Drama_Queen_VS_Mr_Handsome,Part_13,14

0
2058

Drama_Queen_VS_Mr_Handsome,Part_13,14
Writer_Neela
Part_13
.
.
নীলা কিচেনে চেয়ার নিয়ে বসে আছে আর আম্মু কাজ করছে আর বকবক করছে।

আম্মু: কতো ফোন নিয়ে বসে থাকবি এইবার একটু সহযোগিতা কর উঠ।

নীলা: মিহুউউউ মা তোকে কাজে সাহায্য করতে বলছে।।

আম্মু: মিহু অলরেডি একটা কাজ করছে এখন তুই ও কর।

নীলা: আম্মু তুমি ভাবো তোমার বড় মেয়ের বিয়ে তোমার ছোট মেয়ে যদি করে এইটা অশুভ লক্ষণ। আর আমি যদি কাজ করি আমার ফেসবুক এর নিউজফিড কে দেখবে।

আম্মু: তুই কি আসবি??

নীলা কাঁদো কাঁদো ফেস নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিলো [“উয়াং হুয়াং চুয়াং হুয়াং ফুয়াং চি চে চু চাক চাক চাক ঝাকানাকা ঝাকানাকা ইয়ুউউ টু টু টু।
ট্রান্সলেটঃ আম্মু রাগে চাইনা হয়ে গিয়েছে চু চু চু করে আমাকে বকছে বলেছে চাকচাকচাক করে কাজ করতে তাই এখন আর আমি রিপ্লাই দিতে পারবো না কারো আর নিউজফিড আমাকে মিস করো না আমি এসে পড়বো”]

নীলা চুপচাপ কাজ করতে লাগলো হঠাৎ বেল বাজলো নীলা পাত্তা না দিয়ে ও ওর মতো ম্যাংগো জুস বানাচ্ছে।

আম্মু: নীলা যা না দেখ বেল বাজালো কে?

নীলা: আমি একটা করছি না তুমি করো।

আম্মু:চুলায় মাংস ভাজছি পুরে যাবে,মিহু ছাদে, মানিক মিষ্টি আনতে গিয়ে হারিয়ে গেছে।

নীলা ধারুমধুরুম করে উঠে মুখ ফুলিয়ে দরজা খুলতে চলে গেলো আর বলতে লাগলো।

নীলা: ধুররর ভালো লাগে না সব কাজ আমাকে দিয়ে করায়

নীলা দরজা খুলে দেখলো মিসেস শাহানা,মেঘ,মেঘের বাবা,নীলের মা, নীলের বাবা। নীলা নিচের দিকে তাকিয়ে দেখলো দাদি ফোকলা দাতে নীলার দিকে তাকিয়ে হাসছে আর ভাব নিয়ে নড়ে চড়ে বসছে নীলা দাদিকে দেখেই ভেংচি কাটলো। নীলা হাসি মুখে সবার দিক তাকিয়ে বললো___

নীলা: আরে আপনারা!!! আসুন আসুন ভিতরে আসুন।

সবাই হাসি মুখেই ভিতরে ঢুকলো। নীলের মা ভিতরে ঢুকে নীলার গালে হাত দিয়ে বললো___

নীলের মা: বাহ বেশ মিষ্টি তো তুমি তোমার নাম কি?

নীলা: জি আন্টি আমার নাম নীলা। আন্টি আপনার নাম কি? আপনি না অনেক সুন্দর।

নীলের মা হেসে দিয়ে বললো আমার নাম “মিসেস সাবিনা খান” তোমার সাথে পরিচয় হয়ে খুব ভালো লাগলো।

নীলা হাসি মুখে তাকালো। মিসেস শাহানা ডাকাতে মিসেস সাবিনা নীলার পাশ থেকে চলে গেলো। নীলা গেইটে উকি দিতে লাগলো।

নীলা:[কি আজিব মিস্টার হ্যান্ডসাম কই গেলো]

দাদি: এই মেয়ে খবরদার আমার নাতির দিক চোখ দিবি না চোখ তুলে নিবো।

নীলা: তুমি তো আর ক’দিন পর এমনিতেই লটকায় যাবা তোমার নাতির খেয়াল রাখবে কে শুনি।

দাদি: এই লটকায় কি হ্যা লটকায় কি?

