?#The_Hate_Story? ?#Madness_Love?,06,07

0
1703

?#The_Hate_Story?
?#Madness_Love?,06,07
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_6

শবনম রুমে এসে আযানের ছবি বুকে জড়িয়ে কাঁদতে থাকে।

শবনমঃ আমি জানি আযান এটা তুমিই ছিলে। এটা আমার ভ্রম ছিলো না। তুমি কেন এমন করছো কেন আমার থেকে নিজেকে আড়াল করছো। সবাই বলে তুমি নেই সব আমার ভ্রম। কিন্তু আমি কেন বিশ্বাস করতে পারি না যে তুমি নেই। কেন আমার মন বার বার বলে তুমি আমার আশেপাশেই আছো।

আমার নিঃশ্বাস চলছে মানে তোমারো নিঃশ্বাস চলছে। প্লিজ ফিরে এসো। please come back. ???

শবনম উঠে ড্রয়ার থেকে একটা মেডিসিনের বোতল বের করলো। ওটা থেকে দুই তিনটা টেবলেট বের করে খেয়ে আবার ফ্লোরে বসে পরলো।

শবনমঃ তুমি যাওয়ার পর থেকে এটাই আমার সাথি (বোতলটা হাতে নিয়ে) এটা নেওয়ার পর আর কোন কষ্টই অনুভব হয় না।

শবনম কাঁদতে কাঁদতে ফ্লোরেই ঘুমিয়ে পরে।

এইদিকে,,,,

শবনমের ছবি টেবিলে রেখে নিজের Alcohol bar এ আধার বসে আছে । ও একটার পর একটা ড্রিংক করেই যাচ্ছে। সার্ভেন্টরা সব দূর থেকে দাঁড়িয়ে শুধু দেখছে। কারও সাহস হচ্ছে না এই মুহুর্তে আধারের সামনে যেতে।

আধার পুরো ড্রাংক হয়ে গেছে। চোখ জোড়া অসম্ভব লাল হয়ে গেছে ওর। শবনমের ছবির দিকে তাকিয়ে আধার বলতে শুরু করে,,,,

আধারঃ ভালোবাসা চাইলে মানুষকে আবাদ করতে পারে আবার ঐ ভালোবাসাই মানুষকে বরবাদ করতে যথেষ্ট।

আমি তোমাকে ভালোবেসে শুধু বরবাদ হয়েছি এখন তোমাদের সময় বরবাদ হওয়ার।

সকালে,,,,

পর্দার আড়াল থেকে সূর্যের আলো চোখে পরতেই ঘুম ভেঙ্গে গেল শবনমের। মাথাটা প্রচন্ড ব্যাথা করছে ওর। কান্না করতে করতে চোখ মুখ ফুলে গেছে।

শবনম উঠে ফ্রেশ হতে চলে যায়। শবনম ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আয়নায় দাঁড়িয়ে চুল মুচছিলো। হঠাৎ করে ওর কাশি উঠে যায়।কাশতে কাশতে ওর নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম।

কাশি শেষ হতেই শবনম বেডে মাথা চেপে বসে পরে। হঠাৎ হাত দিয়ে মুখ ধরতেই হাতে কিছু ভেজা অনুভব করে ও। শবনম হাত এগিয়ে এনে দেখে হাতে রক্ত। শবনম তারাতারি উঠে আয়নার সামনে চলে যায়। আয়নায় তাকিয়ে দেখে ওর নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে আর মুখ থেকেও বেশ খানিকটা রক্ত বেরিয়েছে।

শবনম রক্ত পরিষ্কার করতে আবার ওয়াশরুমে চলে যায়।

ডাইনিং টেবিলে বসে শবনমের জন্য অপেক্ষা করছেন মায়া। শবনম রেডি হয়ে এসে মায়ার পাশে বসে।

শবনমঃ Good morning ammu.

মায়াঃ Morning. Shabnam are you alright.

শবনমঃ Yeah আমার আবার কি হবে। আমি ঠিক আছি।?

রাফি কিছু কাগজ এনে মায়ার হাতে দেয়।

রাফিঃ ম্যাডাম সবাইকে কার্ড পাঠিয়ে দিয়েছি। মি. রেজওয়ানকেও পাঠিয়েছি। উনি বলেছেন আজকে আসবেন।

মায়াঃ তাহলে তো ভালোই। উনার সাথে পরিচয় হয়ে যাবে। একসাথে বিজনেস করছি অথচ উনাকে আজো দেখি নি। তাইনা শবনম।

শবনমঃ হুম। আমার জানা মতে লোকটি অনেক এরোগেন্ট। সেদিন এতো কষ্ট করে মিটিং আরেঞ্জ করেছিলাম আর উনি ফোন করে না বলে দিয়েছিলেন। Such a arrogant and irresponsible person.

