#revenge
#part_3
#sabiha_kh
অনিকের হার্ড বিট দ্রুত হয়ে গেলো।। চোখ মুখ থেকে ঘাম ছুটে গেলো।। অনিক কনো রকম কাপা হাতে গাড়ির চাবিটা ঘুরিয়ে স্টাট দিয়ে সামনে তাকাতেই সামনে থেকেই তার মাথায় কেউ আঘাত করলো।। অনিক জ্ঞান হারিয়ে মটোর সাইকেলের শুদ্ধ পরে গেলো।।।।
”
”
অনিকের জ্ঞান ফিরলো।। অনিক চোখ খুলে তাকালো কিন্তু কিছুই দেখতে পেলো না কারণ একদম ঘুট ঘুটে অন্ধকার ছিলো চার পাশ।।।। অনিক হাত নরাতে চায়লে অনুভব করলো তার হাত বাধা।। অনিক ভয়ে উত্তেজিত হয়ে নরাচরা করতে গেলে বুঝতে পারলো তার হাত পা বাধা চেয়ারের সাথে।। অবিক চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে কান্না করতে লাগলো এবং চিৎকার করে বললো- কে আছো আমাকে বাচাও।। কে আছো!!! আমাকে এখান থেকে বের করো।।
বলতেই হঠাৎ তার মাথার উপর ঝুলন্ত লাইট জ্বলে উঠলো। অনিক চোখ খুলে সামনে তাকাতেই ভয়ে চমকে উঠলো।। দেখলো সামনে একটা টেবিল।। টেবিলের উপর বিভিন্ন রকমের টর্চারিং সরঞ্জাম সাজিয়ে রাখা।।। অনিক দেখে অবাক হওয়ার থেকে ভয় বেশি পেলো।। ভয়ে অনিকের গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেলো।।। অনিক মনে মনে ভাবলো- আজ নিশ্চয় আমার জীবনের শেষ দিন।। হায়, হায়, কি অপরাধ করলাম আমি যার জন্য এমন দিন দেখতে হলো।।
ভাবতেই দরজা খুলার কটকট শব্দ পেলো অনিক।। সামনে তাকিয়ে খুব চেষ্টা করলো কিন্তু পরিষ্কার দেখতে পেলো না কারণ মাথার উপরে ঝুলন্ত লাইটের আলোর কারণে কিছুই দেখতে পাচ্ছিলো না।।। হঠাৎ দেখলো একজন লোক।। তার পা থেকে মাথা পর্যন্ত কালো পোশাক।। পায়ে কালো জুতা কালো প্যান্ট হাতে কালো গ্লোভস,এবং ডান হাতে একটি শটগান। গায়ে কালো জ্যাকেট মুখে মাস্ক মাথায় কালো ক্যাপ।। অনিক লোকটাকে দেখে ভয়ে চুপসে গেলো।। লোকটি এসে চেয়ার নিয়ে অনিকের সামনে বসলো।।। অনিক ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলো- কে আপনি?? আমাকে এখানে এভাবে আটকে রেখেছেন কেন??? কি চান আপনি??
লোকটি চেয়ার থেকে উঠে অনিকের কাছে আসলো এবং টেবিলের উপর থেকে ছোট ছুরি তুলে নিলো হাতে।। অনিক লোকটিকে হাতে ছুরি তুলে নিতে দেখে তার আরো বেশি ভয় লাগতে লাগল।।। লোকটি ছুরি নিয়ে অনিকের হাতের উপর ছুরির ছুচালো মাথা হালকার উপর ঘুরাতে লাগলো।।। অনিকের বুকটা ভয়ে কাঁপতে শুরু করলো। এবং কপাল দিয়ে ঘাম ছুটতে লাগলো।।অনিক ভীত চোখে তার হাতের উপর ছুরির ছুচালো মাথা ঘুরানোটা দেখছিলো।।
লোকটি বললো- কলেজে নিউ ইয়ারের student রোহিত এর সাথে যেই ছেলে গুলো র্যাগিং করেছে তাদের নাম কি???
