#Devil_love part_8
#writer_কাব্য_মাহমুদ
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
তানিশাঃ ধন্যবাদ মা(তানিশার খাওয়া শেষ,) আচ্ছা আমি যাই,,আর হ্যা আমি কিন্ত ডেভিলকে বিয়া করব (বলেই রুম এ চলে গেল)
।
মাঃ আচ্ছা(বিয়ের দিন তোমাকে বলা যাবে না বললে সব উল্টোপালটা করে দিবে,,,মনে মনে)
।
তানিশাঃ কী যে করি devil এর জন্য আমিও গল্প লিখতে শুরু করেছি কিন্ত সেটা কী ওর চোখে পড়ে না বেটা বজ্জাত,গন্ডার, লুচ্চা, সব মেয়ের সাথে মনে হয় সারাদিন কথা বলে আর আমার সাথেই খালি ভাব দেখানো (বসে বসে রাগে লুচির মতো ফুলছে)
।
এভাবে সারাদিন তাদের হাবিজাবি কথার মাঝে দিন কেটে রাত হলো।
,,,
ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
,,
কাব্যঃ বাবা অফিস এর কী অবস্থা?? ( খেতে খেতে)
।
বাবাঃ হুম ভালো, কিন্ত আমি আর এসব এর চাপ নিতে পারছি না তাই তোকে এসব এর ব্যাপারে এখন ভাবতে হবে।
।
কাব্যঃ কেন আমি তো বাসাই থেকে কাজ করি
।
বাবাঃ বাসাই থেকে কাজ করিস অফিস এর দেখাশুনা তো করিস না
।
কাব্যঃ ok আমি খুব অল্প দিনেই join করব
।
বাবাঃ hummm thank you
।
নীলাঃ আচ্ছা বাবা তোমার ছেলেকে এখনই পাঠিয়ে দাও অফিস এ তাহলে সেখান থেকে একটি মেয়ে পেয়ে যাবে
।
বাবাঃ না আর সেটা করা লাগবে না,,আমি নিজেই একটা মেয়ে ঠিক করে ফেলেছি সব দিক থেকে ভালো,,,
।
নীলাঃ তাই তা মেয়ের নাম কী আর কী করে??
।
বাবাঃ মেয়ের নাম তানিশা ইসলাম তুলি এবার ইন্টার ২য় ইয়ার এ পড়াশোনা করছে,,,আর তাদের পরিবার ও ভালো।
।
নীলাঃ (খেতে খেতে বাবার কথা শুনেই তার বিষম লাগে)
।
মাঃ কীরে কী হলো এভাবে কাশি উঠল কেন??
।
নীলাঃ না মা কিছুনা এমনি
।
কাব্যঃ একটু ধীরে ধীরে খেতে থাক,,,(মুচকি হেসে)
।
নীলাঃ কীইইই তারমানে আমি জোরে খাই(রেগে গিয়ে)
।
কাব্যঃ না তবে নিজেকে একটু দেখে বলতে পারিস
।
নীলাঃ ভাইয়া
।
বাবাঃ আহঃ তোরা কী শুরু করলি,, এবার বল নীলা মেয়েটি কেমন হতে পারে?
।
নীলাঃ হুম ভালো যার নাম এতো সুন্দর সে তো সুন্দর হতেই পারে(ছাই সুন্দর একদম বান্দর এর হাড্ডি,,যদি এই তানিশা সেই তানিশা হয় তাহলে তো আমার ভাইয়ার জীবন তেজপাতা,মনে মনে)
।
কাব্যঃ নীলা আমার মনে হচ্ছে আমি এই নাম এর আগেও শুনেছি
।
নীলাঃ আমি কি করে বলব, তুই মনে করে দেখ
।
মাঃ আচ্ছা তুমি কীভাবে এই মেয়েকে পেলে??
ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
।
বাবাঃ আমি আমার অফিস এর পি,এ এর সাথে একদিন বসে গল্প করছিলাম কিন্ত কোন কাজ না থাকাই সেদিন তার সাথে বসে তার পরিবার সম্পর্কে জানি আর তাদের পরিবার এর সবার photo album দেখি,, আমার প্রথম দেখাতেই মেয়েটিকে পছন্দ হয়ে যাই আর তারপর আমি তাকে আমার ছেলের বউ করার জন্যই ঠিক করে রাখি, সেদিন অফিস থেকে এসেই আমি কাব্যর কাছে যেয়ে এই বিয়ের ব্যাপারে রিকুয়েস্ট করি,,কাব্য রাজি হয়ে যাই, পরে মেয়েও রাজি হয়।
।
মাঃ তারমানে তলে তলে এতো কিছু করেছ আর আমাদের কিছু জানানোর প্রয়োজন মনে করো নি
।
বাবাঃ আসলে আমি জানতাম না যে মেয়ের পরিবার থেকে রাজি হবে তাই বলি নি,, জানার পরে জানালাম
।
কাব্যঃ আচ্ছা এসব কথা বাদ দাও,, আর হ্যা আমি আর আবির কাল বন্ধুর বিয়ের Party তে যাচ্ছি
।
বাবাঃ ওকে,,,আচ্ছা আবিরকে তুই ওইখানে থাকতে না দিয়ে এখানে নিয়ে আসলেই তো পারিস
।
কাব্যঃ বাবা আমি আবিরকে অনেক বার বলেছি কিন্ত সে আমার কোন কথাই শোনে না
।
বাবাঃ ছেলেটা খুব ভালো, আর বুদ্ধির দিক থেকেও perfect,, আর তোর সাথে তো অফিস এর কাজ করে তাইনা
।
কাব্যঃ হুম,
।।
আসলে আবির এর বাবা-মা এক্সিডেন্ট এ মারা যাই তারপর সে কাব্যর অফিস এ একটি জব নেই পরে কাব্য তাকে পি,এ হিসেবে রেখে দেই,কিন্ত আবির একটু মিশুক থাকাই কাব্যর সাথে খুব তাড়াতাড়ি ক্লোজ হয়ে যাই,,আবির মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জানার পর কাব্য তাকে নিজের বাসাই থাকতে বলে কিন্ত আবির কিছুতেই থাকে না,,পরবর্তীতে কাব্য তাকে তাদের আরেকটা বাসাই থাকতে বলে আবির এখন সেখানেই আছে।
।
ফেসবুক পেজ: নিঃস্বার্থ ভালোবাসা
সবার dinner the end
Back to tanisha
,,,,
সুমিঃ আচ্ছা বাবা তোমার বন্ধুর মেয়ের বিয়ের party তে তো আগামীকাল যাচ্ছ তো উপহার হিসেবে কিছু নিয়েছ??
।
বাবাঃ সেটা চিন্তা করতে হবে না সব ব্যাবস্থা করেছি।
।
তানিশাঃ আচ্ছা আমি না গেলে হয় না
।
বাবাঃ না সবাইকে যেতে হবে,কারণ সেখানে আমাদের পরিবারের সবাইকে আমার বন্ধু দেখতে চাই
।
তানিশাঃ ok,
।
মাঃ তানিশা সেখানে যেয়ে কোন রকম কিন্ত দুষ্টুমি চলবে না
।
তানিশাঃ কী যে বলো না তুমি,, আগে চল তারপর দেখবে
।
মাঃ চল মানে আর কী দেখাবি তুই
।।
তানিশাঃ কই কী দেখাব,,,(dinner করা শেষ) আচ্ছা আমার খাওয়া শেষ আমি গেলাম(বলেই রুম এ চলে আসল এসে)
কী মজা সেখানে যদি আমার নায়ককে পাই,শুনেছি বিয়ের অনুষ্ঠানে অনেক এর প্রেম হয়,,যদি আমার ডেভিল কেউ পেতাম,,,,,,,
-*–আচ্ছা এখন থাক, আগে আমার লুচ্চামির গল্প পড়ি(শুয়ে শুয়ে গল্প পড়তেই ঘুমিয়ে গেছে
চলবে,,,
.
.
[বিঃ দ্রঃ নিয়মিত লাইক কমেন্ট না
করলে পরবর্তীতে আপনার হোম পেজে
পোস্ট যাবে না তাই লাইক কমেন্ট
করে সাথেই থাকুন]