The_boss
Part : 6
Aarizona Ella
সব আমাকে কষ্ট দেয়ার জন্য পরিকল্পিত,একটা মাসুম আর ভদ্র মেয়ের উপর এভাবে টর্চার করার জন্য আল্লাহ আপনার বিচার করতো।।?রাস্তায় হাটছে আর বক বক করছে মায়া।
ইলমাজ অফিস থেকে বাসায় ফিরে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে মুচকি হাসছে আর মায়ার পাগলামোর কথাগুলো ভাবছে।।।
নক নক,,,,,
দরজার দিকে তাকাতেই ইলমাজ দিহান কে দেখলো।।
আসবো ভাই?(দিহান)
এটা আবার জিজ্ঞেস করতে হয়?(ইলমাজ)
কার কথা ভাবছিলেন ভাই??রুমের ভিতরে ঢুকতে ঢুকতে বললো দিহান।
কই কি ভাবছিলাম?কিছুই তো ভাবছিলাম না।।(ইলমাজ)
উ হু,,কিছুতো ভাবতে ছিলেন,,নাহলে মুচকি মুচকি হাসি কি শাকচুন্নির সাথে দিচ্ছিলেন?(দিহান)
আরেহ ধুর কি বলছো এসব?(ইলমাজ)
আপনি অস্বীকার করছেন তার মানে নির্ঘাত ব্যাপার টা আপনার হৃদয়স্পর্শক।।বুঝেছি ভাই প্রেমে পড়েছেন।।?(দিহান)
পাগল হয়ে গেছো নাকি?আন্দাজে কি বলছো এসব।।(ইলমাজ)
আরেহ ভাই,,বলেন না সুন্দর আছে তো?(দিহান)
এমন ঝগড়ালু আর বাঁচাল টাইপের মেয়েগুলো যতই সুন্দরী হোক না কেন ইলমাজ রেহমান ওগুলো কেয়ার করে না।।?(ইলমাজ)
তার মানে নিশ্চিত ব্যাপার সিরিয়াস।?(দিহান)
?কখনো কি প্রেম পিরিতি ছাড়া আর কোন টপিক থাকে না তোর কাছে?(ইলমাজ)
ইলমাজ রেহমান,,,,যার মুখে হাসি খুব কম দেখা যায়,সেই ইলমাজ রেহমান একা একা মুচকি মুচকি হাসার মানে হলো ব্যাপার টা আকাশ ছোয়া।।(দিহান)
যাও আমি ফ্রেশ হবো,এমনিতেই খুব ক্লান্ত আর তার উপর তোমার কথাগুলো আমাকে বোরিং ফিল করাচ্ছে।।(ইলমাজ)
এখন বুঝলাম ভাই,মামলা সিরিয়াস।। ?আসি এখন।।(দিহান)
ইলমাজ নাক ফুলিয়ে তাকিয়ে আছে দিহান এর দিকে।।।ইলমাজ এর মুড বুঝতে পেরে দিহান সেখান থেকে কেটে পড়লো।।
ঠোঁট উল্টো করে একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে ওয়াসরুমে ঢুকে পড়লো ইলমাজ।।
শাওয়ার অন করে বুকের দিকে চোখ পড়তেই সেই লালচে হয়ে যাওয়া অংশটি আবারও চোখে পড়লো ইলমাজ এর।।চোখ পড়তেই সেদিনের চা মেরে দেয়ার ব্যাপার টা মনে করে মুচকি হাসলো ইলমাজ।।
আহহহহহহহহ,,,,,আমার পায়ের ব্যাথায় মরে যাচ্ছি,,আম্মুউউউউউ।?বিছানায় হাত পা ছড়িয়ে বাচ্চাদের মতো গড়াগড়ি দিয়ে কান্না করছে মায়া।।
ওই অমানুষ এর জন্য ৩ বার সিড়ি বেয়ে উঠেছি আর নেমেছি।।(মায়া)
তো এভাবে কান্না করার কি আছে।।খেয়ে একটা পেইন কিলার নিয়ে ঘুমিয়ে পড়।।ঠিক হয়ে যাবে। (মা)
নাহহহহহহ।।(মায়া)
না খেয়ে মর।।?(মা)
সত্যি আমি মরে যেতাম আম্মু,তুমি এটা বলতে পারলে?(মায়া)
তো কি বলবো? ব্যাথায় গড়াগড়ি খাচ্ছিস।কিন্তু খেয়ে মেডিসিন নিতে বলছি কথা শুনছিস না।(মা)
খাওয়ার পর এককাপ চা বানিয়ে দেবে?আমার সোনা মা।।(মায়া)
পাম্প আর দিতে হবে না।।খেয়ে নে বানিয়ে দিবো।(মা)
দাঁত বের করে হাসি দিয়ে খাওয়া শুরু করলো মায়া।।
তুমি চা বানিয়ে না দিলেও আমি খেতাম?