অনিক লোকটির কথা শুনে অবাক চোখে লোকটির দিকে তাকালো।।
লোকটি রাগান্বিত কন্ঠে জোরে বললো- কি হলো বল??
অনিক চমকিত ভাবে বললো- রহিত,,,,,, মানে যেই ছেলেটা ৩ দিন আগে সুইসাইড করেছে সেই ছেলের কথা বলছেন??
– হমম তার কথায় বলছি।।।
অনিক- রহিতের সাথে তো কেও র্যাগিং করেনি!!
– র্যাগিং করে নি??? (রাগান্বিত সুরে)
অনিক- না কেও র্যাগিং করেনি।।( ভয়ে ভয়ে)
উত্তর দিতেই লোকটি ছুরিটি অনিক হাতের ভিতর ঢুকিয়ে দিলো।।। অনিক জান ছেড়ে চিৎকার দিয়ে উঠলো লোকটি ছুরি টান দিয়ে অনিকের হাত থেকে বের করলো।। এবং অনিকে চিবুক চেপে ধরে চোখের মনির কাছে ছুরি নিয়ে গিয়ে রাগান্বিত কন্ঠে বললো-
– ছেলেগুলোর নাম কি??? বল নাহয় এবার কি করবো বুঝতেই পারছিস।।
অনিক ভয়ে কান্না করতে করতে কাপা কন্ঠে বললো- বলছি বলছি।।
লোকটি বললো- হম বল।।
অনিক- ওরা অনার্সের ছেলে পেলে ওদের নাম,,,,,,
বলে অনিক চুপ হয়ে গেলো। লোকটি রেগে অনিকের মুখে একটা জোরে ঘুসি মারলো আর সাথে সাথে অনিকের মুখ থেকে রক্ত বের হয়ে আসলো লোকটি অনিকের মাথার চুল মুঠ করে টেনে ধরে রাগান্বিত কন্ঠে বললো-
– একটা কেও যদি বাচানোর চেষ্টা করিস তাহলে তোকে কি করবো তুই ভাবতেও পারছিস না।। ভালোই ভালোই নাম বলেদে যদি তোর প্রাণের মায়া থাকে তো!!
অনিকের অবস্থা খুব খারাপ অনিক আসতে আসতে লোকটির দিকে তাকিয়ে কাপা সুরে বললো- ওদের নাম যদি বলি আপনি আমাকে ছেড়ে দিবেন তো!!!
লোকটি বললো- আগে নাম তো বল!! যদি নাম গুলো টিক হয় তাহলেই তুই ছাড়া পাবি।। আর যদি ভুল বলিস তাহলে তোকে এতো টর্চার করবো যে তুই নিজেই আমার কাছে মৃত্যুর ভিক্ষা চায়বি৷ কিন্তু আমি তোকে সহজ মৃত্যু দিবো না এই রুমে তোকে পচিয়ে মারবো।। তুই জানিস এই রুমের নাম কি?? দ্বারা আগে রুম টা এক ঝলক দেখে নে।।৷
বলে লোকটি ঝুলন্ত লাইটি ঘুরিয়ে রুমের চারপাশ দেখাতে লাগলো৷ অনিক দেখলো রুমে চার দেওয়ালেই শুধু রক্তের ছাপ এবং মেঝেতেও অনেক রক্তের ছাপ অনিক ভয়ে চোখ বন্ধ করে চিল্লায় বললো- আমি দেখবো না।।। আমি দেখবো না৷
লোকটি ঝুলন্ত লাইট ছেড়ে দিয়ে গিয়ে নিজের চেয়ারে বসলো এবং বললো- এই রুমটার নাম dead hell room… এখানে আমি অনেক মানুষ কে সজা করেছি অনেক কে আবার এই হাত দিয়ে খুন করেছি।।।। এখন তুই যদি নিজের জীবন কে ভালোবাসিস তাহলে বলেদে ওদের নাম!!!
