#The_Magic_Of_Love
#পর্বঃ২১,২২ শেষ
#Writer:#মারশিয়া_জাহান_মেঘ
২১
জানালা পর্দা ভেদ করে এক ফালি রোদ্দুর এসে পড়েছে প্রাপ্তির মুখে৷ ছোট ছোট চোখ করে আঁখিজোড়া খোললো প্রাপ্তি। চোখ খুলেই দেখলো রিত্তিক সোফায় বসে ল্যাপ্টপে কাজ করছে।
কি হুরপরী ঘুম ভাঙলো? প্রাপ্তি মাথা উচু নিচু করে বুঝালো হুম। হঠাৎ প্রাপ্তি চমকে উঠে ভাবলো..আরে কাল রাতে কি ওনি আমার সাথে ঘুমিয়েছে?
নাহ হুরপরী আমি সোফায় ঘুমিয়ে ছিলাম। প্রাপ্তি অবাক হলো..এই লোকটা ওর মনের কথাও বুঝে! ওফ। রিত্তিক ল্যাপ্টপের দিকে তাকিয়ে বললো, যাও ফ্রেশ হয়ে এসো। মা অনেকবার ডেকে গেছে তোমায়৷ প্রাপ্তি আর কোনো কথা না বলে ফ্রেশ হতে চলে গেলো।
ভেজা চুলে কি সুন্দর লাগে আমার বউকে..কথাটা বলতে বলতে শার্টের হাতাটা হাফ করছে রিত্তিক। প্রাপ্তির বেশ লজ্জা লাগলেও সে তা প্রকাশ না করে বললো, আপনি অফিস যাচ্ছেন? রিত্তিক ভ্রু কুচকে বললো, বিয়ের পরেরদিন অফিস যাবো? ওফ হুর পরী তুমি যে কি বলোনা।
প্রাপ্তিঃ তাহলো কোথায় যাচ্ছেন।
রিত্তিকঃ আচমকা প্রাপ্তির একদম সামনে এসে ফিসফিস করে বললো, আমার বউয়ের জন্য সারপ্রাইজ আনতে যাচ্ছি।
আচমকা রিত্তিক এতো কাছে আসায় বেশ ঘাবরে যায় প্রাপ্তি। প্রাপ্তি অবাক হয়ে বললো, সারপ্রাইজ! কি সারপ্রাইজ? রিত্তিক মুখটা একটু অসহায় ফেইস করে বললো, সারপ্রাইজ বলে দিলে কি আর সারপ্রাইজ থাকে শুভ্রা রানী!
মা..আমি আয়মানকে বিয়ে করতে চায়..কথাটা বলে অস্তিত্ব এক গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে। সে ধরেই নিয়েছে কথা শুনার সাথে সাথে তার গালে ঠাসস করে এক চড় বসিয়ে দিবে তার মা। কিন্তু অস্তিত্ব অবাক করে দিয়ে তার মা ফিক করে হেসে বললো, সেই ছোট থেকেইতো আয়মানের সাথে তোর বিয়ে পাকা হয়ে আছে। অস্তিত্ব অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে তার মায়ের দিকে। বললো, কি বলছো মা? অস্তিত্বের মা হেসে বললো, আসলে…ছোট থেকেই আয়মানের কিছু হলে তুই কান্না করে সাড়া বাড়ি মাথায় তুলতি..একসময় দেখলাম বড় হওয়ার সাথে সাথে তোরা একে অপরের সাথে মিশে যাচ্ছিস..তাই তোদের বিয়ে দিবো বড় হলে তা আমি আর ইয়ামিনি ডিসাইড করি। অস্তিত্ব দৌড়ে গিয়ে তার মাকে জড়িয়ে ধরে বলে, লাভ ইউ মা..লাভ ইউ সো মাচ।
আয়মান..আমাকে আজই ফিরতে হবে..আর তাছাড়া অস্তিত্বটাতো দেখছোই তোমার জন্য আমাকে এইখানে রেখে চলে গেলো..মুচকি হেসে কথাটা বললো নিরান্বিতা। আয়মান একটু লজ্জা পেলো। তারপর বললো, আপু আর কয়েকদিন থেকে গেলে হয়না? নিরান্বিতা মুখটূ ভেঙে বললো, নাগো বনু হয়না বাট ইনশাআল্লাহ আবার আসবো।