তার মা রুম থেকে বের হওয়ার পর নিজে নিজে বললো মায়া।
সকালে অফিসে পৌছেই এনির ক্যাবিনে গিয়ে বসলো মায়া।।
আজকে এতো তারাতাড়ি? ?(এনি)
কোন ভুল আর করতে চাই না।।তাই তারাতাড়ি এসেছি।।শিক্ষা পেয়ে কাল রাত আমার অবস্থার ১২ বেজেছে।?(মায়া)
ওহ হো,গুড গার্ল।এবার ফাইলগুলো নিয়ে স্যারের ক্যাবিনে রেখে আসুন।(এনি)
স্যার এসেছেন?ঢোক গিলতে গিলতে জিজ্ঞেস করলো মায়া।।
না তবে কিছুক্ষনের মধ্যেই আসবেন।।(এনি)
ওহ,বাঁচলাম বাবা।।?ফাইল হাতে নিয়েই ইলমাজের ক্যাবিনে গেলো সে।।টেবিলে ফাইল রেখে বেশ কিছুক্ষন ক্যাবিনের চারিদিক খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছে।।
দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে ইলমাজ, খুব মনযোগ সহকারে মায়াকে লক্ষ করছে আর মুচকি হাসছে আবার হাসছে না।।
মায়া এখনো ওভাবেই দাঁড়িয়ে আছে দেখে ইলমাজ ভিতরে প্রবেশ করে মায়ার পাশে গিয়ে দাঁড়ালো।।
এভাবে উপরে এদিক সেদিক তাকিয়ে কি ★ তারা গুনছেন?(ইলমাজ)
চোখ উল্টে ফিরে তাকালো মায়া।।।
কই স্যার আ,,,আ,,আমিতো ফাইল রাখতে এসেছিলাম।।এইযে এনি ম্যাম বলেছিলো ফাইলগুলো এখানে এনে রাখতে,,তাই এসেছি নাহলে আসতাম না,সত্যি স্যার,আমি কিছুই করি নি বিলিভ মি স্যার?একনাগারে কথাগুলো বললো মায়া।।
আপনি তো দেখছি মাস্টারপিস।।ঝগড়ার সাথে সাথে কথাও বেশি বলেন।।?(ইলমাজ)
আমি ঝগড়া কবে করলাম?(মায়া)
উল্টো জবাব দেয়া আমি পছন্দ করি না, আগেও বলেছিলাম আপনাকে,।(ইলমাজ)
আহ,,না মানে স্যার আমি যাচ্ছি?ইলমাজ এর দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দরজা খুলতেই মুখে ধরাম করে বাড়ি খেয়ে চেচিয়ে উঠলো মায়া।।
আহহহহহ,,,,?(মায়া)
ইলমাজ মুখ চেপে হোহো করে হেসে উঠলো।।
আপনি কেমন মানুষ হেল্প না করে উল্টো হাসছেন?নাকে হাত দিয়ে বললো মায়া।।
আমি হেল্প করতে গেলে আবার যদি আমার মানুষত্বের ফায়দা উঠান?(ইলমাজ)
আহহহহহহহ,,,,মুখে হাত দিয়ে ভ্রু কুচকে চোখ বন্ধ করে আছে মায়া।।
ইলমাজ বুঝতে পেরে মায়ার দিকে এগিয়ে গেলো।।
দেখি হাত সরান,।(ইলমাজ)
লাগবে না আপনার হেল্প??(মায়া)
একবার বললে কথা শুনেন না??(ইলমাজ)
সরাবো না হাত।আহহহহহ?(মায়া)
রাগে ফুসতে ফুসতে মায়ার মুখ থেকে হাত টেনে সরালো ইলমাজ।।
নাক থেকে হাল্কা রক্ত আসতে দেখে মুখ গোমড়া করলো সে।।মায়ার থুতনি ধরে উপরের দিকে মুখ তুলে টিস্যু দিয়ে রক্তাক্ত অংশ টা মুছে দিতে দিতে বেশ কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো মায়ার মায়াবী চেহারার দিকে।।
চলবে।
ফোন খুব বেশি হ্যাং করছে ১২ টা থেকে লিখছি।ফোন হ্যাংগিং অবস্থায় টাইপ করতে অনেক কষ্ট
তাই ভুল ক্রটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।দু:খিত আমি।।আরেকটা খন্ড দেয়ার চেষ্টা করবো।।
