#The_Love_Of_A_Devil_And_Angel,19,20
#An_Impossible_Love_Story
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_19
সকাল থেকেই সিয়া ধীরের আগে পিছে ধুরছে কিন্তু ধীর বরাবরই ওকে এভয়েড করছে ওকে
এড়িয়ে চলছে,,,
ধীরের এমন ব্যবহারে সিয়ার অনেক কান্না আসছে কিন্তু তাও নিজেকে সামলে নিচ্ছে ও।
রোহিত বার বার নিশির ফোনে কল করছে কিন্তু ও রিসিভ করছে না। রোহিতের অনেক রাগ লাগছে আগে কখনো এমন রাগ হয় নি ওর। ইচ্ছে করছে গিয়ে নিশিকে কয়েকটা চর বসাতে,,, রোহিত রেগে ওর ফোন ফ্লোরে আছাড় মারে,,, ফোনটা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়।
চৌধুরী বাড়ীতে সবাই কাজে ব্যস্ত,,, নাহার সার্ভেন্টদের সব কাজ গুছিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে,,, রাতে বাড়িতে পার্টির আয়োজন করেছে তাহির আর আজহার,,, তাই পুরো বাড়ী সাজানো হচ্ছে।
সোফায় বসে আজহার তাহির আর আবরার অফিসের ফাইল নিয়ে কথা বলছে,,,
রুমে তিনা আর রশনি নিজেদের জন্য ড্রেস চয়েজ করছে আর নিশি চুপচাপ বসে আছে,,,
এতক্ষণ রোহিতের ফোন আসছিলো এখন তাও আসছে না,,, আসবেই বা কি করে রোহিততো নিজের ফোন রাগে ভেঙেই ফেলেছে।
রশনি অনেক ক্ষন ধরেই খেয়াল করছে নিশি উদাস হয়ে বসে আছে,, আর বার বার কেউ কল করছে ও কেটে দিচ্ছে।
রশনিঃ নিশি তুই ঠিক আছিস,,, এমন উদাস লাগছে কেন তোকে,,, আর কে বার বার কল করছে??? (নিশির পাশে বসে)
নিশি রশনির দিকে কতক্ষণ তাকিয়ে থেকে মুখে মিথ্যে হাসি টেনে এনে বলে,,,
নিশিঃ কই নাতো আমি একদম ঠিক আছি কিচ্ছু হয় নি ডোন্ট ওয়ারি রশনি,,,
রশনিঃ সত্যি তো??
নিশিঃ হুমম,,, আচ্ছা আমার একটা কান আছে আমি আসছি,,,
নিশি ওখান থেকে বেড়িয়ে আসে,,, রশনি নিশির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বলতে থাকে,,,
রশনিঃ কিছু তো আছে যা তুই লুকাচ্ছিস,,, কিন্তু কি??
নিশি নিজের রুমে এসে দরছা লাগিয়ে বসে পরে,, ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করে ও।
হঠাৎ ড্রেসিং টেবিলের উপর রাখা বক্সটার দিকে নজর যায় ওর। চোখের পানি মুছে উঠে বক্সটা হাতে নেয় নিশি।
বক্সটা খুলতেই মুখে হাসি চলে আসে ওর। একটা রিং তার উপরে একটা চিট রাখা,,,
নিশি চিটটা খুলে পরতে শুরু করে ওটাতে লিখা,,,
কি ভেবেছিলে নিশিরানি অন্য কারো জন্য এনেছি উহুম,,, আরে ভালোবাসি তোমাকে তাহলে গিফ্ট কেন অন্য কাউকে দিবো,,,
This is Only for you my Devil princess Nishirani ??
