#The_Love_Of_A_Devil_And_Angel,25,26
#An_Impossible_Love_Story
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_25
তিনাদের ফার্ম হাউজে রোহিতকে নিয়ে এসেছে ওরা।
রোহিত এখনো সেন্সলেস। সাদ আর তিনা রোহিতের পাশেই দাঁড়িয়ে আছে। দোনো জনের মুখে চিন্তার ছাপ। রোহিত বেডে শুয়ে আছে আর একটা ডক্টর রোহিতের চোখ আর হাতের পাল্স চেক করছে,,, ডাক্তার রোহিতকে পানীয় জাতীয় কিছু খাইয়ে দিয়ে একটা ইঞ্জেকশন পুশ করে উঠে দাঁড়ালো।
সাদঃ এখন রোহিত কেমন আছে আঙ্কেল?? আর ও চোখ খুলছে না কেন ইজ এভরিথিং অল রাইট (চিন্তিত হয়ে)
ডক্টরঃ এখন ও একদম ঠিক আছে সাদ। অতিরিক্ত পানি খাওয়ার ফলে নিঃশ্বাস আটকে সেন্সলেস হয়ে গেছে। ঔষধ দিয়েছি কিছুক্ষনের মধ্যেই জ্ঞান ফিরে আসবে,,,
ডক্টরের কথা শুনে সাদ আর তিনা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল,,, ডক্টরকে বিদায় দিয়ে এসে সাদ সোফায় বসে পরলো,,, দু হাত দিয়ে মাথা চেপে কিছুক্ষনের মধ্যে ঘটে যাওয়া সব মনে করতে শুরু করলো ও,,, কি থেকে কি হয়ে গেল ভাবতে ভাবতে তিনা সাদের পাশে বসে পরলো,,, সাদ এখনো একই ভাবে বসে আছে,,, সাদকে এভাবে দেখতে মোটেও ভালো লাগছিলো না তিনার,,, কাঁপাকাপা হাতে সাদের কাধ ছুইয়ে দিলো ও,,,
তিনার স্পর্শ পেতেই মাথা তুলে তিনার দিকে তাকালো সাদ।
সাদের চোখে পানি,,, হুট করে সাদ তিনাকে জড়িয়ে ধরে,,, হঠাৎ এমন করায় তিনা কিছু বুঝে উঠতে পারলো না তাও নিজেকে সামলে সাদের পিঠে হাত বুলিয়ে ওকে শান্ত করার চেষ্টা করতে লাগলো ও।
সাদঃ আমি যদি সঠিক সময়ে না পৌছতাম তাহলে কত বড় দূর্ঘটনা ঘটে যেত তিনা। ইউ নো হোয়াট আমার কাছে আমার বন্ধুদের ছাড়া আপন আর কেউ নেই,,, সব কেরে নিয়েছে ওরা আমার কাছ থেকে,,, ওরা শুধু ক্ষতি করতে জানে অন্যদের কষ্ট দিতে জানে,,, ওদের হৃদয় নেই,, ভালোবাসা কি জিনিস ওরা বুঝে না ওরা শুধু বুঝে নিজেদের স্বার্থ,,, অন্যের ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না ওরা দে আর ডিস্ট্রয়ারস,,, ওরা শুধু ধ্বংস করতে পারে,,, পারবে তো এটাই আফটার অল ডেভিল আর অলওয়েজ ডেভিল,,, ( ঘৃণা জড়িত কন্ঠে)
সাদের কথার কিছুই তিনা বুঝতে পারছে না,, কাদের বিষয়ে বলছে আর ডেভিল বলছে কাদের সব তিনার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে,,,
সাদ তিনাকে ছেড়ে রোহিতের দিকে তাকায়,,,
সাদঃ সেদিনের কথা আজ সত্যিই হয়ে গেল,,, ডেভিল আর এঞ্জেলদের এই যুদ্ধে আজ সত্যিই নিষ্পাপ কিছু প্রান বিপদে পড়ে যাচ্ছে,, আমাদের যুদ্ধে না চাইতেও ওরা জড়িয়ে পরছে,,,
তিনাঃ ক কার কথা বলছেন সাদ,,,?