অনিক জোরে জোরে কান্না করতে করতে বললো- ওদের নাম – আরিফ, রানা, বাবিন, নাইম।। এবার আমাকে ছেড়ে দিন।। আমাকে আমার বাড়ি যেতে দিন।।।
লোকটি বললো- দিবো সময় হলেই দিবো।।
বলে লোকটি উঠে চলে যেতে লাগলে অনিক উত্তেজিত সুরে বললো- কথায় যাচ্ছেন?? আমাকে ছাড়ুন আমি এখানে থাকবো না।।। আমাকে ছেড়েদিন।।। দয়া করুন। আমার কথাটা শুনুন!!!
লোকটি অনিকের কনো কথায় শুনলো না রুম থেকে বের হয়ে চলে গেলো।।। অনিক কান্নায় ভেঙে পরলো অনিকের যেই হাতে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে সেই হাত ফুলে ডুমডুমা হয়ে গেলো।।
অনিক- আমি কি এমন ভুল করেছি যে আমাকে এভাবে শাস্তি পেতে হচ্ছে। কেও আছো আমাকে এখান থেকে বাচাও।।। আমাকে বের করো এখান থেকে।।।
বলতে বলতে অনিকের চোখ ঝাপসা হয়ে আসলো এবং সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললো।।।
এদিকে অনিকের স্ত্রী তার স্বামীর ফোনে ফোন দিয়েই চলেছে ফোন বাজছে কিন্তু কেও ধরছে না।। অনিকের স্ত্রী চিন্তায় পরে গেলো এবং অনিকের পরিচিত সবাইকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করলো অনিক তাদের সাথে আছে কিনা। তারা যখন না বললো। তখন অনিকের স্ত্রী আর কিছু না ভেবেই সোজা পুলিশ স্টেশন যাওয়ার জন্য বের হলো ।।।। রাস্তা দিয়ে যেতেই দেখলো তার স্বামীর মোটরবাইক পরে আছে।। অনিকের স্ত্রীর আর বুঝতে বাকী রয়লো না যে তার স্বামী বিপদে পরেছে।। অনিকের স্ত্রী আর পুলিশ স্টেশন না গিয়ে পুলিশ কে ফোন দিয়ে আসতে বললো।। পুলিশ আসলে অনিকের স্ত্রী কান্না করতে করতে সব খুলে বললো।এসআই কনস্টেবল দের বললো চারপাশ সার্চ করে দেখতে। এসআই অনিকের স্ত্রীর কাছে থেকে অনিকের নাম্বার নিয়ে কল দিতেই ফোনের রিংটোন শুনতে পেলো।।।। এসআই রিংটোন এর শব্দ ধরে কিছুদুর যেতেই দেখে ঘাসের ভিতর অনিকের ফোন পরে আছে।। এসআই ফোনতুলে হাতে নিলো এবং অনিকের স্ত্রী কে বললো-
এসআই- আপনি বাড়ি ফিরে যান আমরা খুব তারাতারি আপনার হাসবেন্ড কে খুজে বের করে আপনাকে খবর দিবো।।।
অনিকের স্ত্রী চলেগেলো।।
পরেরদিন,,,,,,,
ভোরে অনিকের বাড়িতে কেও দরজায় কলিংবেল বাজালো অনিকের স্ত্রী কলিংবেলের শব্দ শুনে ধরপর করে উঠে গিয়ে দরজা খুললো।। দেখলো অনিক করুন অবস্থাই দারিয়ে আছে মুখে লাল কালশিরার দাগ মাথায় ব্যান্ডেজ হাতে ব্যান্ডেজ।। অনিকের স্ত্রী অনিক দেখে নিজেকে আর শান্ত রাখতে পারলো না অনিকে ঝাপটে ধরে হাওমাও করে কাঁদতে লাগলো।।