চিট টা পড়েই আনমনে হেসে দিলো ও,,
নিশিঃ তুমি আসলেই পাগল রোহিত,,, হঠাৎ আবরারের কথা মনে পরতেই হাসিমাখা মুখটা মলিন হয়ে গেল ওর।
নিশি রোহিতের দেওয়া রিংটা নিজের আঙ্গুলে পরে নিলো,,
রিংটার দিকে কতক্ষণ তাকিয়ে নিশি বলতে শুরু করল,,,
জানি কষ্ট হচ্ছে তোমার,, আমারো হচ্ছে কিন্তু কিছু করার নেই রোহিত,,,
Our love is a #Impossible_Love আমরা কখনো এক হতে পারবো না। এজন্যই দূরে সরিয়ে রাখতাম তোমাকে,, বলেছিলাম don’t love me. এখন বাবার হিংস্রতা থেকে তোমাকে প্রটেক্ট করতে হবে আমার। আমার জানা আছে এখন আমার কি করা উচিত,,, শুভ আমার ভাই, রশনি সিয়া আর তিনা আমার বেস্ট ফ্রেন্ড আর তুমি আমার ভালোবাসা। আমি তোমাদের ধোঁকা দিতে পারবো না। I have to protect you all,,, কিন্তু আমার পক্ষে বাবার সাথে একা যুদ্ধ করা সম্ভব নয়,,, I need help আর এ কাজে শুধু সাদ আমার সাহায্য করতে পারবে,,, ওকে সব কিছু বলে দিবো আমি,,, আ’ম সিওর ও শুভ ভাইয়া রশনি সিয়া আর তোমায় নিজের সর্বস্ব দিয়ে প্রটেক্ট করবে,,, হ্যাঁ আমি এটাই করবো,,,
নিশি নিজের ফোন বের করে সাদকে কল করলো,,
❤❤❤
রশনি গাছে পানি দেওয়ার জন্য বাগানে চলে আসে। এটা ওর ডেইলি রুটিন প্রতিদিন গাছে পানি দেওয়া,,, রশনি পাইপ দিয়ে গাছে পানি দিচ্ছে হঠাৎ ও অনুভব করলো কেউ ওর পেছনে দাঁড়িয়ে ওকে দেখছে,,,
রশনি পিছনে ফিরে কাউকে দেখতে পেলো না,,
রশনি নিজের মনের ভ্রম ভেবে সামনে তাকালো,,, সামনে তাকাতেই ওর চোখ ছানাবরা হয়ে যায়।
শুভ বাকা হেসে পকেটে হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছে ওর সামনে,,,
শুভকে দেখে রশনির হাত থেকে ওয়াটার পাইপটা ঠাস করে পরে যায়,,,
রশনিঃ আ আপনিইই ?
শুভ রশনির সামনে এগোতে এগোতে বলল,,,
শুভঃ কেন অন্য কাউকে আশা করেছিলে,, ( চোখ ছোট ছোট করে)
রশনিঃ না মানে আপনি এখানে এসময় হঠাৎ কেন এসেছেন শুভ,,, ( ভয় পেয়ে আশেপাশে তাকিয়ে)
শুভঃ তোমাকে দেখার ইচ্ছে হলে আমি যে কোনো সময় যে কোন যায়গায় চলে আসতে পারি,, I don’t need anyone’s permission,,
কথা বলতে বলতে শুভ রশনির দিকে আগাচ্ছে আর রশনি ভয়ে পিছাচ্ছে,,, রশনি পিছাতে পিছাতে গাছের সাথে লেগে যায়,,, রশনি সরে আসতে নিলেই শুভ নিজের এক হাত রশনির কাধের উপরের দিকে গাছে রেখে ওকে আটকায়,,,
রশনি করুন চোখে শুভর দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করে,,,
রশনিঃ দে দেখেন শুভ কেউ এসে পরবে প্লিজ জান না এখান থেকে (করুন স্বরে)
শুভ আস্তে আস্তে রশনির দিকে ঝুঁকছে আর রশনির তো ভয়ে হার্ট এ্যাটেক করার উপক্রম। রশনি চোখ খিঁচে বদ্ধ করে ফেলে,,
হঠাৎ রশনি অনুভব করে শুভ ওর হাত উপরে তুলে হাতে কিছু রাখলো,,,
রশনি চোখ খুলে দেখে শুভ ওর থেকে দূরে সরে দাঁড়িয়ে আছে,,, নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে দেখে হাতে একটা বড় লাল রঙের র্্যাপ করা একটা প্যাকেট।
রশনি শুভর দিকে অবাক চোখে তাকালো,,
শুভঃ রাতে এটা পরবে do you get that,,,
