্ট টেবিলে ডাকছেন আপনাকে।

সুবহাঃ রওশন চলে এসেছে?

ন্যান্সিঃ জি,,,

সুবহাঃ ওকে আসছি,,,

সুবহা নিজের সব কনফিউশন ঝেড়ে ফেলে নিচে নেমে আসে কারন দেড়ি হলে বেচারি দুপুর অব্দি খাবার পাবে না। কথায় আছে,,, প্যাহলে পেট পূজা ফির কাম দুজা। খালি পেট কি ডিমাগের বাত্তি জ্বলবে? তার জন্য আগে খাবার নামক অ্যানার্জি পোশন প্রয়োজন।

সুবহা গিয়ে রওশনের পাশে বসে পরলো। ন্যান্সি খাবার সার্ভ করে দিচ্ছে ওকে। রওশন নিজের হাতে খাবার সার্ভ করে নিচ্ছে।

রওশনঃ আজকে একটা পার্টির ইনভিটেশন আছে আমার তুমি রেডি হয়ে থেকো।

সুবহাঃ কখন?

রওশনঃ সন্ধ্যায়,,,

সুবহাঃ আভি স্যারকে জানাতে হবে এই মাফিয়া পার্টিতে যাচ্ছে।( মনে মনে)

রওশন সুবহার ফেস অ্যাক্সপ্রেশন দেখে মুচকি মুচকি হাসছে।

খাবার শেষ করে রওশন রেডি হয়ে অফিস চলে যায়। রওশন চলে যেতেই বাড়িটা পুরো নীরব হয়ে যায় লাইক হন্টেড হাউজ।

সুবহা পুরো বাড়ি ঘুরে ঘুরে দেখছে। বাড়ির বাইরে প্রতিটা কোনায় কোনায় গার্ড। সুবহা হাঁটতে হাঁটতে রওশনের রুমের সামনে চলে আসে। হঠাৎ সুবহার মাথায় শয়তানি বুদ্ধি চাপে।

সুবহা রওশনের রুমে ধীর পায়ে প্রবেশ করে। প্রথমবার রওশনের রুমে এসেছে ও। পুরো রুমের দেয়াল ধূসর রঙের কালো রঙের পর্দা আর সব জিনিস পত্র কালো ইভেল কাবার্ড টাও ব্লাক শেডের।

সুবহা ক্লু খোঁজার জন্য রওশনের রুম সার্চ করতে শুরু করে। কিন্তু আফসোস কিছুই পেল না।‌ রুমের সব ড্রয়ার কাবার্ড লক করা।

সুবহাঃ মনে হচ্ছে যেন রুমে কোহিনুর রেখে দিয়েছে তাই এতো সিকিউরিটি হুহ।

সুবহা কোন ক্লু না পেয়ে বিরক্ত হয়ে রওশনের রুম থেকে বেরিয়ে গেল। নিজের রুমে বসে সারাদিন টিভি দেখে কাটিয়ে দিল সুবহা।

সন্ধ্যায়,,,,??

রুমে বসে আছে সুবহা হঠাৎ পরিচিত একটা কন্ঠ শুনতে পেল ও নিচ থেকে। সুবহা চমকে দ্রুত রুম থেকে বেরিয়ে নিচে আসতেই চমকে যায়।

রওশন অফিস থেকে ফিরে এসেছে আর ওর সাথে,,,,,,

To be continued……

#Mr_Arrogant_2 ?
#The_Gangster_Lover
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_9
.
.
.
.
রুমে বসে আছে সুবহা হঠাৎ পরিচিত একটা কন্ঠ শুনতে পেল ও নিচ থেকে। সুবহা চমকে দ্রুত রুম থেকে বেরিয়ে নিচে আসতেই চমকে যায়।

রওশন অফিস থেকে ফিরে এসেছে আর ওর সাথে টাইসেল। টাইসেলকে রওশনের সাথে দেখে অবাক সুবহা কারন ওতো টাইসেলকে চাইল্ড কেয়ার হোমে মাদারের কাছে রেখে এসেছিল তাহলে টাইসেল রওশনের কাছে কেন?