মায়াঃ হয়তো কোন প্রবলেম ছিল আম্মু। না জেনে কাওকে মন্দ বলতে নেই।

শবনমঃ হ্হ প্রবলেম মাই ফুট ??

মায়াঃ শবনম আজকে এঙ্গেজমেন্ট বিকেলে পার্লারের মেয়েরা আসবে তোমাকে সাজাতে।

এঙ্গেজমেন্টের কথা শুনে শবনমের 2 বছর আগের কথা মনে পরে গেল। শবনম চায় না ওর আম্মু ওর জন্য আরো কষ্ট পাক তাই নিজেকে সামলে নিয়ে মুখে হাসি টেনে ও মায়াকে বলল,,

শবনমঃ আমি জানি আম্মু Don’t worry…. ?

মায়া জানে শবনমের এই হাসি নেচারাল না। ও বাইরে দিয়ে নিজেকে যত ভালো দেখাচ্ছে ভেতর দিয়ে ততই কষ্টে শেষ হয়ে যাচ্ছে।

সন্ধ্যায়,,,,,,

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখছে শবনম। 2 বছর আগেও ও সেজেছিলো ওর আযানের জন্য। কিন্তু আজ ও সেজেছে অন্য কারো জন্য। চোখে পানি জমে আছে কিন্তু চোখ দিয়ে এক ফোঁটাও পানি পরছে না। হয়তো চোখের পানিও আর বের হতে চাইছে না।

(শবনম সাদা ক্রিস্টালের লেহেঙ্গা,, সাদা স্টোনের জুয়েলারী। মাথায় হাল্কা গোলাপী রঙের স্টোনের কাজ করা নেটের ওরনা। হাল্কা মেকআপ চুল গুলো পাফ করে খোপা করা।)

এইদিকে,,,,

হাল্কা গোলাপী রঙের শার্ট, হোয়াইট ক্রিস্টালের গলায় কাজ করা কোট, হাল্কা গোলাপী টাই, হোয়াইট প্যান্ট। হাতে ক্রিস্টাল ওয়াচ আর সুজ পরে রেডি হয়ে নিজেকে আয়ানায় দেখছে আধার।

আধারঃ আমি আসছি তোমাদের খুশিতে আগুন লাগাতে। তোমাদের বরবাদ করতে,,, আধার রেজওয়ান এই নামটা তোমরা কখনো ভুলবে না। আমি তোমাদের ভুলতে দিবো না। (with devil smile)

সবাই পার্টি ইঞ্জয় করছে। সূর্যের তো চোখ সরছে না শবনমের উপর থেকে। শবনমের অনেক বিরক্ত লাগছে সূর্যের চাহনি।
সূর্য আর শবনমকে এক সাথে বসিয়ে রাখা হয়েছে যার কারনে বেচারী কিছু করতেও পারছে না।

শবনমঃ উফফ এই সূর্যের বাচ্চা থুক্কু আশরাফের বাচ্চা সূর্য আমার দিকে সব সময় এমন ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকে কেন। ইচ্ছে করছে ওর চোখের ভিতর বোম্বাই মরিচের গুড়া ঢুকিয়ে দেই। Ridiculous person.

মায়া দুটো রিং এনে শবনমের সামনে রাখলো। সূর্য একটা রিং হাতে নিলো আর মায়া শবনমের হাতে একটা রিং তুলে দিলো।

শবনমের হাত কাঁপছে ও রিংটা হাতে নিয়ে বারবার দরজার দিকে তাকাচ্ছে। ওর লাগছে এই বুঝি আযান এসে পরবে। সূর্য শবনমের হাত ধরে ওকে রিং পরিয়ে দিলো। তারপর নিজের হাত এগিয়ে দিলো। শবনম কাঁপাকাপা হাতে রিংটা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো হঠাৎ রিংটা শবনমের হাত থেকে নিচে গড়িয়ে পড়ে। শবনম তাকিয়ে দেখে রিংটা দরজার সামনে কারো পায়ের সামনে পরে আছে,,, ( ফিল্মি স্টাইল ?)
শবনম লোকটির চেহারার দিকে তাকিয়ে বসা থেকে দাঁড়িয়ে যায়। ওর সাথে সাথে সবাই ভূত দেখার মতো চমকে গেছে।

আযান ওদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। সবাই যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না।

আধার রিংটা হাতে তুলে নেয় তারপর এগিয়ে এসে শবনমের সামনে রিংটা ধরে বলে,,,

আধারঃ আপনার এঙ্গেজমেন্ট রিং।

শবনমের পুরো শরীরে কাঁপছে। চোখ দিয়ে শুধু টপটপ করে পানি পরছে। শবনম আধারের চেহারায় হাত ছুইয়ে দেয় ওর বিশ্বাস হচ্ছে না এটা সত্য নাকি ওর ভ্রম। শবনম কিছু না ভেবেই আধারকে ঝাপটে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়।

To be continued….