রশনি বোকার মত মাথা নারালো,,, হাতে একবার তাকিয়ে সামনে তাকাতেই দেখে শুভ নেই,,,
রশনিঃ এখনতো এখানেই ছিলো এতো তাড়াতাড়ি কোথায় হাওয়া হয়ে গেল শুভ ( কনফিউজ হয়ে)
After Some Hours,,,
রোহিত নিশির হাত ধরে একটা ঝর্ণার উপরে নিয়ে আসলো,,,
রোহিতঃ কেন করছো এমন নিশি,,, আই রিয়েলি লাভ ইউ প্লিজ এমন করো না,,, ( অনুনয় করে)
নিশিঃ আগেও বলেছি এখনো বলছি আমি তোমাকে ভালোবাসি না রোহিত,,, না কখনো বেসেছি আর না কখনো বাসবো,,,
রোহিতঃ প্লিজ নিশি ডোন্ট ডু দিস আই রিয়েলি লাভ ইউ,,, নিশির হাত ধরে,,,
নিশিঃ আই ডোন্ট লাভ ইউ রোহিত,,,
হঠাৎ নিশি রোহিতকে ধাক্কা দিয়ে ঝর্ণার উপর থেকে নিচে ফেলে দেয়,,,
নিশিইইই,,, রোহিত চিৎকার করে নিশির নাম নিয়ে নিচে পরে যায়,,,
হঠাৎ নিশি বুজতে পারলো ও কি করেছে,,,
র রোহিত রোহিতত,,,, নিশি স্তব্ধ হয়ে গেছে,,,
নিচে তাকিয়ে ওখানেই ধপ করে বসে চিৎকার করে রোহিতকে ডাকতে লাগলো ও।
To be continued……
#The_Love_Of_A_Devil_And_Angel
#An_Impossible_Love_Story
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_20
রোহিতঃ প্লিজ নিশি ডোন্ট ডু দিস আই রিয়েলি লাভ ইউ,,, নিশির হাত ধরে,,,
নিশিঃ আই ডোন্ট লাভ ইউ রোহিত,,,
হঠাৎ নিশি রোহিতকে ধাক্কা দিয়ে ঝর্ণার উপর থেকে নিচে ফেলে দেয়,,,
নিশিইইই,,, রোহিত চিৎকার করে নিশির নাম নিয়ে নিচে পরে যায়,,,
হঠাৎ নিশি বুজতে পারলো ও কি করেছে,,,
র রোহিত রোহিতত,,,, নিশি স্তব্ধ হয়ে গেছে,,,
নিচে তাকিয়ে ওখানেই ধপ করে বসে রোহিতকে ডাকতে লাগলো ও।
কিছু সময় আগে,,,
শুভ চলে যেতেই রশনিও বাড়িতে চলে আসে,, রশনির মাথায় সারাক্ষণ একটা কথাই ঘুরপাক খাচ্ছে শুভ হঠাৎ কোথায় উধাও হয়ে গেল। রশনি নিজের রুমে এসে বক্সটার দিকে কতক্ষণ তাকিয়ে থাকে,,, অনেক কৌতুহল নিয়ে রশনি বক্সটা খুলে,,,
বক্সটা খুলতেই ওর মুখ থেকে অটোমেটিকলি ওয়াও বের হয়ে যায়,,,
একটা সাদা রঙের গাউন ওটাতে সিলভার স্টোনের কাজ করা,,, রশনি ড্রেসটা হাতে নিয়ে আয়ানার সামনে দাঁড়িয়ে ঘুরে ঘুরে দেখছে,,, অনেক বেশী পছন্দ হয়েছে ড্রেসটা রশনির কাছে,,,
রশনিঃ Thank you Shuvo ( ব্লাশিং হয়ে)
❤❤❤
শুভ একটা হোয়াইট শার্ট সিলভার পাইরের হোয়াইট কোট, হোয়াইট প্যান্ট হাতে তানিশ্ক এর ডায়মন্ড ওয়াচ,,, আর চুল গুলো স্পাইক করে স্টাইল করে নিয়েছে,,,,
নিজেকে কয়েকবার আয়নায় ঘুরে ঘুরে দেখছে শুভ সব ঠিক আছে কি না।
সাদ শুভর রুমে এসে দেখে ও রেডি হচ্ছে,,, সাদ হেসে বলতে বলতে শুভর কাছে আসে,,,
সাদঃ আরে ইয়ার শুভ আর কত সাজবি সব মেয়েরা তো তোকে দেখেই ফ্লেট হয়ে যাবে,,, আমাদের জন্যে ও কয়েকটা রেখে দে ( মজা করে)
সাদের কথা শুনে শুভ হেসে পিছনে ফিরলো,,,
শুভঃ সব মেয়ের প্রয়োজন নেই আমার একজন ইমপ্রেস হলেই চলবে,,,
সাদঃ রশনি রাইট?
সাদের কথা শুনে শুভ হচকিয়ে যায়,,
শুভঃ How do you know ?
সাদঃ আরে ইয়ার শুভ এসব কথা না বাতাসের আগে চলে বুঝলি ?