নীলা: উফফ বুড়ি তুমি না বারবার আমাদের মধ্যে কাটা হচ্ছো যাও তোমার নাতিটা আমার দিকে একটু তাকায় আর তুমি তখনি। আর লটকায় কি মানে জিজ্ঞেস কেনো করছো? কখনো কি মরবা না? বয়স তো কম হলো না একটু পর্দা করো।

দাদি: আগে তুই পর্দা কর বজ্জাত সেমরি যা এইদিক থেইকা আমার নাতির লেইগ্গা তোর থেকেও ভালো ভালো মাইয়া পাবো।

নীলা: ওওও দাদি!!! তুমি ভাবো তোমার সাথে কি এতো ভালো ভাবে কেউ থাকবে তোমার অনেক সেবা যত্ন করবো আমি তেল মালিশ ও করে দিবো।

দাদি: ঠিক আছে ভেবে দেখবো আগে একটা শর্ত পূরণ করতে হবে।

নীলা খুশি হয়ে দাদির হুইল চেয়ারের সামনে হাটু গেরে বসে পরলো। দাদি হেসে বললো___

দাদি: তোদের হানিমুনে আমিও যাবো আর তোরা যে রুমে থাকবি আমিও সেই রুমেই থাকবো।

নীলা হাআ হয়ে দাদির দিকে তাকিয়ে চোখের দু’বার পলক ফালিয়ে তেরে উঠলো___

নীলা: তোমার নাতি কে তোমার কাছেই রেখো আর তোমার যদি তোমার নাতি কে বিয়ে করতে ইচ্ছে করে বইলো আমি ওয়েডিং প্ল্যানার তোমাদের বিয়ের সব কাজ আমিই করবো এর জন্য আমাকে ১ টাকাও দিতে হবে না শুধু মাত্র তোমাদের হানিমুনে আমাকে নিয়ে যেও আর তোমাদের দুজনের মাঝে আমি শুবো কেমন?

দাদি: নাউযুবিল্লাহ তোর লজ্জা করে না স্বামী স্ত্রীর হানিমুনে যাবি আবার মাঝে শুবি।

নীলা: তোমার লজ্জা করে না? বুড়ির শখ কতো। এই মিনু আপা দাদি কে নিয়ে যাও তো।

দাদির কেয়ারটেকার এসে দাদিকে নিয়ে গেলো। নীলা মুখ ভেংচি কেটে যেই দরজা টা আটকাতে যাবে তখনি দেখলো নীল সান গ্লাস খুলতে খুলতে তার দিকে জোরে জোরে হেটে এগিয়ে আসছে আর বাতাসে তার চুলগুলো উরে এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে।

নীলা: হায় মে মার যাওয়া।‌[ব্ল্যাক জিন্স,ব্ল্যাক টি শার্ট, লাইট বোটল গ্ৰিন ব্লেজার,ব্রাউন শু] ????

নীলা নীলের দিকে তাকাতে তাকাতেই হঠাৎ পিছনে আরেকজনের দিকে চোখ গেলো সাথে নীলার চোখ ছোট হয়ে গেলো।

নীল: কি হলো সাইড দিচ্ছো না কেনো?

নীলা: তার আগে আপনি আমাকে বলুন আপনার এতো দেরি হলো কেনো?

নীল ভ্রু কুঁচকে নীলার দিকে তাকিয়ে রইলো।

নীল: হুয়াট!!! টোটাল রাব্বিশ।

নীল নীলাকে পাশ কাটিয়ে ভিতরে ঢুকে গেলো।

নীলা: উউউউউফফফফফ। এই অদ্ভুত প্রানীটাও না একদম খারাপ হুহ।

দরজার ভিতর দিয়ে একজন ভিতরে ঢুকতে নিলেই নীলা সাথে সাথে দরজা আটকিয়ে নিতে চাইলো যে আসতে চাইলো সে দরজা টা ধরে বললো__

ছেলেটি: আরে দরজা আটকাচ্ছেন কেনো আজব।

নীলা: এই আপনি আমাকে ফলো করতে করতে এই বাসা পর্যন্ত এসে পরেছেন আপনার সাহস তো কম নয়।

ছেলেটা: দেখুন ফাজলামোর ও একটা লিমিট থাকে আপনি তা ক্রস করে ফেলছেন।

নীলা: জি সেইটা আমি জানি এই বানী টা আমার প্রতিদিন শুনতে হয় আপনি আসতে পারেন যান বলছি।

ছেলেটি: দেখুন ভালো হবে না বলে দিচ্ছি।

নীলা: দেখুন আপনি যতোই আপনার ক্যামেরা গলায় ঝুলিয়ে মাথায় চুলে জেল দিয়ে ঘুরেন না কেনো আমি আপনাকে একদম পাত্তা দিবো না হুহ।

ঈশান: আম্মিইইই আম্মিইইইই!!!

মিসেস শাহানা দৌড়ে আসলো দেখলো নীলা ঈশান কে ভিতরে ঢুকতে দিচ্ছে না মিসেস শাহানা চোখ রাঙিয়ে তাকালো নীলার দিকে।

নীলা: এই আপনি কাকে আম্মি আম্মি করছেন?