সুবহা সিঁড়ির কাছে দাঁড়িয়েই দেখছে রওশন আর টাইসেলকে। রওশনের কোলে বেশ আরামসে বসে আছে টাইসেল। সুবহার হিংসে লাগছে রওশনের উপর। ওর ডগিকে ও রওশনের সাথে সহ্য করতে পারছে না।

রওশন সামনে তাকাতেই দেখলো সুবহা দাঁড়িয়ে আছে। রওশন সুবহার কাছে গিয়ে টাইসেলকে দেখিয়ে বলতে শুরু করল।

রওশনঃ সুবহা মিট মাই নিউ ফ্রেন্ড টাইসেল।

সুবহাঃ আপনি ওকে পেলেন কোথায়? ( অবাক হয়ে)

রওশনঃ বাসায় আসছিলাম তখন আমার গাড়ির সামনে চলে এসেছিল। একটুর জন্য অ্যাক্সিডেন্ট হয়নি। আমার পছন্দ হলো তাই নিয়ে এলাম,,,

সুবহাঃ অন্যের জিনিস পছন্দ হলেই কি নিয়ে আসা লাগে? ( চোখ বাঁকিয়ে)

রওশনঃ তুমি এমন ভাবে বলছো যেন ডগিটা তোমার। ( ভ্রু কুঁচকে)

রওশনের কথায় সুবহা হচকিয়ে যায় তারপর কথা ঘুরিয়ে বলে,,,

সুবহাঃ না মানে বলছিলাম যার পেট সে হয়তো খুঁজছে চিন্তা করছে।

রওশনঃ সো হোয়াট? চিন্তা করলে করুক। পাপ্পিটাকে রাস্তায় একা রেখে যেতে কষ্ট লাগে নি যে ফেরত না দিলে কষ্ট লাগবে? তাছাড়া তাদের খোঁজার মতো ফালতু টাইম আমার হাতে নেই। পাপ্পিটাকে রাস্তায় রেখে এলে এর সমস্যা হতো তাই সাথে নিয়ে এসেছি।

টাইসেল ছুটাছুটি করছে নামার জন্য তাই রওশন টাইসেলকে নিচে নামিয়ে দেয়। নামিয়ে দিতেই টাইসেল সুবহার পায়ের কাছে চলে যায় তারপর শব্দ করে গড়াগড়ি খেতে শুরু করে।

সুবহা মুচড়ে হেসে বসে টাইসেলকে কোলে নিয়ে আদর করতে শুরু করে।

রওশনঃ তোমাকে হয়তো ভালো লেগেছে ওর কাছে।

সুবহাঃ আচ্ছা আপনি বুঝলেন কিভাবে যে ওর নাম টাইসেল?

রওশন হচকিয়ে যায় সুবহার প্রশ্নে পরক্ষনে নিজেকে সামলে বলে,,,

রওশনঃ ওর গলার চেইনে ওর নাম লিখা। আমি তোমার মতো স্টুপিড না যে এতটুকু লজিক বুঝতে পারবো না। ( পিঞ্চ মেরে কথা বললো )

সুবহা রেগে নাক ফুলিয়ে রওশনের দিকে তাকালো। রওশন‌ সুবহার দৃষ্টি উপেক্ষা করে বলে,,,

রওশনঃ তুমি গিয়ে রেডি হয়ে নেও আমরা বেরোবো,,,,

সামনের দিকে পা বাড়িয়ে আবার পেছনে ফিরল রওশন তারপর বলতে শুরু করল।

রওশনঃ তোমার হাতে ত্রিশ মিনিট সময় আছে যদি ত্রিশ মিনিটের মধ্যে রেডি হয়ে নিচে না আসো তাহলে তোমাকে রেখেই চলে যাবো।

কাম উইথ মি টাইসেল,,,( টাইসেলকে বলল )

রওশন নিজের রুমের দিকে পা বাড়ালো। রওশনের ডাক শুনতেই টাইসেল সুবহার কোল থেকে ছুটাছুটি করে নেমে রওশনের পেছনে দৌড় দেয়। সুবহা অবাক হয়ে যায় টাইসেলের কাজে।