খাবার টেবিলে খুব আদর করে প্রাপ্তিকে এইটা সেইটা নিজের হাতে ভেরে দিচ্ছে মিসেস ইয়ামিনি খান্না। রিত্তিক আড়চোখে প্রাপ্তির দিকে তাকিয়ে বললো, মা..তোমার ছেলেওতো পাশে আছে নাকি! মিসেস ইয়ামিনি খান্না হেসে দিলেন। মা..নিরা আপু আজ চলে যাবে.আয়মানের কথা শুনে মিসেস ইয়ামিনি বললো, ওমা সেকি! নিরা আরো কয়েকদিন থেকে যাও। নিরান্বিতা হেসে বললো, না আন্টি বাবা ডেকে পাঠিয়েছে যেতেই হবে। হৃদ একমনে দেখছে নিরান্বিতাকে। মেয়েটা কেমন জেনো..প্রয়োজন ছাড়া কথাই বলেনা।
রিত্তিক রুমে ডুকতেই দেখলো রুমে প্রাপ্তি নেই। ভাবলো ওয়াশরুমে৷ কিন্তু ওয়াশরুমেও নেই৷ চোখ পড়ে বারান্দায়। দেখলো প্রাপ্তি এক মনে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। হুর পরী..কি দেখছো আকাশে? প্রাপ্তি নিজেও জানেনা কখন রিত্তিক তার পিছে এসেছে। প্রাপ্তি হোঁট করে জড়িয়ে ধরলো রিত্তিককে। রিত্তিক অবাক হয়ে গেছে। বাকরুদ্ধ। সে কখনো কল্পনাও করেনি যে প্রাপ্তি তাকে! নাহ সে আর ভাবতে পারছেনা। রিত্তিক প্রাপ্তিকে আদুরে কন্ঠে বললো, কি হয়েছে আমার বউটার? প্রাপ্তি কেঁদে বলছে, রিত্তিক আমি আমি আমার নিয়তিকে মেনে নিয়েছি৷ কিন্তু আপনাকে যে সমাজ অনেক কথা শুনাবে। আমাদের সমাজে ২য় বিয়ে মানেই নিন্দাসূচক। আপনার দিকে মানুষ আঙুল তুলে বলবে…যে তোর ওয়াইফের আগেও বিয়ে হয়েছিলো৷ কেনো আমার মতো একটা মেয়েকে বিয়ে করলেন কেনো? রিত্তিক এতোক্ষণ চুপ ছিলো এখন বললো, জীবনটা আমার সমাজের নয়। সংসার আমি করবো সমাজ নয়। আমি তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসি নীল পরী। আর একদম কান্না করবেনা..ইশ আমার শার্ট টা পুরো ভিজিয়ে ফেললো নাকের জল চোখের জল দিয়ে। কথাটা শুনতেই দুইজন হেসে ফেললো।
রিত্তিক আর প্রাপ্তি একে অপরের হাত ধরে সিঁড়ি দিয়ে নামতেই হৃদ বললো, রিত্তিক আমাকে আজ রাজশাহী ফিরতেই হবে নয়তো বাবা রেগে যাবে। রিত্তিক কিছু বলার আগে প্রাপ্তি বললো, আপনারা সবাই চলে গেলেতো আমি পুরাই একা হয়ে যাবো। হৃদ হেসে বললো, ভাবী আবার খুব তাড়াতাড়ি আসবো আর রিত্তিক আয়মান,আন্টিতো আছেই। হঠাৎ কলিংবেলের আওয়াজে প্রাপ্তি দরজা খুলতে যায়। মিসেস ইয়ামিনি খান্না রান্নাঘর থেকে বের হয়ে আসেন। সামনে তাকিয়ে দেখে একজন পুলিশ।
পুলিশঃ মিসেস রাইদি কোথায়?