অনিক- শান্ত হও। চলো ভিতরে যাই।
অনিকের স্ত্রী অনিককে ধরে ধরে ভিতরে নিয়ে এসে বসালো।।
স্ত্রী – তোমার এই অবস্থ কে করেছে?? কি হয়েছিলো কথায় ছিলে তুমি।।( উত্তেজিত সুরে)
অনিক- এতো প্রশ্ন করো না।। আমি ফিরে এসেছি এটাকি তোমার জন্য বেশি না!!! এখন যাও একটু পানি নিয়ে আসো।।
অনিকের স্ত্রী গিয়ে পানি নিয়ে আসলো এবং অনিকের হাতে দিলো।।
অনিক পানি পান করলো।। অনিকের স্ত্রী বললো- তুমি জানো কতো চিন্তা হচ্ছিলো আমার।।। কাল তোমাকে ফোনে না পেয়ে আমি সবাইকে ফোন দিয়ে তোমার কথা জিজ্ঞেস করেছি কিন্তু কেও কিছু বলতে পারেনি।। তারপর আর বুদ্ধি না পেয়ে আমি পুলিশ স্টেশন,,,,, বলতেই চমকে বললো- ওহ্ পুলিশকে তো জানানো হলো না!”
বলতেই অনিক বড় বড় চোখ করে তার স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললো- তুমি পুলিশের সাথে কন্টাক্ট করছো??
স্ত্রী – হ্যা করেছি।।। কিন্তু তুমি এতো,,,,,,
বলতেই অনিক পানির গ্লাস সজোরে মেঝের উপর ছুরে মেরে রাগান্বিত সুরে বললো- তোমার কি ঝামেলা পাকানো ছাড়া আর কনো কাজ নেই?? কেন পুলিশ কে বলতে গেলে??? তোমার কি তোমার স্বামীর লাশ দেখার ইচ্ছা আছে? (জোরে)
অনিকের স্ত্রী অনিকের কথা শুনে অবাক হয়ে বললো-
স্ত্রী – এগুলো কি বলছো?? আমার তোমাকে নিয়ে চিন্তা হচ্ছিলো,,,,,
বলতেই অনিক বললো-
অনিক- রাখো তোমার চিন্তা এখুনি থানায় ফোন করে বলো আমার স্বামী বাড়ি ফিরে এসেছে।। আমি মিসিং কেস তুলে নিচ্ছি।। দ্রুত করো।।। ( একটু জোরে)
অনিকের স্ত্রী ভয়ে তারাতারি থানায় ফোন করলো।। এদিকে অনিকের ভয়ে গলা শুকিয়ে আসছিলো।অনিক মাথায় হাত দিয়ে সেই লোকটির বলা কথা ভাবতে লাগলো-
– তোকে ছেড়ে দিচ্ছি কারণ তুই সত্যি বলেছিস।। যদি এগুলো কথা পুলিশকে বা ওই ছেলেদের বলার চেষ্টাও করিস তাহলে এবার তো জীবিত ছাড়লাম এর পরে আর জীবিত ছাড়বো না।। যদি সত্যি বেচে থাকতে চাস তাহলে মুখ বন্ধ রাখবি। কাওকে কিচ্ছু বলবি না।। তাহলে আমিও তোকে কিচ্ছু করবো না।।
অনিক ভীত কন্ঠে বললো- আপনি যে ভাবে বলবেন আমি সে ভাবেই করবো আমি কাওকে কিচ্ছু বলবো না। কথা দিচ্ছি।।
লোকটি অনিকের হাত ব্যান্ডেজ করে দিলো।।। মাথা ব্যান্ডেজ করে দিলো।
– চল তোকে এখন তোর বাড়িতে দিয়ে আসি।।।
অনিক লোকটির কথা শুনে খুব খুশি হলো।। লোকটি উঠে এসে কালো কাপড় দিয়ে অনিকের চোখ বাঁধতে গেলে অনিক ঘাবড়ে গিয়ে বললো- কি করছেন???