তিনার দিকে ফিরে সাদ বলল,,,
সাদঃ ডেভিল এন্ড এঞ্জেল দের,,,
তিনা বিস্ময় চোখে সাদের দিকে তাকালো,,,
রোহিতকে নরে উঠতে দেখে সাদ দ্রুত ওর পাশে গিয়ে বসে,,, তিনা সাদের পিছনে চলে আসে,,,
রোহিত চোখ মিটমিট করে তাকানোর চেষ্টা করছে,,, এক হাত দিয়ে মাথা চেপে ধরে ব্যথায়,,, তারপর উঠে বসে রোহিত,,, চোখ খুলে ভালোভাবে তাকাতেই পাশে তিনা আর সাদকে বসে থাকতে দেখলো ও,,, আশেপাশে চোখ বুলিয়ে দেখলো ও একটা রুমে আছে,,,
রোহিতকে উঠতে দেখে সাদ ওকে ধরে বালিশের সাথে হেলান দিয়ে বসালো,,,
রোহিতঃ স সাদ আমি এখানে কিভাবে আমিতো,, হঠাৎ নিশির কথা মনে পরতেই চুপ হয়ে গেল ও,,,
কিছু বলতে পারলো না রোহিত। কি বলবে যে নিশি ওকে ধাক্কা দিয়ে ঝর্ণার উপর থেকে নিচে ফেলে দিয়েছে,,, ভাবতেই অবাক লাগছে রোহিতের কাছে যে যাকে এতো বেশি ভালোবাসলো সে নিজের হাতে ওকে শেষ করার চেষ্টা করলো,,,
তোকে আমি এখানে এনেছি,,, সাদের কথায় ধ্যান ভাঙ্গে রোহিতের,,,
রোহিত অবাক চোখে সাদের দিকে তাকালো,,,
রোহিতঃ ক কিন্তু কিভাবে সাদ?? আমার মনে আছে ওয়াটার ফলটা অনেক উচু ও গভীর ছিলো আমি যে এতো ভালো সুইমার তাও নিজেকে কন্ট্রোলে রাখতে পারি নি,, পানির বেগ অনেক বেশী ছিল যার ফলে সাতার কাটা যাচ্ছিল না,, একজন মানুষের ওখান থেকে বেঁচে ফিরা ইম্পসিবল ছিল,,, তাহলে তুই কিভাবে নিজেকে আর আমাকে ওখান থেকে বের করলি,, ( বিস্মিত হয়ে)
রোহিতের কথা শুনে তিনাও উত্তরের আশায় সাদের দিকে তাকালো,,,
সাদ কিছুক্ষন থেকে বলতে শুরু করল,,,
সাদঃ তুই ঠিক বলেছিস রোহিত,, কোন নরমাল মানুষের পক্ষে এভাবে ওখান থেকে বেঁচে ফিরা পসিবল ছিল না। কিন্তু আমি কোন নরমাল মানুষ নই,,, ( শান্ত গলায়)
সাদের কথায় তিনা আর রোহিত একে অপরের দিকে তাকালো,,, তিনার তখনকার ঘটনা মনে পরে গেল কিভাবে সাদ নির্ভয়ে পানিতে ঝাপ দিয়েছিল তারপর ওর চোখের রং বদলে সবুজ হয়ে যাওয়া ওর পোশাক বদলে যাওয়া সব মনে হতেই তিনা ভয়ে কুকরিয়ে যায়,, তারপর কাঁপাকাপা কন্ঠে জিজ্ঞেস করে,,,
তিনাঃ ত তাহলে আ আপনিইই কে এ??
সাদঃ আ’ম আ এঞ্জেল,,,, শুধু এঞ্জেল না এঞ্জেল কিং সিদরান,,,, ( তিনা আর রোহিতের দিকে ফিরে)
সাদের কথা শুনে রোহিত চমকে দাঁড়িয়ে যায় আর তিনা ভয়ে রোহিতের হাত খামছে ধরে,,,
তিনাকে ভয় পেতে দেখে সাদ ওর দিকে এগিয়ে যায়,,
সাদঃ তিনা আগে আমার পুরো কথা,,, সাদ এগিয়ে যেতেই তিনা ভয়ে রোহিতের পিছনে লুকায়,,, সাদ বুঝতে পারছে যে তিনা ওকে ভয় পাচ্ছে তাই আর না এগিয়ে ওখানেই দাঁড়িয়ে যায়,,,,
রোহিতঃ দেখ সাদ তুই মজা করছিস তাই না,,, এ এখন মজা করার সময় না দেখ তিনা ভয় পাচ্ছে,,, প্লিজ স্টপ দিস,,,
সাদঃ আমি মজা করছি না রে আমি সত্যি বলছি আর শুধু আমিই না রশনিও এঞ্জেলদের শক্তি নিয়ে জন্ম নিয়েছে,,, পার্থক্য এটাই যে আমি এঞ্জেল আর রশনি শুভ শক্তির প্রতীক অর্থাৎ ডেভিলদের ধ্বংস করার হাতিয়ার,,,
রোহিতঃ ম মানে!!!