?#The_Hate_Story?
?#Madness_Love?
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_7

শবনম আধারকে অনেক জোরে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলে,,,,

শবনমঃ আযান আমি জানতাম তুমি ঠিক আছো তোমার কিছু হয়নি। তুমি তুমি একদিন আমার কাছে ঠিকই ফিরে আসবে। সবাই বলতো যে তুমি নেই সব আমার ভ্রম। কিন্তু দেখ আমার মন সত্য বলতো তুমি ঠিক আছো আমার কাছে ফিরে এসেছো।???

প্লিজ আমাকে এভাবে একা ফেলে আর কখনো যেও না আমি সহ্য করতে পারি না। I really love you Aazan I can’t leave without you. ???

সবাই আধারের দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। সূর্য নিজের হাত মুঠো করে রেখেছে। রাগে ওর চোখ লাল হয়ে গেছে।

সূর্যঃ How is that possible. আযানতো মরে গেছে ও কিভাবে ফিরে এলো। ওর কারনে আবার আমি শবনমকে পেয়েও হারিয়ে ফেললাম। কিন্তু ও বাচঁলো কিভাবে how??? ও কি আযান নাকি অন্য কেউ!!! (মনে মনে)

আশরাফ বারবার নিজের কপালের ঘাম মুছছে। আর আধারকে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত স্ক্যান করছে।

সবাইকে অবাক করে দিয়ে আধার শবনমকে হাল্কা ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দেয়। শবনম কিছুটা দূরে সরে যায় নিজেকে সামলে ও অবাক চোখে আধারের দিকে তাকায়,,,, শবনম সহকারে সবাই আধারের কাজে বেকুব বনে গেল।

আধারঃ What nonsense is this. আপনাদের এখানে কি এভাবে মেহমানদের স্বাগত করা হয়। আর কি আযান আযান শুরু করেছেন I’m not Aazan I’m Aadhar,,,, Aadhar Rejwan the Rejwan industry’s owner.

Please stop your Madness Miss Chowdhury.

আধারের কথায় সবাই ভূত দেখার মতো ওর দিকে তাকিয়ে আছে। মায়া আধারের সামনে এসে ওর মাথায় আর চেহারায় হাত বুলিয়ে বলে,,,

মায়াঃ আমার বিশ্বাস হচ্ছে না এটা স্বপ্ন নাকি সত্যি। তুমি বেঁচে আছো আযান??? আল্লাহর লাখ লাখ শুকরিয়া তোমাকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।

আধার মায়ার হাত ঝাড়ি দিয়ে সরিয়ে দেয় তারপর বলে,,,,

আধারঃ OH God where I’m get stuck. কোথায় এসে ফেসে গেলাম। আপনারা নিজেই আমাকে ইনভাইট করে এখন এই মেলোড্রামা শুরু করেছেন কেন।

In Aadhar Rejwan not Aazan OK.

আশরাফ আধারের কথায় কতক্ষণ ওর দিকে ভালোমতো লক্ষ করলেন। তারপর ভ্রু কুঁচকে ওকে জিঙ্গেস করলেন,,,

আশরাফঃ কিন্তু তোমার চেহারা তো পুরো আমার ভাতিজা আযানের মতো।

আধারঃ What!!!আমাকে দেখে কি আপনার পাগল মনে হয়। চেহারা মিলে like seriously,,, এটা কোন মুভি বা সিরিয়াল না এটা রিয়েল লাইফ। আর রিয়েল লাইফে এমন কিছু হয় না ওকে।

মায়াঃ আযান তুমি এভাবে কথা বলছো কেন যেন তুমি আমদের চিনছো না।

আধারঃ Oh My goodness,,এতক্ষণ ভাবছিলাম শুধু আপনার মেয়ে পাগল এখন দেখছি পুরো বংশই পাগল। কি যাতা বলছেন আমি আযান না আধার বুঝেছেন।

আশরাফ সূর্যের পাশে গিয়ে ওর কানে ফিসফিসিয়ে বলে,,,,

আশরাফঃ I think he’s not Aazan. ও যদি আযান হতো তাহলে আমরা এতক্ষনে লকাপে থাকতাম।

সূর্যঃ ও আযান হোক আর যেই হোক ওর জন্য আরেক বার আমি আমার মঞ্জিলের এতো কাছে এসেও কিছুই পেলাম না? ও আবারো আমার সব প্লানে মাটি ঢেলে দিলো বাবা।