লোকটি বললো- তোকে এতো সহজে বিশ্বাস করবো এতটাও পাগল আমি না।।
বলে উঠে লোকটি অনিকের চোখে কাপড় বেধে দিয়ে ধড়ে অনিকে গাড়িতে বসালো।।তারপর অনিকের বাড়ির কাছে নিয়ে এসে অনিকের চোখ খুলে দিলো এবং বললো- যা বাড়ি যা৷ যেটা বলেছিল সেই কথার যেন নরচর না হয়।।
অনিক- জি।।। (ভীত সুরে)
লোকটি চলে গেলো গাড়ি নিয়ে।।
অনিকের স্ত্রী অনিকের কাঁধে হাত রাখতেই অনিক চমকে উঠলো।।
স্ত্রী – কি হয়েছে??
অনিক – কিছু না।। পুলিশকে বলেছো??
স্ত্রী – হমম বলেছি।
অনিক সস্থির শ্বাস ছেড়ে উঠে নিজের রুমে চলে গেলো।।।
সকাল ১০ টা,,,,,,
পুলিশ অনিকের বাড়িতে এসে দরজায় বেল বাজালো ।। অনিকের স্ত্রী দরজা খুলে দেখলো পুলিশ।।।
এসআই- আপনি কেস তুলে নিয়েছেন। বলেছেন আপনার স্বামী ফিরে এসেছে।। আপনার স্বামী কথায় ?? উনাকে ডাকুন আমরা উনার সাথে কথা বলতে চায়।।
স্ত্রী- উনি রুমে আছে।। আপনারা ভিতরে আসুন।।
পুলিশরা ভিতরে এসে বসলো। অনিকের স্ত্রী অনিককে গিয়ে বললো-
স্ত্রী – পুলিশ এসেছে।। তোমার সাথে কথা বলতে চাচ্ছে।।
অনিক পুলিশের কথা শুনে চমকে উঠে দাড়ালো এবং রেগে বললো- তোমাকে মানা করেছিলাম না। কেন ওদের কে ঢুকতে দিয়েছো???
স্ত্রী – তুমি এমন কেন করছো?? ওদের সাথে কথা বলো তোমার সমস্যার কথা জানাও।।
অনিক- আমার কনো সমস্যা নেই এখুনি গিয়ে ওদেরকে চলে যেতে বলো আমি কারো সাথে কনো কথা বলবো না।।
স্ত্রী – কিন্তু,,,,,,
বলতেই অনিক রাগান্বিত কন্ঠে বললো- কনো কিন্তু না যাও এখান থেকে আর যেটা বললাম সেটা করো।।।
অনিকের স্ত্রী মন খারাপ করে চলে গেলো। অনিক তারাতারি গিয়ে রুমের দরজা আটকিয়ে দিয়ে ভয় কাপতে লাগলো।।। এবং মনে মনে বললো- যদি ওই লোকটা জানতে পারে তাহলে আমাকে এবার আর ছাড়বে না।। ও আল্লাহ রক্ষা করো।।।
এদিকে অনিকের স্ত্রী পুলিশদের বললো-
স্ত্রী – আপনারা চলে যান অনিক আপনাদের সাথে কথা বলতে চাচ্ছে না।।
এসআই অনিকের স্ত্রীর কথা শুনে অবাক হলো।। এবং বললো-
এসআই- কেন কি সমস্যা উনি কেন কথা বলতে চান না???
স্ত্রী – আমি জানি না তবে উনি চাচ্ছে না।।এটুকুই আরকি।।
এসআই – আপনার হাসবেন্ড কোন রুমে আছে আমাদের বলুন। আমরা গিয়ে কথা বলছি।।
স্ত্রী- কিন্তু,,,,
বলতেই এসআই বললো- দেখুন বিষয় টা আমাদের ভালো ঠেকছে না।। আমাদের প্লিজ সাহায্য করুন।।
অনিকের স্ত্রী অনিকের রুমের সামনে এসআই কে নিয়ে আসলো এসআই দরজা নক করে বললো-
এসআই- স্যার আপনি ভয় পাবেন না আপনার কিচ্ছু হবে না।। আপনি প্লিজ আমাদের সাথে এসে কথা বলুন।। আপনার সমস্যা বলুন!!