শুভঃ তো তুই কি ভেবেছিস তোর আর তিনার মধ্যের কেমিস্ট্রি আমাদের কাছ থেকে অজানা,,,( টিস করে) আর তুই কার জন্য এতো সাজলি সেটাও আমরা জানি সো এতো সাধু সাজার চেষ্টা করিস না ?
সাদঃ না মানে আসলে ( মাথা চুলকাতে চুলকাতে)
পিছন থেকে ধীর এসে শুভর কাধে হাত রেখে বলতে শুরু করল।
ধীরঃ সাদের লাভ স্টোরি তো জমে গেছে রাইট শুভ ?
ধীর আর শুভ হাসছে আর সাদ তো নিজের কথায় নিজেই ফেসে গেছে,,,
সাদঃ স্টপ গাইজ অনেক হয়েছে এবার কিন্তু বারাবারি হয়ে যাচ্ছে,,, ( নাক ফুলিয়ে)
শুভঃ গাইজ আমরা তো আছি বাট রোহিত কোথায়??
সাদঃ এখনো রেডি হচ্ছে মে বি,,,
রোহিতের নাম শুনেই ধীরের মুখ মলিন হয়ে গেল,, কারন ওতো জানে যে রোহিত এখন কি অবস্থায় আছে,,,
শুভঃ চল নবাবকে গিয়ে দেখে আসি ওর সাজ শেষ হতে হতে পার্টি শেষ হয়ে যাবে,,, ( হাসতে হাসতে)
শুভ সাদ আর ধীর রোহিতের রুমে যাওয়ার জন্য বেড়িয়ে যায়,,,
রোহিত নতুন ফোন এনে ওটাতে সিম ভরে নিশিকে আবারো কল করছে,, কিন্তু নিশি বারবার কল কেটে দিচ্ছে,,,
শুভঃ রোহিত আর কত রেডি হবি??( রুমে ঢুকতে ঢুকতে)
শুভ কে আসতে দেখে রোহিত ফোন রেখে সোজা হয়ে দাঁড়ালো,,,
রোহিতঃ এইতো আমি রেডি,,
সাদঃ বাহ আজকে এতো ফাস্ট কি ব্যাপার রোহিত??
রোহিত কিছু বলল না শুধু একটা ফেইক স্মাইল দিলো,,,
রোহিতের মনের অবস্থা ধীর ছাড়া হয়তো আর কেউ জানে না।
রোহিত হোয়াইট শার্ট আকাশি রঙের ব্লেজার আর আকাশি রঙের জিন্স পরেছে,,, চুল গুলো জেল দিয়ে সেট করে একদম ফরমাল লুকে রেডি হয়েছে,,
সাদ রোহিতকে রাগানোর জন্য ওকে বলল,,
সাদঃ রোহিত আজ তুই ফার্স্ট টাইম এমন ফরমাল লুক দিলি ব্যাপার টা কি,,, পুরো চার্লি চাপলিন এর বড় ভাই লাগছে তোকে ( মজা করে )
রোহিত কোন রিয়েক্ট করলো না শুধু হালকা হাসলো,,,
অন্য সময় হলে রোহিতের লুক নিয়ে উল্টা পাল্টা কথা বললে রোহিত হয়তো সাদকে কাঁচা চিবিয়ে খেয়ে ফেলতো,,, কিন্তু আজ কোন রিয়েক্ট করছে না এতে সাদ আর শুভ বরাবরই অবাক হচ্ছে,,,,
শুভঃ Are you okay Rohit,,, তুই ঠিক আছিস??
সাদঃ হ্যাঁ রোহিত তুই ঠিক আছিস তো কাল থেকেই দেখছি তুই কেমন weird বিহেভ করছিস,,,
রোহিতঃ ক কই নাতো,, একচুয়ালি মম ড্যাডকে মিস করছিলাম তাই,,,
শুভঃ এই টুকু কথার জন্য তুই দেবদাস হয়ে বসে আছিস,,, call them and speak up,,,
রোহিতঃ হ্যাঁ সকালে কথা বলেছি,,, আর তোরা কি কথা নিয়ে বসে আছিস এখন লেট হচ্ছে না,,, এতক্ষন তো পাগল হয়ে যাচ্ছিলি লেট হচ্ছে লেট হচ্ছে বলে,,, এখন চল লেট হলে পরে বলবি রোহিতের জন্য লেট হয়েছে,,, ?( কথা ঘুরিয়ে)
সাদঃ হ্যাঁ আর সবচেয়ে বেশি তাড়া তো শুভর তাইনা শুভ ?
