#Ex_বেস্টফ্রেন্ড_যখন_বউ♥
#পর্ব_৫
#লেখক_ Ananta Sanny
বালিস তো আর উত্তর দিতে পারে না, তাই তিথি বলল
-ওই আমাকে প্রমিস করবে না তাই না?? ওকে তো ঠিকিই প্রমিস করলে..যাও তোমার সাথে আড়ি তোমার সাথে কথা নেই…(রাত যত বাড়তে থাকে, তিথির পাগলামিও বাড়তে থাকে)
,,
একসময় পাগলামি করতে করতে বালিস টা জড়িয়ে ধরে রেখে অনন্ত অনন্ত করতে করতে, তিথি ঘুমিয়ে যায়
,,
,,
পরদিন সকাল বেলা…
অনন্ত ঘুমিয়ে আছে, অনন্যা গোসল শেষ করে এসে দেখলো, অনন্তর ঘুম ভাঙালো…আর অনন্তকে কে ফ্রেস হতে বলল।
,,
আর এদিকে তিথি অনেক সকালেই ঘুম থেকে উঠে, বাইরে দাড়িয়ে একভাবে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে, মাঝে মাঝে জোড়ে জোড়ে নিশ্বাস ছাড়ছে….
অনন্যা তিথির কাছে আসলো…
-এই কুত্তা, (অনন্যা)
-উমমম হ্যা বল (তিথি)
-এ তুই অাগে কতো চঞ্চল ছিলি, আর এখন এমন হয়ে গেলি কিভাবে??
-কই না তো আগের মতই আছি
-নাহহ তোর বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে
-লাগবে না, বাদ দে, শোন আমি এখনই চলে যাবো, আর অফিসে যেতে হবে কাজ আছে
-এখনই যাবি??
-হুমমম, তোকে দেখার খুব ইচ্ছা হইছিলো তাই দেখে গেলাম
-দেখা হয়ে খুব ভালো লাগলো রে, আর প্রতিদিন আমাকে ফোন করবি কিন্তু
-ওকে জানু ফোন করবো…
-হুমম
-ভেতরে চল এখন, ফুপুর সাথে দেখা করেই চলে যাবো
-চল
,,
,,
,,
তিথি অনন্যার বাবা মার সাথে দেখা করে সেখান থেকে সোজা অফিসে চলে যায়…তিথি অনন্তর সাথে আর দেখা করে নি…
আর অনন্যা অনন্ত বিকেলে তাদের বাসায় ফেরে…
,,
,,
পরদিন সকাল বেলা..অনন্তর অফিসে যাওয়ার সময়..
-এই শোনো (অনন্যা)
-হুমম বলো, (অনন্ত)
-আসার সময় আমার জন্য ২ টা গোলাপ নিয়ে আসবা
-গোলাপ দিয়ে কি হবে??
-গোলাপ দিয়ে কি হয়, তুই জানিস না কুত্তা??
-না সত্যি জানি না
-তোর জানতে হবে না
-ওকে বায়,
-….(অনন্যা রাগে কিছু বলে না, শুধু ফুসতে থাকে)
,,
,,
অনন্ত রুমের দরজা খুলে চলে যাবে, এমন সময় কি ভেবে আবার ফিরে আসে অনন্যার দিকে।
অনন্তর এভাবে আসা দেখে অনন্যা অন্যদিকে ঘুরে দাড়ায়। অনন্ত গিয়ে অনন্যাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে…
,,
,,
,,
-কুত্তা ছাড় বলছি(অনন্যা)
-সরি ভুল হয়ে গেছে, ফুল দুইটা না ২০ টা আনবো..(অনন্ত)
-আনতে হবে না তোর
-খুব রাগ হইছে তাই না??
-না হয় নি
,,
,,
অনন্ত জানে যে অনন্যা অনেক রাগ করছে। অনন্ত অনন্যাকে তার দিকে ঘুরালো, আর খুব কাছে টেনে নিলো.. আর অনন্যার ঠোঁটে একটা চুমু একেঁ দিলো…
-কি গো রাগ কমে নি??(অনন্ত)
-হুমম কমছে, তবে একটু (অনন্যা)
-তাই??
-হুমম, ফুল কিন্তু নিয়ে আসবা
-ওকে বাবু সোনা তা নিয়ে আসবো
-মিষ্টি খেয়ে তোতলা হয়ে গেলে
-কই মিষ্টি খেলাম??
-এই যে মাত্রই তো খেলে
-আরে না,
-বুঝি বুঝি
-দাড়াও দেখাচ্ছি মজা
-এই না না, অনেক বেজে গেছে, অফিসের দেড়ি হয়ে যাবে এখন যাও
-হুহহ সত্যি তো
-ওকে বায় (অনন্ত চলে গেলো)
,,
,,
,,
অনন্য লাস্ট বারের মতো বলে দিলো, “ফুল না নিয়ে আসলে, ঘরেই ঢুকতে দিবো না কিন্তু”
অনন্যা ভাবছে, কথাটা শুনলো কি না??