অনিক – দেখুন আমি কনো কথা বলতে চাচ্ছি না।আর আমরা কনো সমস্যা ও নেই।। প্লিজ চলে যান আপনারা।।
এসআই আরো কিছুখন অনিক কে বুঝালো এবং দরজা খুলতে বললো কিন্তু অনিক রাজি হলো না।। পুলিশরা একরকম নিরাশ হয়ে চলে গেলো।
সকাল ১১ টা,,,,,
অনিকের তিন ছাত্র আসলো অনিকের থেকে এসাইনমেন্টের কিছু কাগজ নিতে।।। তারা এসে বসলো৷।। অনিক আসলে তিন ছাত্র অনিক দেখে স্তম্ভিত হয়ে দাড়িয়ে যাই।। তারা উত্তেজিত সুরে বললো- স্যার আপনার কি হয়েছে?? কে মেরেছে আপনাকে???
অনিক থতমত খেয়ে বললো- আ,,, কেও না,,, কেও মারেনি।। এমনি ব্যাথা পেয়েছি।।
– স্যার আমরা কি বুঝি না।। স্যার প্লিজ বলুন কি হয়েছে আপনার কে মেরেছে আপনাকে??? একবার তার নাম বলুন৷ তারপর দেখেন আমরা কি করি।।।
অনিক- বললাম তো কেও মারেনি আমাকে।।( একটু জোরে) তোমরা এখানে কেন এসেছো সেটা বলো!!!
– স্যার আমরা এসাইমেন্টের কাগজ নিতে এসেছিলাম।।।
অনিক- তোমরা বসো আমি নিয়ে আসছি।।
বলে অনিক ভিতরে গিয়ে কাগজ পত্র নিয়ে আসলো।।
অনিক- এই নাও কাগজ।। এটা নিয়ে তোমরা যাও। (কাগজ ছেলেগুলের হাতে ধরিয়ে দিলো।।)
– স্যার বলুন না কি হয়েছে???
অনিক- আমি বলতে পারবো না।। তোমরা যাও।।।
– স্যার প্লিজ বলুন।। আমরা কাওকে বলবো না কথা দিচ্ছি।।।
অনিক কিছুখন চুপ করে থেকে বললো-
অনিক- কেও আছে যে অনিকের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিচ্ছে।। কিন্তু আমি জানি না কে??? সেই আমাকে ধরেছিলো এবং মেরেছে।। আমি তার চেহারা দেখিনি।। আর কিছু মনেও নেই।। আমার যেটা মনে হলো তোমাদের শুধু সেটুকুই বললাম।।।।
– স্যার আপনি এগুলো কি বলছে??? (একটু ঘাবড়ে গিয়ে)
অনিক- হমম আমি সত্যি বলছি।। দেখো এগুলো কথা কিন্তু কাওকে বলো না।।। এগুলো কথা তোমাদের মধ্যেই রেখো।।।
১৩-০৩-২০২১
আজ হস্টেল আমার নতুন দুইজন বন্ধু হয়েছে।। আবির, মেরান।।। ওরা দুইজন এক সাথেই থাকে ওরা খুব ক্লোজ ফ্রেন্ড আজ আমিও ওদের ফ্রেন্ড হয়ে গেলাম।।। ওরা দুইজন খুব হাসিখুশি ওরা আমাকে খুব হাসালো আজ। অনেক দিন পর আজ আমি এতো হেসেছি।।। আজ আমার সত্যি ভালো লাগছে।।
১৪-০৩-২০২১
আমার সাথেই বারবার কেনো ওরা এমন করে!! আজ কলেজে আবির, মেরান আমি ক্যান্টিনের ১৩ নাম্বার টেবিলে বসে কফি খাচ্ছিলাম এবং গল্প করছিলাম। হঠাৎ সিনিয়ার সেই ছেলে গুলো এসে মেরানের মাথায় মারলো। মেরান রেগে উঠে দাড়ালো আমি আর আবিরো দারালাম।। ওরা বললো- এখানে বসার সাহস তোদের কে দিলো তোরা জানিস না এটা আমাদের জায়গা?? মেরান রেগে বললো- আপনাদের নাম লিখা আছে