সুবহাঃ হারামি টাইসেল। রওশনকে পেয়ে আমাকে ভুলে গিয়েছে।‌‌ এমন বিহেভ করছে আমার থেকে ওই রওশন ওর আপন। তোকে একা পেয়ে নেই তারপর বুঝাবো মজা। ( নাক ফুলিয়ে)

সুবহা নিজের রুমে চলে গেল রেডি হতে কারন ত্রিশ মিনিট থেকে পাঁচ মিনিট অলরেডি ওভার হয়ে গিয়েছে।

???

হোয়াইট কালার শার্ট এর সাথে ব্লু কালার টাই, অ্যাশ কালারের স্যুট, ব্লাক কালার সুজ, বাম হাতে‌ অ্যাশ কালার ওয়াচ, চুল অ্যাজ ইউজাল সিল্কি আর কয়েকটা কপালে এসে আছে।

রেডি হয়ে ড্রইং রুমে চলে যায় রওশন। টাইসেল খাবার খাচ্ছিল রওশন ওর পাশে বসে বলতে শুরু করে।

রওশনঃ যে পর্যন্ত আমরা না ফিরি এভাবে গুড বয়ের মতো থাকবি। সার্ভেন্টদের বেশি জ্বালাবি না ওকে।

টাইসলে মুখ মলিন করে রওশনের দিকে তাকিয়ে শব্দ করছে হয়তো কিছু বলার চেষ্টা করছে। রওশন টাইসেলের শরীরে হাত বুলাতে বুলাতে বলে,,,

রওশনঃ এমন ইমোশনাল লুক করে লাভ নেই আপনাকে কোথাও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না ওকে।

রওশন ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ত্রিশ মিনিট হয়ে গিয়েছে অথচ সুবহার আসার খবর নেই।

রওশনঃ এই মেয়ে অলওয়েজ লেট লতিফ। একে ডিসিপ্লিনে আনতে আমার বারোটা বেজে যাবে।

রওশন একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সুবহার রুমের দিকে পা বাড়ায়।

???

গাউনের চেইন লাগানোর চেষ্টা করছে সুবহা কিন্তু কিছুতেই চেইনটা ছুঁতে পারছে না।

সুবহাঃ উফফ এই চেইনটাকে ইচ্ছা করছে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুঁড়ো গুঁড়ো করে দিতে। ( রেগে)

রওশন সুবহার রুমে প্রবেশ করতেই দেখে সুবহা পিঠে হাত দিয়ে কিছু করছে আর নিজে নিজে বকবক করছে।

সুবহা রেড কালার গাউন পরেছে চুল গুলো ক্রিস্টাল স্টার ক্লিপ দিয়ে খোঁপা করা।‌ ঠোঁটে গাঢ় পিঙ্ক লিপস্টিক হালকা মেকআপ। কানে হোয়াইট ক্রিস্টাল এর বড় ঝুমকা আর হাতে ব্রেসলেট।

রওশন সুবহাকে মুগ্ধ চোখে দেখছে আর মুচকি হাসছে। সুবহার ফেসে বিরক্তি ছাপ কেন রওশন তা বুঝতে পারছে না।

রওশনঃ তুমি এখনো রেডি হওনি?

রওশনের কন্ঠ শুনে সুবহা চমকে এক ঝটকায় ঘুরে দাঁড়ায়।

সুবহাঃ আপনিই?

রওশনঃ তো কে হবে?

সুবহাঃ মেয়েদের রুমে আসতে হলে নক করে আসতে হয় জানেন না?( রেগে)

রওশনঃ না জানি না,,, এখন জানিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। এখন চলো লেইট হচ্ছে।

রওশন সুবহার হাত ধরে যেতে নেয় কিন্তু সুবহা চেঁচিয়ে উঠে।

সুবহাঃ নাআআ আমি যেতে পারব না বাইরে,,,

রওশনঃ কেন?( থেমে গিয়ে)

সুবহাঃ আ আসলে হচ্ছে কি আমি রেডি হইনি এখনো তাই,,,

রওশন সুবহাকে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত দেখে কপাল কুঁচকে বলে,,,

রওশনঃ রেডি হও নি? তাহলে এটা কি তোমার জগিং লুক?