আশরাফঃ এই মুহুর্তে চুপ থাকাটাই শ্রেয়। দেখি কি হয়।

আধার রেগে গিয়ে বলছে,,,,

আধারঃ আমি আপনাদের সাথে কোন ডিল করবো না। যাদের মেন্টাল এবিলিটি কম আধার রেজওয়ান তাদের সাথে বিজনেস করে না।

আধার যেতে নিলে শবনম ওর হাত ধরে ফেলে,,,

শবনমঃ আযান তুমি এমন করছো কেন,,, আমার কি কোন ভুল হয়ে গেছে প্লিজ বলো না। তাও আমাকে ছেড়ে যেও না। অনেক ভালোবাসি তোমাকে বাঁচবো না তোমাকে ছাড়া।

আধারঃ ভুল না অপরাধ হয়েছে তোমার দ্বারা। আর আমি যদি আগের ইমোশনাল আযান হতাম তাহলে তোমার এই নাটকের ফাঁদে পা দিয়ে ফেলতাম। কিন্তু তোমার সামনে যে দাঁড়িয়ে আছে ও আযান না আধার রেজওয়ান যার মধ্যে কোনো প্রকার ইমোশন নেই। I have turned into a stone hearted person. তুমি আমাকে পাথরের বানিয়ে দিয়েছে। আর পাথরের কোন ইমোশন থাকে না। ( মনে মনে)

আধার শবনমের হাত ঝাড়ি মেরে সরিয়ে দিয়ে বলে,,,,

আধারঃ আগেও বলেছি এখনো বলছি please stop your madness. আপনারা সবাই এমন আবনরমান বিহেভ করছেন কেন আমি বুঝতে পারছি না। আমি আযান না আধার কতবার বলবো। আর কি প্রমাণ আছে যে আমি আযান। আছে কোন প্রমাণ????

শবনম আধারের সামনে এসে ওর হাত ধরে বলে,,

শবনমঃ প্রমান চাই তোমার তাইনা,,, চলো আমার সাথে,,,,

শবনম আধারের হাত ধরে ওকে নিজের রুমে নিয়ে আসলো।

আধার রুমটা দেখে পুরো shocked হয়ে গেছে। পুরো রুম জুরে শুধু ওর ছবি। শবনমের সাথে কাটানো প্রতিটা special মোমেন্ট এর ছবি রুম জুড়ে।

শবনম আধারকে রুমে এনে দেয়াল থেকে একটা একটা করে ছবি নামিয়ে বেডে রাখছে আর বলছে,,,,

শবনমঃ প্রমান চাই তোমার তাইনা এই দেখ এখানে সব প্রমাণ আছে। এখন বলো যে তুমি আমার আযান না বলো,,,

আধার দোটানায় পরে গেছে। শবনমকে যতবার বিশ্বাস করতে যায় এমন কিছু হয় যে ওর প্রতি ঘৃণা জমে যায়। আবার যতবার ওকে কষ্ট দিতে চায় এমন কিছু হয় যেন শবনম নির্দোষ।

আধার আড়চোখে তাকিয়ে দেখে আশরাফ আর সূর্য ওর দিকে সন্দেহের চোখে তাকিয়ে আছে। আধার ওদের সন্দেহ দূর করার জন্য নিজের প্লান অনুযায়ী নাটক শুরু করে দেয়।

আধারঃ Oh my goodness,,,, how is this possible. ও তো পুরো আমার মতো দেখতে। (একটা ছবি হাতে নিয়ে) এজন্যই এতক্ষন আপনারা আমাকে আযান আযান বলে পাগল করছিলেন।

But honestly আমি আযান না আধার। দুই দিন হয়েছে দেশে এসেছি। BTW এই আযান কি মরে গেছে নাকি কেউ মেরে ফেলেছে (ভ্রু কুঁচকে বলল)

আধারের কথায় আশরাফ একটা ঢোক গিলে সূর্যের দিকে তাকায়।

সূর্যঃ এক্সিডেন্টে মারা গেছে।

আধারঃ Oh feeling very sad about him.

কিন্তু আমি আযান না। তাই বারবার আমাকে ওর সাথে কম্পের করবেন না। অনেক রাত হয়ে গেছে আমি এখন আসি।

আধার চলে যায় শবনম ওকে আটকাতে গেলে মায়া ওর হাত ধরে ফেলে।

সূর্যঃ গেলো তো গেল আমার এঙ্গেজমেন্ট এর বারোটা বাজিয়ে গেলো।??

To be continued…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here