সাদঃ আমি তোমাদের আজকে সব বলবো,,, কারন না চাইতেও তোমরা আমাদের যুদ্ধে জড়িয়ে গিয়েছো আর সত্য জানাটা তোমাদের অধিকারী,,,
সাদ রোহিত আর তিনাকে সব প্রথম থেকে বলতে শুরু করে,,, রোহিত আর তিনা সাদের কথায় বিশ্বাস করতে পারছে না কিন্তু বিশ্বাস না করেও উপায় নেই ওদের কাছে,,,,
সব কিছু শোনার পর ওদের লাগছে ওরা কোন ফেয়ারী টেইলের গল্প শুনছে,,, ডেভিল আর এঞ্জেলদের এক্সিসটেন্স আদৌ কি সত্যি নাকি,,,
সাদঃ জানি বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে কিন্তু এটাই সত্য,,,,
রোহিতঃ দ্যাট্স মিন শুভ ধীর আর নিশিও ডেভিল,,,??
সাদঃ হ্যাঁ,,, কিন্তু শুভ ও এখনো সম্পূর্ণ ডেভিল হয় নি,, ওর মধ্যে খারাপ শক্তির প্রভাবের চেয়ে ভালো শক্তির প্রভাব বেশি,,, ওকে আবরার সম্পূর্ণ ডেভিল করে নিজের বসে করতে চান,, আর যদি এমন হয় তাহলে শুভকে দিয়ে ও কি করাবে তা ভাবনার বাহিরে,,ও প্রলয় সৃষ্টি করে ফেলবে,,,
রোহিতঃ আমরা কিভাবে আবরারকে আটকাবো,,, যদি ও শুভকে নিজের বসে করে ফেলে তখন??
রশনি থাকতে ভাইয়াকে বাবা অন্ধকার দুনিয়াতে নিয়ে যেতে পারবে না,,, কথাটা শুনে সাদ রোহিত আর তিনা চমকে পেছনে তাকায়,,,
সাদঃ নিশানি!!!
নিশিঃ রশনি ভাইয়ার জীবনে আলোর দিশারী হয়ে এসেছে ও থাকতে ভাইয়া কখনো খারাপ পথে যাবে না,,, ভাইয়া ডেভিল হওয়া সত্ত্বেও ওর হৃদয়ে ভালোবাসা আছে অগভীর ভালোবাসা আছে রশনির জন্য,,, আর এই ভালোবাসাই ওকে অশুভ রাস্তায় যেতে থামাবে,,,
নিশি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে,,, নিশিকে দেখে রোহিত মুখ ঘুরিয়ে ফেলে আর সাদ রেগে ওর দিকে এগিয়ে যায়,,,
সাদঃ তোমার সাহস কি করে হয় এখানে আসার,,, এখন আর কি করা বাকি আছে হ্যাঁ,, রোহিতকে ধাক্কা দিয়েও মন ভরে নি তোমার,,, ওকে বেঁচে থাকতে দেখে এখন এখানে এসেছো ওকে মারতে??
নিশিঃ তুমি ভুল ভাবছো সিদরান,,, আ আমি রোহিতের ক্ষতি করতে আসিনি,,, তুমিই ভাবো আমি যদি ক্ষতি করতে চাইতাম তাহলে কি নিজে তোমাকে কল করে বাবা ধীর আর আমার সম্পর্কে সত্যটা বলে দিতাম,,,
নিশির কথায় সাদ ভাবনায় পরে যায়,,, আসলেই নিশি নিজে ওকে সব সত্য বলেছে ওতো আবরারকে চিনতোও না,,,
সাদঃ তাহলে তুমি রোহিতকে মারার চেষ্টা করলে কেন??