শুভ রাগি লুক নিয়ে সাদের দিকে তাকালো,,,
ফাইজলামি করতে করতে সাদ শুভ রোহিত আর ধীর নিচে নামছে,,, হঠাৎ নিচে চোখ যেতেই সিয়াকে দেখে স্তব্ধ হয়ে যায় ধীর,,,
সিয়া আকাশি রঙের গাউন পরেছে চুল গুলো স্টোন দিয়ে খোপা করা আর হালকা করে মেকআপ করা,,,,
হাসাহাসির আওয়াজ শুনে সিয়া সিঁড়ির দিকে তাকালো,,, ধীরকে দেখে একটা মুচকি হাসি দিলো ও,,,
ধীর ধূসর রঙের কোর্ট আর কালো শার্ট কালো প্যান্ট পরেছে,, ধীরের চুল একটু বড় যার কারনে জেল দিয়ে পিছনে করে রেখেছে,,,
সিয়ার চোখে চোখ পড়তেই ধীর নিজের চোখ নামিয়ে নিলো,,,, সাথে সাথে সিয়ার মুখ মলিন হয়ে গেল আর ওও নিজের চোখ নামিয়ে নিলো,,,
সবাই গাড়িতে উঠে বসলো,,, একটাতে শুভ সাদ রোহিত আর ধীর,, আরেকটাতে মায়া আর সিয়া,,
❤❤❤
নাহার আর তাহির মেহমানদের ওয়েলকাম করছে,,, আজহার আর আবরার এক কোনায় দাঁড়িয়ে কথা বলছে,,, আবরার বারবার দরজার দিকে তাকাচ্ছে,,, শুভ আর ধীরের আসার অপেক্ষা করছে ও,,,
রশনি শুভর দেওয়া ড্রেস পড়ে রেডি হয়ে নেয়,,, ড্রেসের সাথে ম্যাচিং করে স্টোনের জুয়েলারী,, চুল গুলো কার্ল করে এক সাইডে এনে হোয়াইট স্টার ক্লিপ দিয়ে আটকানো,, হালকা মেকআপ আর ঠোঁটে পিঙ্ক লিপস্টিক।
তিনাঃ আরে বাহ আজকে তো শুভ পুরোই পাগল হয়ে যাবে তোকে দেখে ?
রশনি তিনার দিকে ঘুরে রাগি লুক নিয়ে এগিয়ে গেল,,, তিনা সাথে সাথে দৌড়ে সোফার কিনারে চলে গেল,,
তিনাঃ দেখ রশনি আমি কিন্তু সত্য বলছি so don’t try to say lie,,, আমরা সবাই কিন্তু তোর আর শুভর মাঝের বন্ডিং টা বুঝতে পারি ওকে তাই লুকানোর বৃথা চেষ্টা করিস না,, ?
রশনিঃ তাই নাকি তিনু,,, what do you think তোর আর সাদের মাঝে কি চলছে আমাদের থেকে অজানা,,,?
রশনির কথা শুনে তিনা কাদোকাদো ফেস করে সোফায় বসে পরলো,,,
তিনাঃ ওই সাদ আর মাঝে কিছুই নেই ওকে,, ওতো প্রথম দিন থেকেই আমার পিছে পরে আছে আর টর্চার করছে,,, ওই লোকটা অলওয়েজ আমাকে টর্চার করে শান্তিতে ঘুমোতেও পারি না,,, সারা রাত ফোনে কথা বলে একদিন লেট কথা বলতে হলে ডেভিল গিরি শুরু করে দেয়,,, ডেভিল কোথাকার,,, ? ( এঞ্জেল কে ডেভিল বানায় দিলো ?)
তিনার কথা শুনে রশনি ফিক করে হেসে দিলো,,,
রশনিঃ ওররে তিনু এতো দূর আর আমরা কিচ্ছু জানি না ?
বাই দ্যা ওয়ে,,, এটাকে ভালোবাসা বলে ওকে,, আর এটা তুই যত জলদি মেনে নিবি তোর জন্য ততই ভালো হবে,,, কে জানে কো থেকে কোন এঞ্জেল এসে তোর সাদকে উড়িয়ে নিয়ে যায়,,,
রশনি কথা শুনে তিনার একটু ভয় হলো,,, সত্যিই যদি সাদকে ওর থেকে দূরে নিয়ে যায়,,,
To be continued…..