সুবহাঃ না মানে আসলে হচ্ছে টা কি,,,( আমতা আমতা করে)

রওশনঃ না মানে আসলে নকলে না করে প্রবলেম কি সেটা বলো,,,,

সুবহা নিজের হাত কচলাচ্ছে আমতা আমতা করে বলার চেষ্টা করেও পারছে।

রওশন আয়নার দিকে তাকাতেই দেখলো সুবহার গাউনের চেইন খোলা। রওশন এবার বুঝতে পারলো বিষয় টা কি।

রওশনঃ চেইন লাগাতে পারছো না এইটুকু বলতে এতো হেসিটেশন।

সুবহাঃ আ আপনি বুঝলেন কিভাবে?( চোখ বড় বড় করে)

রওশনঃ তোমার পেছনে আয়নায় দেখা যাচ্ছে। ( পেছনে ইশারা করে)

সুবহা পেছনে ঘুরতেই দেখে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল ও।

সুবহাঃ সুবহা তুই আসলেই ডাফফার। ( নিজে নিজেকে বলল )

সুবহা আয়নার সামনে থেকে সরে দাঁড়ালো। মাথা নিচু করে আছে ওর গাল আর নাক গোলাপী হয়ে গিয়েছে লজ্জায়। রওশন বুঝতে পারছে যে সুবহা লজ্জা পাচ্ছে। রওশন নিজের হাসি চেপে রেখে বলল,,,

রওশনঃ ঘুরে দাঁড়াও আমি লাগিয়ে দিচ্ছি চেইন।

সুবহা চোখ বড় বড় করে তাকায় রওশনের দিকে তারপর চেঁচিয়ে বলে,,,

সুবহাঃ না না আমি পারবো আপনি যান,,,

রওশনঃ লুক সুবহা টাইম কিন্তু এমনিতেই অনেক ওয়েইস্ট করেছো তুমি। তুমি কি চাও যে আমি একা চলে যাই?

সুবহা অসহায় দৃষ্টিতে তাকালো রওশনের দিকে। রওশন নিজের প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে কপাল কুঁচকে তাকিয়ে আছে সুবহার দিকে।

সুবহা গুটিগুটি পায়ে রওশনের সামনে এসে দাঁড়ায়। রওশন বাঁকা হেঁসে সুবহাকে ঘুরিয়ে নেয়।

রওশন গাউনের চেইনে হাত দিতেই সুবহার পিঠ স্পর্শ করে। সুবহার যেন কারেন্ট এর শক লাগছে রওশনের স্পর্শে। চোখ বন্ধ করে নিজের গাউন মুঠো করে ধরে আছে ও।

চেইন আটকে আছে কাপড়ে। রওশন উপায় না পেয়ে মুখ দিয়ে চেইনটা উঠানোর চেষ্টা করে। রওশনের নাক সুবহার পিঠ স্পর্শ করছে।

সুবহার গায়ের গন্ধ রওশনের মাঝে নেশার সৃষ্টি করছে তাও নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রেখে কোন রকমে চেইনটা লাগিয়ে সরে গেল ও।

রওশন সরে যেতেই সুবহা হাফ ছেড়ে বাঁচলো। রওশন অন্য সাইড ফিরে ঘন ঘন নিঃশ্বাস নিচ্ছে।

রওশনঃ আমি গাড়িতে অপেক্ষা করছি কাম ফাস্ট।

রওশন কথাটা বলেই দ্রুত রুম থেকে বেরিয়ে গেল।

রওশন চলে যেতেই সুবহা আনমনে বলে উঠে।

সুবহাঃ যতটা খারাপ ভেবেছিলাম অতটাও খারাপ না মি. অ্যারোগেন্ট মাফিয়া। উমম হাফ ভালো হাফ পঁচা। ( মুচকি হেসে)

সুবহা নিচে নেমে আসে। গাড়িতে রওশনের পাশে বসে আছে সুবহা কিন্তু রওশন ওর দিকে না তাকিয়ে জানালার বাইরে তাকিয়ে আছে।

সুবহাঃ পাশে আমার মতো সুইট কিউট বিউটিগার্ল বসে আছে আর এই অ্যারোগেন্ট মাফিয়া বাইরের ব্লাক অ্যান্ড হোয়াইট পরিবেশ দেখছে। ( মনে মনে)

? In Party Venue ?