নিশিঃ আমি ওকে ইচ্ছে করে নিচে ফেলতে চাইনি ( কান্না করতে করতে)
নিশির কথায় রোহিত অবাক হয়ে পেছনে ফিরলো,,,
নিশিঃ হ্যাঁ সাদ আমি ইচ্ছে করে করি নি,,, ওখানে বাবা ছিলো তাই আমি শুধু রোহিতকে ওখান থেকে দূরে সরানোর চেষ্টা করছিলাম,,, কিন্তু এক্সিডেন্টলি রোহিত নিচে পরে যায়,,, ( কান্না করতে করতে)
আমি তোমাকে ইচ্ছে করে ফেলতে চাইনি রোহিত বিশ্বাস করো ( মায়া ভরা দৃষ্টিতে রোহিতের দিকে তাকিয়ে)
রোহিত নিশির চোখের দিকে তাকিয়ে আছে,,, এ চোখে কোন মিথ্যা দেখা যাচ্ছে না,,, দেখা যাচ্ছে শুধু আশা যা ও হয়তো রোহিতের প্রতি করছে,, এ আশা রোহিত কোন ভাবেই ভাঙতে চায় না।
রোহিতঃ নিশি আমাকে ইচ্ছে করে ফেলে নি রে সাদ,,, আমি ওকে বিশ্বাস করি,,, ( নিশির দিকে তাকিয়ে)
সাদঃ ওরা ডেভিল রোহিত ওরা বিশ্বাসের যোগ্য না,,,
রোহিতঃ কিন্তু নিশি সত্যি বলছে,,, আমি ওকে বিশ্বাস করি আই ট্রাস্ট বার,,, এন্ড ইউ অলসো শুড ট্রাস্ট হার,,, ( নিশির মায়াভরা চোখে তাকিয়ে)
সাদঃ আমি ওদের কখনো বিশ্বাস করবো না,,, ( নিশির দিকে রেগে তাকিয়ে)
সাদঃ তোর বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করলে তুই কর,, কিন্তু আমার দ্বারা এরকম কিছু আশা করিস না।
সাদ রাগ করে রুম থেকে বের হয়ে যায়,,,তিনা বুঝতে পারছে যে সাদ রেগে আছে তাই ওও সাদের পেছনে চলে যায়,,,
নিশি এক ধ্যানে রোহিতের দিকে তাকিয়ে আছে,,, রোহিত আর নিশির চোখের মায়ায় পরতে চায় না তাই নিজের চোখ নামিয়ে নিলো ও।
রোহিতঃ তুমি চিন্তা করো না নিশি আমরা সাদকে মানিয়ে নিবো,,,, ( পেছনে ঘুরে)
To be continued…..
#The_Love_Of_A_Devil_And_Angel
#An_Impossible_Love_Story
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_26
সাদ রেগে বাইরে চলে আসে,,, সাদের পেছনে তিনাও ছুটে বাইরে চলে আসে,,, তিনাকে নিজের পিছনে আসতে দেখে সাদ বিরক্তিকর ভাব নিয়ে পিছনে ফিরে আর তিনা সাথে সাথে দাঁড়িয়ে যায়,,
সাদঃ তোমারো কি আমাকে লেকচার দেওয়া বাকি আছে যদি থাকে তাহলে দিয়ে ফেলো,,( দাতেঁদাঁত চেপে)
তিনাঃ না মানে আসলে আমি লেকচার দিবো তাও এঞ্জেল কিং কে তা কি হয়,,, লেকচার দেওয়া তো কিংদের কাজ ?
সাদঃ হোয়াট ডু ইউ মিন আমি শুধু লেকচার দেই,,, আ’ম আ্য কিং নট আ্য টিচার যে লেকচার দিবো,, ( রেগে)
তিনাঃ হ্যাঁ আপনিতো কিং অনেক জিনিয়াস,,, তাহলেতো একটা কথা বুঝতে পারছেনই যে একতাই বল,,, যদি আমরা সবাই এক সাথে এক জোট হয়ে ওই ডেভিল কিং এর বিরুদ্ধে লড়ি তাহলে ওর পরাজয় নিশ্চিত,,,
নিশি আর ধীর আমাদের সাহায্য করতে চাইছে তাহলে করতে দেন না ওদের আফটার অল শুভ নিশির ভাই হয়,,,
সাদ কিছুক্ষন তিনার কথা মনোযোগ সহকারে ভাবলো,,, তিনা ঠিকই বলছে ভেবে মুচকি হেসে ও বলতে শুরু করে,,,
সাদঃ এই তুমি না আমাকে ভয় পাও,, একটু আগে তুমি রোহিতের পিছনে লুকাচ্ছিলে আমার ভয়ে,,, এখন এখানে একা আমার কাছে চলে এসেছো স্ট্রেঞ্জ,,, তার উপর আমাকে জ্ঞান দিচ্ছ এখন আমাকে ভয় করছে না ( ভ্রু কুঁচকে)
তিনাঃ আব তখন ভয় করছিল কিন্তু এখন করছে না ?