মিসেস শাহানা: আমাকে।

নীলা ভয়ে ভয়ে একটা ঢোক গিলে পিছনে ফিরে তাকিয়ে সাথে সাথে দরজা টা ছেড়ে দিলো।

নীলা: আ আ আ আন্টি আপনি!!

মিসেস শাহানা: হুম আমি। ও আমার ছেলে ঈশান ওকে আসতে দাও।

নীলা: স স স সরি আন্টি।

মিসেস শাহানা উল্টো দিকে ঘুরে হাটা শুরু করলো ঈশান নীলার দিকে দুষ্টু চোখে তাকিয়ে শার্টের হাতা ফোল্ট করতে করতে বাসায় প্রবেশ করলো নীলা রাগি চোখে তাকিয়ে আছে ঈশানের দিকে আর ঈশান নীলার দিকে তাকিয়েই একটা চোখ টিপ দিলো।



চলবে,,,,

,❣Drama_Queen_VS_Mr_Handsome❣
#Writer_Neela
#Part_14
.
.
নীলা ছাদে যেয়ে চুপ করে বসে আছে ছাদ থেকে নিচের বাচ্চাদের ক্রিকেট ম্যাচ দেখছে।

মিহু: নীলা তুই এইদিকে একা একা কি করছিস বলবি আমাকে?

নীলা: এই তুই না এই বিয়ে টা করিস না।

মিহু: হঠাৎ এই কথা কেনো?

নীলা: তোর শাশুড়ি একটা দজ্জাল তোর জামাই একটা শয়তান এই দুইটা তোর লাইফ নাজেহাল করে ছাড়বে।

মিহু:আমার কিছু হবে না [হেসে দিয়ে]

নীলা: তুই কি আমার কথা শুনবি না।

মিহু: নীলা!! পাগলামো করিস না আমাকে প্রথমেই কেনো আটকালি না বলতো এখন যদি আমি উনাদের যেয়ে এই কথা টা বলি তাহলে নিশ্চিত কোনো গন্ডগোল হবে।

নীলা কিছু বলতে যাবে তার আগেই মানিক এসে বললো___

মানিক: মিহু আপু তোমাকে ডাকছে। আর এই ঝাসি কি রানি চলো এইদিকে কি?

মিহু হেসে দিয়ে নিচে চলে গেলো। নীলা চোখ রাঙিয়ে মানিকের দিকে তাকিয়ে বললো___

নীলা: তোর দুলাভাই খুজি যা।

মানিক: নাউযুবিল্লাহ তোর লজ্জা শরম বলতে কিছু নাই তাই না।

নীলা তেরে আসলো মানিকের সামনে মানিক দৌড়ে চলে গেলো। নীলা ছাদের রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ ই নিচ থেকে ডাক পরলো নীলা তাকিয়ে দেখলো যেসব ছেলেরা ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে তারাই নীলাকে ডাকছে নীলা ভ্রু কুঁচকে নিচে তাকালো___

ছেলেটা: এই নীলাদিইইই

নীলা: কি হয়েছে কি ডাকছিস কেনো?

ছেলেটা: আজ খেলবে না?

নীলা: না রে তোরা খেল আজ ইচ্ছে করছে না।

ছেলেটা: নীলাদিই প্লিজ আসো না।

নীলা: পরে খেলবো যে ভাই আজ ইচ্ছা করছে না বাসায় মেহমান ভর্তি।

ছেলেটা: আচ্ছা তাহলে কাল খেলবে?

নীলা: ঠিক আছে পাক্কা।

ছেলেটা হেসে দিয়ে খেলায় মনোযোগ দিলো। নীলা হেসে দিয়ে নিচে চলে গেলো। তখনি মায়ের ডাক পরলো___

আম্মু: এই তুই এতোক্ষণ কি করছিলি রেডি হস নি কেনো?

নীলা: আমি রেডি হয়ে কি করবো।

আম্মু: সবার দিকে তাকা আর একটু নিজের দিকে তাকা যা রেডি হয়ে আয়।

নীলা চলে যেতে নিলে আম্মু ডাক দেওয়ায় পিছু ফিরে তাকায় আম্মুর দিকে __

আম্মু:‌শোন বেশি দেরি করবি না এখনি সবাই খেতে বসবে।

নীলা: ঠিক আছে ঠিক আছে ?

নীল: কি হয়েছে তুই আশে পাশে কি দেখছিস?

ঈশান: ব্রো বাসা টা অনেক সুন্দর তাই না।

নীল: সুন্দর না? আমার কাছে ও অনেক সুন্দর লাগে সবই পুরাতন সামগ্ৰী তুই জানিস সেইজন্য আমি বাসায় বেশি আসি।

ঈশান: এখন থেকে তুই আসলি আমাকেও নিয়ে আসবি ঠিক আছে।

নীল: সত্যি আসবি তো

ঈশান: আরে হ্যা।

সবাই যার যার মতো কথা বলছে এমন সময় নীলা আসলো সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে। নীল এবং ঈশান দু’জন ই নীলার দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে। নীলা বোটল গ্ৰিন লং থ্রিপিস পরেছে আর চোখে হালকা কাজল ঠোটে হালকা গোলাপি লিপস্টিক।

ঈশান: ওয়াও?