হাতে গোলাপ ফুলের তোড়া নিয়ে খাঁন ভিলায় প্রবেশ করলো আভি। হোয়াইট জিন্স ক্সাই কালার শার্ট হোয়াইট ব্লেজার বুট্স স্যুজ স্পাইক হেয়ার,,,অ্যাজ ইউজাল নিজের হিরো লুক।

আভি আশেপাশে তাকিয়ে অর্নব খাঁনকে খুঁজছে। অর্নব বার সাইডে দাঁড়িয়ে ওর বন্ধুদের সাথে কথা বলছে। আভি নিজের মাথার চুল হাত দিয়ে ঠিক করে ওর কাছে যায়।

আভিঃ গুড ইভনিং স্যার,,,

অর্নবঃ গুড ইভনিং আভি। আজকে টাইমলি এসেছো দেখে খুশি হলাম।

আভিঃ আমি অলওয়েজ সঠিক টাইমেই আসি আপনার ঘড়ি নষ্ট তাই ভুল দেখেন। ( মনে মনে)

আভি ফুলের বুকে টা অর্নবের দিকে এগিয়ে দিতেই কেউ ছো মেরে বুকেটা নিয়ে নেয়। আভি পাশে তাকাতেই দেখে ওহি।

ওহিঃ ওয়াও আভি এটা আমার জন্য? থ্যাংক ইউ। ( খুশি হয়ে)

আভি কিছু বলতে যাবে তার আগেই ওহিকে দেখে থমকে যায়। পিঙ্ক কালার গাউন স্ট্রেট হেয়ার আর হালকা মেকআপে অসাধারণ লাগছে ওহিকে।

আভিঃ কি করছিস আভি এই চুরেলের প্রেমে পরার কথা ভাবিস ও না। নজর সরা নিজের। ( মনে মনে)

আভি কিছু না বলে সোজা হেঁটে সামনে চলে যায়।

???

রওশন আর সুবহা পার্টি ভ্যানু তে পৌঁছে যায়। রওশন সুবহার হাত ধরে ভিতরে প্রবেশ করে। অর্নব রওশনকে দেখেই ওর দিকে এগিয়ে আসে।

অর্নবঃ ওয়েল কাম মাই বয়,,,

রওশনঃ হ্যালো আঙ্কেল,,,

অর্নবঃ কেমন আছো সুবহা?

সুবহা অবাক অর্নব ওর নাম জানলো কিভাবে। রওশন তো ওর ইনট্রোও দেয় নি এখনি।

সুবহাঃ ভালো। ( ইনি আমার নাম জানলেন কিভাবে ইনি কি আমাকে চিনেন? মনে মনে)

অর্নবঃ ভিতরে আসো,,,

দূরে দাঁড়িয়ে আভি অর্নব আর রওশনের কথা শুনছে আর মনে মনে ভাবছে,,,

আভিঃ রওশনকে মাই বয় আর আমাকে ডাফফার! অর্নব খাঁন না তোর নাম বর্বর খাঁন হওয়া উচিত ছিল। মাঝে মধ্যে ইচ্ছা করে এনার মেয়ের সাথে প্রেম করে এনাকে নাকানিচুবানি খাওয়াই। ইচ্ছা মতো নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরাই। না থাক এরকম বুদ্ধি করিস না আভি, নিজে কেন যেচে বলি কা বকরা হতে চাচ্ছিস,,,,( নিজেই নিজেকে বলল )

To be continued…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here