সাদঃ কেন!! এখন ভয় করছে না কেন?? ( চোখ ছোট ছোট করে)
তিনাঃ আপনি তো এঞ্জেল আর আমার বাবাই বলে এঞ্জেল্স আর গুড,,, দে আর অলওয়েজ প্রটেক্ট এভরিওয়ান,,, আর তা ছাড়া আপনি তো আমাকে ভালোবাসেন,, তাই আপনি আমাকে আরো বেশি বেশি প্রটেক্ট করবেন কখনো হার্ট হতে দিবেন না,,
এজন্য এখন আপনাকে ভয় করে না বরং আপনার পাশে নিজেকে সেফ মনে হয়,,, ইউ আর দ্যা রিয়েল এঞ্জেল অফ মাই লাইফ,,,?
সাদঃ তাহলে হোয়াই ডোন্ট ইউ লাভ মি তিনা কেন ভালোবাসো না আমায়,,,( ছলছল চোখে) এতো দিনেও কি তোমার মনে আমার জন্য কোন ফিলিংস তৈরি হয় নি,,তাহলে আমি কি তোমার মনে নিজের জন্য অনুভূতি জাগাতে ব্যর্থ হয়েছি??( মায়াভরা চাহনিতে)
তিনা কিছু বলতে যেয়েও বলতে পারছে না,,, ও বলতে চাইছে যে ও সাদকে ভালোবাসে অনেক বেশী ভালোবাসে কিন্তু ওর মুখ থেকে শব্দ বের হচ্ছে না,,,
তিনাঃ সাদ আমি আসলে আমি আপনাকে ( বলার চেষ্টা করছে) আমি বলতে চাইছি যে আই ল….
সাদদদ,,, পেছন থেকে রোহিতের ডাক শুনে তিনা আর সাদ ফিরে তাকায়,,, আজও তিনার অসম্পূর্ণ কথাটা সম্পুর্ন হতে পারলো না,,
রোহিতঃ সাদ তুই কি আমার উপর রেগে আছিস?? ( এগিয়ে এসে)
সাদঃ না রোহিত আমি কেন তোর উপর রেগে থাকবো,,, আসলে তুই ঠিক বলেছিস এই যুদ্ধে আমাদের সবার একসাথে লড়াই করতে হবে,,, কারন আবরার অনেক স্ট্রং ওর সাথে লড়াই করতে শুধু এঞ্জেল পাওয়ার না ডেভিল পাওয়ার ও প্রয়োজন,,,
রোহিতের পেছনে নিশি দাঁড়িয়ে আছে,,, সাদ গিয়ে নিশির সামনে দাঁড়ালো,,,
সাদঃ আ’ম স্যরি নিশি,,, একচুয়ালি তখন রোহিতকে এরকম অবস্হায় দেখে আমি কন্ট্রোললেস হয়ে গিয়েছিলাম,,, তাই তোমার দিকটা বুঝার চেষ্টা করিনি আ’ম সো স্যরি,,,
নিশিঃ না সাদ তুমি কোন ভুল করোনি,,, ভুলতো বাবা করেছে তোমার সাথে তোমার ফ্যামিলির সাথে,,, আর আমি আর ধীর ও তোমাদের কাছ থেকে সত্যি টা লুকিয়েছি,,, তোমাদের ধোঁকা দিয়েছি সেই হিসেবে উই ডিসার্ভ ইট ( মাথা নিচু করে)
সাদঃ এখন নিজেদের অতীত বাদ দিয়ে আমাদের একসাথে লড়াই করতে হবে,,, উই হ্যাভ টু ফাইট,,,
রোহিতঃ কিন্তু শুভ!! ওকে কিভাবে সামলাবো আমরা,,,
সাদঃ শুভকে আমরা না ওর রশনি সামলাবে,,,এখন তিনা আর নিশিকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আমাদেরও বাড়িতে যাওয়া উচিত আদার ওয়াইজ আবরার সন্দেহ করবে,,, ও অনেক চালাক ওর নজর সবসময় আমাদের আশেপাশে থাকে,,,
রোহিতঃ ওকে,,,
গাড়িতে সাদ আর রোহিত সামনে বসেছে আর তিনা নিশি পেছনে,,,
সাদ ড্রাইভ করছে আর লুকিং গ্লাসে তাকিয়ে তিনাকে দেখছে,,, তিনা বুঝতে পেরে ব্লাশিং হয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে,,, রোহিত জানালার বাইরে তাকিয়ে আছে আর ভাবছে,,,
রোহিতঃ এখানে সব ঠিক হয়ে গেলে আমি স্কটল্যান্ড ফিরে যাবো,,, এখানে আমার জন্য কিছু নেই,,, আমি ওখানেই ঠিক ছিলাম,, আই উইশ মম ড্যাড আজকে আমার পাশে থাকতো আই মিস ইউ মম ড্যাড ( চোখ বন্ধ করে)
নিশি রোহিতের দিকেই তাকিয়ে আছে,,,
নিশিঃ আ’ম স্যরি রোহিত,, একবার সব কিছু ঠিক হয়ে যাক তখন আমাদের মাঝে আর কোন বাধা থাকবে না আই অলওয়েজ বি ইউর্স,,,
তিনা আর নিশি কে বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়ে রোহিত আর সাদ শুভদের বাড়িতে ফিরে আসে,,,
সকালে,,,
শুভ শাওয়ার নিয়ে চুল মুছতে মুছতে বেরিয়ে আসে,,, বেডের উপর একটা নীল রঙের শেরওয়ানী দেখে খানিকটা অবাক হয় শুভ,,
শুভঃ এটা কোথা থেকে আসলো???