এখানে??? ওরা মেরানের কলার ধরে বললো- আমাদের নাম লিখা থাকুক আর না থাকুক এটা আমাদের জায়গা সবাই জানে। আবির গিয়ে ওদের হাত মেরানের কলার থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলে ওরা আবিরের মুখে ঘুসি মারে।। আমি দেখালম ক্যান্টিনের সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।। আমি সিনিয়ার দের কাছি গিয়ে বললাম – ভাইয়া ওদের ছাড়ুন আমরা চলে যাচ্ছি আমরা বুঝতে পারিনি এটা আপনাদের জায়গা।। ওরা মেরান আবিরকে ছেড়ে দিলো আর আমাকে ধরলো। এবং বললো- সেদিতো ক্লাসের সময় হয়েছিলো তাই তোর খুব তারা ছিলো তাই আমাদের কথা মানিসনি। আমাদের সব করতে হয়েছে। আজ তো আর ক্লাসের যলদি নেই তাহলে এখন যেটা বলবো সেটা কর। না হয় আজকে এমন কিছু করবো তুই কলেজে আর মুখ দেখাতে পারবি না।।।
আমি তখন খুব ভয় পেয়ে গেলাম।।। ওদের মধ্যে একজন এসে আমার কফির গ্লাস নিয়ে কফির গ্লাসে থুথু ফেললো এবং আমার দিকে ধরে বললো- এটা খেয়ে পেল।।। আমার এতো খারাপ লাগছিলো কি বলবো।। মেরান আবির রেগে ওদের বললো- আমাদের বন্ধু ওটা খাবেনা।। আমি ওদের দিকে তাকালাম। এমন সময় ওরা বললো- খাবে না ঠিকাছে বলে ওরা তিনটা কফির গ্লাস নিয়ে সব কফি আমার মাথায় ঢেলে দিলো।। এবং হাসতে লাগলো আমি বুঝতে পারছিলাম না আমি কি করবো ওরা আমাকে ধাক্কা দিয়ে আরেকটা টেবিলের উপর ফেলে দিলো এবং সেই টেবিলের উপর থেকে সসএর বোতল নিয়ে আমার পিটে সস দিয়ে লুজার লিখলো।। এবং ক্যান্টিনের সবাইকে বললো আমাকে লুজার বলার কথা।। সবাই জোরে জোরে আমাকে লুজার বলতে লাগলো আমার এতো খারাপ লাগছিলো মনে হচ্ছিলো আমি এখুনি মরে যাই।।।।
এখনো আমার কানের মধ্যে লুজার শব্দ টা বাজছে।।। আমি আর নিতে পারছি না সত্যি।।
রাত ৯ টা,,,,,,,
আরিফ, রানা, বাবিন, নাইম মুভি দেখে গল্প করতে করতে হেটে সবাই বাড়ির দিকে যাচ্ছিলো।।। চারজনি ফ্লাই ওভার ব্রিজ দিয়ে যেতে লাগলো।। ফ্লাই ওভার ব্রিজটা একদমি ফাকা ছিলো চার জন খুব মজা করতে করতে যাচ্ছিলো।। আরিফ হাসতে হাসতে বললো-
আরিফ- কাল আমার খেলা আছে ভুলে যাসনা জানি।।
রানা- আরে না তোর খেলার কথা ভুলা যাই।
বাবিন- আমি গ্যালারিতে বসবো।। আমি তো আর খেলি না।।
নাইম হেসে বাবিনের মাথায় মারলো।। এবং বললো-
নাইম- তুই কনো কাজেরি না শালা।।।
বলতেই হঠাৎ ল্যাম্প পোষ্টের লাইট বাস্ট হয়ে গেলো।। আরিফ, রানা, নাইম, বাবিন চমকে উঠলো।
আরিফ- কেমন টা লাগে বল তো।।।
বাবিন- ওহ্ মনে হচ্ছে এখুনি হার্ডটা খুলে মুখ দিয়ে বের হবে।
রানা- কি আজব কথা বলিস তুই!!!