নীল: কি হয়েছে ঈশান।

ঈশান: কিছু না তো।

নীলা ঈশানের দিকে তাকিয়েই ভ্রু কুঁচকে ফেললো কেনো যেনো এই ঈশান কে দেখলেই নীলার রাগ উঠে।
।।

সন্ধ্যায়,,,,

বাসায় এক রকম ভাপা পিঠার উৎসব চলছে। নীলা তো মহা খুশি। মিহু আম্মুর সাথে রান্নাঘরে মিহু বানিয়ে দিচ্ছে আর আম্মু ভাপ দিচ্ছে। নীলা ডাইনিং টেবিলে বসে এক ধ্যানে গালে হাত দিয়ে নীলের দিকে তাকিয়ে আছে। নীল প্রচুর অস্বস্তি বোধ করছে।

নীল নীলার সোজা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছিলো আর উল্টো দিকে ঘুরে ছিলো ঈশান। নীল ঈশান কে তার জায়গায় দাড়া করিয়ে নিজে ঈশানের দিকে দাঁড়িয়ে রইলো।

ঈশান তো খুশিতে আটখানা নীলার দিকে এখন সে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে আর নীলা অস্বস্তি বোধ করছে।

নীলার এখন নীলের উপর রাগ উঠছে টেবিলে বাড়ি দিয়ে চলে গেলো কিচেনে। হাতে চাকু নিয়ে আর ফ্রিজ থেকে মরিচ বের করে কাটতে লাগলো___

মিহু: কি হয়েছে এইটা কি করছিস।

নীলা: স্পেশাল বিয়াই এর জন্য।

মিহু: এমন কিছু করবি না তুই রাখ।

আম্মু: আরে করুক না বিয়াইন রা বিয়াই দের সাথে মজা করবে না তো কে করবে শুনি।[হেসে দিয়ে]

নীলা: এই না হলো আমার আম্মি উম্মাহ ?

নীলা পিঠা বানিয়ে ট্রে তে করে সুন্দর করে সাজিয়ে ঈশানের সামনে এসে দাঁড়ালো। একটা পিঠা নরমাল আরেকটা মরিচে ভরা। নীলা একটা প্রিজ নিয়ে ঈশানের সামনে দাঁড়িয়ে বললো__

নীলা: এই নিন এইটা আপনার।

ঈশান: ওহ থ্যাংক ইয়ু সো মাচ।

নীলা একটা শয়তানি হাসি দিলো নীলার হাসি দেখে ঈশান ও হেসে দিলো। নীলা এইবার নীলের দিকে ঘুরে তাকালো। নীল নীলাকে দেখেই ভ্রু কুঁচকে তাকালো। নীলা মুচকি হেসে নীলকে দিলো এক চোখ টিপ। নীল একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেললো নীলা সেটা দেখে ভ্রু কুঁচকে রাগি চোখে নীলের দিকে তাকিয়ে পিঠার প্রিজ নীলের হাতে ধরিয়ে দিলো।

নীলা: ভালো করে খাবেন খেয়ে বলবেন কেমন হয়েছে আমি নিজ হাতে বানিয়েছি।

নীল: হুম আল্লাহ ভরসা।

নীলা: হুম আম্মুকে একটা খাইয়েছি বলেছে‌ অনেক টেস্ট হয়েছে।

নীল: কিন্তু!!!

ঈশান: তোকে এতো করে বলছে নিশ্চিত তোর পিঠায় স্পেশাল কিছু আছে দেখি তোরটা আমাকে দে আর আমার টা তুই নে।

নীল কিছু বললো না নীলা টেনশনে পরে গেলো__

নীলা: না না না যার যার টা সে সে খান।

ঈশান কোনো কথা শুনলো না সে তার মতো খাওয়া শুরু করলো আর নানা রকম চেহেরার অঙ্গিভঙ্গি করতে লাগলো।

ঈশান: আপনি তো বেশ ভালো পিঠা বানান।

নীল: সত্যি নাকি।

নীলা: প্লিজ আপনি এই পিঠা খাবেন…

নীলা আর কিছু বলতে পারলো না তার আগেই নীল সেটা মুখে দিয়ে ফেলেছে। নীলা রেগেমেগে আগুন হয়ে আছে ঈশানের দিকে রাগ দেখিয়ে আস্তে আস্তে পিছ পা হতে লাগলো।



চলবে,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here