এটা পরে রেডি হয়ে তারাতারি নিচে চলে আসো শুভ আমরা অপেক্ষা করছি,,, ( মায়া রুমে ঢুকতে ঢুকতে)
শুভঃ কেন মামনি আজকে কোন স্পেশাল ডে??
মায়াঃ হ্যাঁ আজকে অনেক স্পেশাল ডে সারপ্রাইজ আছে তোমার জন্য কাম ফাস্ট,,,
শুভ মাথা নাড়ালো মায়া হেসে বেরিয়ে যায়,,,
শুভঃ সারপ্রাইজ!! কি সারপ্রাইজ??
কিছুক্ষণ পর,,,
শুভ শেরওয়ানী পরে নিচে এসে দেখে সবাই শেরওয়ানী পরেছে,,, সাদ ধীর রোহিত,,, রোহিত বার বার কলার ঠিক করছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে বেচারা আনকমফরটেবল ফিল করছে,,, প্রথম বার এরকম ড্রেস পরেছে এমন তো লাগবেই,,,
শুভঃ গাইজ তোরা কি জানিস মামনি কেন আমাদের রেডি করিয়েছে আর কোন সারপ্রাইজ এর কথা বলছিল,,,
রোহিতঃ ডোন্ট নো ইয়ার,,, ঘুমিয়ে ছিলাম আন্টি এসে বলল এটা পরে রেডি হয়ে নিচে আসতে আজকে নাকি কোন স্পেশাল ডে,,,
ইয়ার এটা কি আমার গরম লাগছে ?
সাদঃ এটা শেরওয়ানী,,, আর এইটুকু গরম সহ্য করতে পারছিস না স্টুপিড,,, হয়তো কোন ইম্পোর্টেন্ট কিছু হবে তাই আন্টি পরতে বলেছে,,,
ধীরঃ তা বুঝলাম বাট কিছু তো বলতো,,,
হঠাৎ কানে চুরির আওয়াজ আসতেই ধীরের হার্টবিট ফাস্ট হয়ে গেল,,,
ধীর সামনে তাকিয়ে হা হয়ে গেছে,,, সিয়া লং কামিজ পরেছে হাত ভর্তি চুরি, কানে ঝুমকা চুলগুলো ছেড়ে দেওয়া আর ঠোঁটে সেই মন ভুলানো হাসি,,,,
সিয়া এসে শুভর সামনে দাঁড়ালো,,,
সিয়াঃ তো ভাই আর ইউ রেডি ফর ইউর সারপ্রাইজ,, ( দুষ্টু হেসে)
শুভঃ তুইও?? কোন সারপ্রাইজ আমাকে কিছু বলবিতো,,,
সিয়াঃ ওফফো ভাই বলে দিলে কি আর সারপ্রাইজ সারপ্রাইজ থাকে,,, পেশেন্স ভাই পেশেন্স,,, সাবার কা ফাল্ মিঠা হোতা হে,,, ?
মায়াঃ ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট দাও,,, ( আসতে আসতে) চলো শুভ,,, সিয়া সাদ রোহিত ধীর চলো,,,
সবাই কিছু বুঝতে পারছে না তাও বাধ্য হয়ে মায়ার সাথে বেরিয়ে গেল,,,
To be continued…..