এতোদিন পর নিজেকে কেউ মিসেস রাইদি ডাকাতে বুকটা ধুক করে উঠলো মিসেস ইয়ামিনির। মিসেস ইয়ামিনির আগে রিত্তিক ওর মায়ের দিকে এক পলক তাকিয়ে বললো, আগে বলুনতো কেনো? মিস্টার রাইদি হসপিটালে। যেকোনো সময়..কিছু হতে পারে…
মিসেস ইয়ামিনি ফ্লোড়ে পড়ে গেলেন৷ প্রাপ্তি এইসবের কিছুই বুঝতে পারছেনা।
মিসেস ইয়ামিনি সোফায় চোখে পানি নিয়ে বসে আছেন। সামনে রিত্তিক আয়মান ও রওনক। রওনক রেগে বললো, মা ওনি বাংলাদেশে কখন এসেছে? রিত্তিক বললো, মা তুমি জানতে? মিসেস ইয়ামিনি হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়ালো। রিত্তিক পাশে থাকা ফ্লাওয়ার বাসকেট টা ফ্লোড়ে ছোড়ে মেরে বললো, মাআআআ ওনি কেনো এসেছেন বাংলাদেশে কেনো বলো কেনো।
বাবা…আপনি আমাকে এই জন্য এতো তাড়াতাড়ি আসতে বলেছেন? হৃদের কথা শুনে হৃদের বাবা মিনহাজ সিনহা গম্ভীর হয়ে বললেন, হুম এর জন্য। আর এই নিয়ে আমি আর একটা কথাও বলতে চায়না হৃদ। মিনহাজ সিনহা সোফা থেকে উঠে নিজের রুমে চলে গেলেন। হৃদ অসহায় ফেইস নিয়ে তার মা আহানা সিনহাকে বললো,মা…
দেখো হৃদ তোমার বাবা যা বলেছেন তাই হবে। আর তাছাড়া আমিও চায় কেউ আসুক আমার সাথে ঘর সামলানোর দায়িত্ব নিক। এইটা বলে আহানা সিনহাও চলে গেলেন। হৃদ চুপ হয়ে ভাবছে, সে জানে তার বাবা একবার যা বলেছে তার কোনো নড়ছড় হবেনা।
নিরা ছেলে অনেক ভালো তাই আমি চায় বিয়েটা তাড়াতাড়ি হয়ে যাক। নিরান্বিতা তার বাবার কথা শুনে বললো, বাবাই তুমি তো জানো এখন আমি বিয়ে করতে চায়মনা তাও কেনো জোর করছো? নিরান্বিতার বাবা মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন দেখ মা..তোর মা মারা যাবার পর তোর কোনো ইচ্ছেতে আমি বাধা দেয়নি তাই আমি চাই আমার এই অনুরোধটা তুই রাখ।
প্রাপ্তি জেনে অবাক যে মিস্টার আর্জিব রাইদি তার শুশুর। সে নাকি মিসেস ইয়ামিনির ভাসরকে খুন করেছে। যেই ভাসর ওনার আপন ভাইয়ের মতো ছিলো। ওইদিনের পর ওনাকে আর বাংলাদেশে দেখা যায়নি।
চলবে…….
#The_Magic_Of_Love
#পর্বঃ২২ এবং অন্তীম
#Writer:#মারশিয়া_জাহান_মেঘ
প্রাপ্তি রেডি হয়ে নাও বাইরে যাবো।
মানে? কোথায় যাবেন আমাকে নিয়ে?