ওরা আবার হাটতে শুরু করলে দাম দাম করে ল্যাম্প পোস্টের লাইট বাস্ট হতে লাগলো।। আরিফ, রানা, নাইম, বাবিন ভয়ে একাকার অবস্থা। চারজন চারজনের হাত ধরলো।। ছয়টা ল্যাম্প পোষ্ট বাস্ট হয়ে গেলো।। তার পরের ল্যাম্প পোস্ট গুলা আর বাস্ট হলো না।। এমন সময় পিছন থেকে একটা গাড়ি তাদের দিকে লক্ষ করে ছুটে আসতে লাগলো তারা গাড়ির শব্দ শুনে পিছনে ঘুরে তাকালো দেখলো তাদের দিকে একটা গাড়ি ধেয়ে আসছে।।
আরিফ চিৎকার করে বললো- দৌড়া সবাই।।
সবাই জান ছেড়ে দৌড়াতে লাগলো।। দৌড়ে কিছু দুর যেতেই দেখলো সামনে থেকে একটা গাড়ি স্পিডে আসছে তাদের দিকে চার জন দারিয়ে ভয়ে কান্না করতে লাগলো।। কোন দিকে যাবে বুঝতে পারছিলো না।। এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো
নাইম উত্তেজিত সুরে ভয়ে বললো- এখন কোন দিকে যাবো এটা তো ব্রিজ নিচে লাফ দিলেও মরে যেতে পারি।। এখন কি করি আরিফ কিছু কর। গাড়ি কাছে আসছে।।।
বলতেই গাড়ি গুলো তাদের কাছে আসতেই চারজন মাথা নিচু করে বসে চোখ বন্ধ করে জোরে চিল্লাতে লাগলো।।। গাড়িগুলো ওদের কাছে এসো থেমে গেলো।।।
চারজন চোখ খুলে তাকালো কিন্তু গাড়ির হেড লাইটের আলোতে কিছুই দেখতে পাচ্ছিলো না এমন সময় গাড়ির ভিতর থেকে চারজন লোক বের হয়ে চার বন্ধু সামনে দাড়ালো।। চারজনি ভয়ে কানতে কানতে উঠে দাড়ালো।। দেখলো চার জন লোক একদম পা থেকে মাথা পর্যন্ত কালো পোশাকে ঢাকা।। তারা ভয়ে কাপা সুরে বললো- কে আপনারা?? আমাদের কেন মারতে চান??
বলতেই চারজন লোক চার বন্ধুর মাথায় বন্দুক ঠেকালো।। চারজনি ভয়ে চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে কান্না করতে লাগলো এবং বললো- আমাদেরকে ছেড়ে দিন আমরা তো কলেজ student আমরা কিছু করিনি।। আমাদের ছেড়ে দিন।।।
বলতেই চারজন লোকি একসাথে চার বন্ধুর মাথায় বন্দুক দিয়ে আঘাত করতেই চারজন একসাথে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পরেগেলো।। চারজন লোক সামনের গাড়ির দিকে তাকিয়ে মাথা ঝুকালো।। একজন সামনের গাড়ির কাছে এসে বললো-
– কি করবো boss??
গাড়ির ভিতর থেকে বললো – ওদের বেধে গাড়িতে তুলো।।।
,,,,,,,,,,,,,Continue,,,,,,,,,,,,,
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।।।।।