ওফ চলোইনা হুরপী…তাড়াহুড়ো করে প্রাপ্তিকে রেডি হতে বলে…চলে গেলো রিত্তিক। প্রাপ্তিও গোলাপি রঙের একটা শাড়ী পরে রেডি হয়ে নেই।
মিসেস ইয়ামিনি খান্না ভেতরে ভেতরে স্বামীর জন্য ভেঙে পড়লেও তা প্রকাশ করেননি।
নিজের বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে এসে নিরান্বিতাকে পাত্রীর জায়গায় দেখে চোখ বড় বড় করে ফেলে হৃদ সিনহা। নিরান্বিতার একি অবস্থা। নিরান্বিতা বসা থেকে দাড়িয়ে অবাক ভঙিতে বললো,,আপনি! মিনহাজ সিনহা তোমরা একে -অপরকে চিনো? নিরান্বিতা আমতা আমতা করে কিছু বলতে যাবে তার আগেই বললো, না মানে বাবা ওনাকে আমি আমার অফিসে দেখেছিলাম। ওনার ফ্রেন্ডের সাথে তাই আর কি…
প্রাপ্তির চোখে কালো পটি বাঁধা। রিত্তিক তাকে সারপ্রাইজ দিবে বলে এইরকম করেছে সে। প্রাপ্তি বার বার বলছে এই কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন বলুন না…রিত্তিক বললো, ইশ হুরপরী চুপ থাকো আমি আছিতো।
প্রাপ্তির চোখের পটি খুলে দিতেই প্রাপ্তি পুরাই হা। অবাক হয়ে আছে সে। কি সুন্দর ফুলের দোকান। উপরে লিখা হুরপরীর ফুলের রাজ্য। রিত্তিক দুইহাত ছেড়ে বললো, সারপ্রাইজ..। প্রাপ্তির চোখে পানি টলমল করছে। নাহ..এই চোখের পানি দুঃখের নয় সুখের। প্রাপ্তি দৌড়ে গিয়ে রিত্তিক কে জড়িয়ে ধরে। রিত্তিক প্রাপ্তিকে আদুরে সুরে বললো, হুর পরী এতেই এতো কান্না! আরেকটা গিফট আছে তোমার জন্য..প্রাপ্তি তাকিয়ে বললো,কি? রিত্তিক হাতে একটা টিকেট দেখিয়ে বললো…হানিমুন…..
হানিমুনে যেতেই সামনে ওলফা আর তার বাবাকে দেখে ভরকে যায় রিত্তিক। সাথে অনেক গুন্ডা। রিত্তিক বললো. কি চায়? ওলফা হেসে বললো তোমাকে বেবি। প্রাপ্তি রিত্তিকের হাতটা ঝাপটে ধরে বললো, আমার থেকে আমার রিত্তিককে কেউ কেড়ে নিতে পারবেনা। এইটা শুনতেই ওলফা গুন্ডাগুলোকে ইশারা দিলো হামলা করতে. রিত্তিক একটার পর একটা ফাইট করে যাচ্ছে। এর মধ্যে ওলফা বললো,, তুমি আর একটাও কাউকে আঘাত করলে তোমার ওয়াইফকে প্রাণ দিতে হবে রিত্তিক। ওলফার কথায় থমকে যায় রিত্তিক। মিস্টার শেখ তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললো, আজ তবে সব বলেই দেয়। রিত্তিক বললো…মানে? আমিই নিরহাম রাইদিকে খুন করেছি আর সেই খুনের বদনাম তোমার বাবা আর্জিব রাইদিকে দিয়েছি। রিত্তিক অবাক হয়ে বললো কি! আমার চাচাকে তুই মেরেছিস? মিস্টার শেখ হোহো করে হেসে বললো, শুধু তাই নয় তোমার মায়ের নামে ওই চরিত্রহীনতার… দাগ টাও আমার প্ল্যানে হয়েছে..হাহা..রিত্তিক মিস্টার শেখের গলায় ধরে বললো, তোকে আমি ছাড়বোনা শয়তান…তোকে আমি ছাড়বোনা.
রিত্তিক…. প্রাপ্তির আর্তনাদের চিৎকারে থমকে যায় রিত্তিক। প্রাপ্তিকে খাদে ফেলে দিয়েছে ওলফা। মাটিতে ভেঙে পড়ে রিত্তিক। পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যায় ওলফা আর মিস্টার শেখকে।
প্রাপ্তির ছবির সামনে দাড়িয়ে আছে রিত্তিক। চোখে তার পানি। আর্জিব রাইদি এই বাড়িতে আছে এখন। রিত্তিক সবাইকে সত্যিটা বলে দিয়েছে। রাইদি বাড়ি সেজে উঠেছে নতুন সাজে। ভাইয়া তুমি রেডি? রওনক এর ডাকে হুশ ফিরে তার। রিত্তিক হেসে বলে হুম। প্রাপ্তি মারা চলে যাওয়ার ৫ বছর পূর্ণ হলো আজ।
নম্রতার সাথে আজ রিত্তিকের বিয়ে। রিত্তিকের মায়ের অনুরোধে এই বিয়ে করতে হচ্ছে নম্রতাকে। রওনক এর কাছে বার বার হাতে ধরে মিনতি করেছিলো তার আর রওনকের সম্পর্কের কথা জানিয়ে দিতে। কিন্তু রওনকের উত্তর ছিলো “তার ভাইয়ের জন্য সে জীবনও দিয়ে দিতে পারে।
কিরে অস্তিত্ব আর আয়মান আসেনি?
না ভাইয়া ফোনে বললোতো আসছে।
হৃদ এসে জড়িয়ে ধরে রিত্তিককে। সাথে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছে নিরান্বিতা। বিয়ের পর সে বুঝতে পেরেছে অস্তিত্বকে তার ভালো লাগতো আর হৃদকে সে ভালোবাসে।
মামা..মামা…আজ বউ আলতে তাবে? আরিয়ার কথা শুনে রিত্তিক হেসে বললো হুম। আয়মানের কোল জুড়ে এসেছে আরিয়া। সবে মাত্র কথার বুলি ফুটেছে তার।
নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে এইভাবে নিজের ভাইয়ের হয়ে যেতে দেখে কষ্ট পেলেও প্রকাশ করলোনা রওনক।
নম্রতা কবুল বলতে যাবে..রিত্তিক…. এই একটা ডাকে থমকে যায় পুরো বাড়ি। রিত্তিকের বুকের ভেতর ধক করে উঠে। পিছে তাকিয়ে দেখে তার চেনা সেই মুখ। কি করে সম্ভব? প্রাপ্তি!
রিত্তিক শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে প্রাপ্তিকে।
প্রাপ্তিঃ ৫বছর আমার স্মৃতি শক্তি হারা ছিলাম। আমি সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে একজন মাঝির কাছে চলে গেছিলাম। সেই মাঝি আমাকে তুলে নেয়। ( কান্না করতে করতে কথাটা বললো প্রাপ্তি। পুরো বাড়ি নিস্তব্ধ হয়ে আছে। ফাতেমা বেগম আলেয়া বেগমের চোখে পানি।
বাসর ঘরে বসে আছে নম্রতা আর রওনক। অভিমানী নম্রতা তাকাচ্ছেইনা রওনক এর দিকে।
রওনকঃ মাফ করে দাও কলিজা।
….
প্লিজ কথা বলো..
নম্রতা কান্না করে জড়িয়ে ধরে রওনক কে।
ফুলে সজ্জিত রুমে প্রাপ্তি আর রিত্তিক।
প্রাপ্তিঃ ওলফা কোথায় এখন।
রিত্তিকঃ জেলে। রিত্তিক পিছন থেকে প্রাপ্তির কোমড়ে ধরে কাঁধে থুতনিটা রেখে বললো, #The_Magic_Of_Love এর জন্যইতো তোমায় আমি আবার ফিরে পেয়েছি হুরপরী। প্রাপ্তি লাজুক ভঙিতে বললো, হুম। রিত্তিক প্রাপ্তিকে পাজা কোলে রুমে নিয়ে বিছানায় ফেলে। ভেসে যায় দুজন সুখের সমুদ্রে।
…. সমাপ্ত….
?ওদেরকে বিরক্ত করবেন না কেমন?