-ধুরর শুনছে মনে হয় (অনন্যা)
,,
,,
,,
অনন্ত অফিসে এসে প্রথমে তিথির সাথে দেখা করে…তিথি কাজের কথা ছাড়া একটা কথাও বলে নি অনন্ত কে, অনন্তর দিকে তাকায়ও নি তিথি। এদিকে অনন্তর কোনো খেয়াল নেই, কারন সে তো আর তিথি কে ভালবাসে না…
,,
,,
,,
সারাদিন কাজ করার পর অফিস শেষ হয় ৮ টায়…অনন্ত অফিস থেকে বেড়িয়ে দেখে খুব বৃষ্টি হচ্ছে…।
বৃষ্টি কখন থামবে তার জন্য অপেক্ষা করছিলো..হঠাৎ তার সামনে তিথি তার গাড়ি এনে দাড় করায়…
,,
,,
,,
-গাড়িতে ওঠো পৌছে দিচ্ছি (তিথি)
-না ম্যাডাম ঠিক আছে (অনন্ত)
-উঠো বলছি
-না আমি যেতে পারবো
-বৃষ্টি কখন থামে বলা যায় না, তুমি বাসায় না গেলে বোন অনেক টেনশন করবে, আর তোমাকে মিস করবে, তাই বলছি ওঠো
,,
,,
,,
এত জোড়া জুড়ি দেখে অনন্ত গাড়িতে বসলো…
গাড়িটা তিথি চালাচ্ছিলো, তার পাশে অনন্ত বসা.. খুব জোড়ে বৃষ্টি হওয়ার কারনে, তিথি গাড়িটা আস্তে আস্তে চালাচ্ছিলো…
,,
,,
,,
দুজন চুপচাপই ছিলো, হঠাৎ তিথি অনন্ত কে প্রশ্ন করলো…
-অনন্যা কে কত টুকু ভালো বাসো??(তিথি)
-অনেক বেশি ভালবাসি, সেটা বলেও বোঝাতে পারব না (অনন্ত)
-এই কয়েকদিন এ এত ভালবেসে ফেলছো??
-না
-তাহলে??
-ওর সাথে আমার পরিচয় তো আগে থেকে…
-মানে??
-শোনেন বলছি (অনন্যা আর অনন্তর সেই পূর্বের ঘটনা গুলো বলল)
-ওহহহ এই ব্যাপার??
-হুমমমম
-দুজন যখন দুজনকে ভালই বাসতে তাহলে মাঝখানে এত দিন দূরে ছিলে কেনো??
-জানি না,
-হাহ, ভাল আমিও বাসি তোমাকে..ওর থেকেও বেশি…
-….(অনন্ত কিছু বলে না)
-তোমার বাসায় পৌছে গেছি
,,
,,
অনন্ত বাইরে তাকিয়ে দেখলো বাসায় সামনে পৌছে গেছে…
-আপনি আমার বাসা চিনলেন কিভাবে?? (অনন্ত)
-সেটা তোমাকে জানতে হবে না (তিথি)
-আচ্ছা তাহলে ভেতরে চলেন
-নাহহহ অন্য একদিন
-আসেন আজকেই
-বললাম তো অন্য একদিন
,,
,,
,,
অনন্ত গাড়ি থেকে নামবে হঠাৎ ই তিথি তাকে টেনে ধরে…
অনন্ত পেছন ফিরে দেখে, তিথি সেই আগের মতো কান্না করছে…অঝরে পানি পড়ছে চোখ দিয়ে…
-শোনো (তিথি)
-হ্যা বলেন (অনন্ত)
-ভালবাসি
-……(অনন্ত চুপ)
,,
,,
,,
তিথি সহ্য করতে না পেরে, অনন্ত কে জোড়ে আকড়িয়ে ধরে লিপ কিস করে…অনন্ত তো সেই রকম ওবাক, তিথি এগুলো কি ধরনের পাগলামি করছে…
,,
,,
,,
অনন্ত জোড় করে কোনো রকম তিথি কে ছাড়িয়ে ঠাসস ঠাসস করে দুইটা চড় মেরে দেয়…
-হা হা হা হা হা (তিথি)
-এগুলা ঠিক করলেন না (অনন্ত গাড়ি থেকে নেমে ভেতরে চলে গেলো)
–
,,
,,
,,
তিথি গাড়ি স্টার্ট করে চলে যায়…
এদিকে অনন্তর টেনশন অনেকটা বেড়ে গেছে..তিথি ম্যাডাম আজকে তার সাথে এটা কি করলো…..
,,
,,
,,
অনন্ত সোজা তার রুমে গিয়ে শুয়ে পড়ে, সে এসে অনন্যা কে দেখতে পেলো না, হয়তো তার বাবা মার সাথে আড্ডা দিচ্ছে…হঠাৎ অনন্তর মনে পড়লো
,,
,,
-ওহ নোওওওও অনন্যা আমাকে গোলাপ আনতে বলেছিলো…(অনন্ত)
ঠিক তখনই রুমে অনন্যার প্রবেশ..
,,
,,
অনন্যা এসে বলল
-কই আমার গিফ্ট?? (অনন্যা)
-ইয়ে মানে, মানে
-কি মানে মানে করছো??
,,
,,
অনন্ত তো ভয়ে শেষ…সে হঠাৎ তার প্যান্টের পকেটে হাত দেয়..
-এই আমার পকেটে কাটা কাটা এইগুলা কি??(অনন্ত মনে মনে)
,,
,,
অনন্ত প্যান্ট থেকে হাত বের করলো, আর দেখে কয়েকটা গোলাপ..
-ইয়েএএএএএ উম্মাহহহহহহহ (অনন্যা ফুল গুলো দেখে খুবই খুশি হলে)
,,
,,
অনন্ত ভাবছে…..
“সে তো ফুল কিনে নি তাহলে ফুল আসলো কোথা থেকে??
-এই অনেক অনেক খুশি হয়েছি আমি(অনন্যা)
-…..(অনন্ত ওই কথা টা ভাবছে অনন্যা কি বলছে তার মাথায় ঢুকছে না)
-এইইই
-এহহহ হ্যা হ্যা বলো
-থ্যাংক ইউ, (অনন্যা অনন্ত কে জড়িয়ে ধরে)
,,
,,
,,
হঠাৎ অনন্তর ফোনে একটা ম্যাসেজ আসলো….অনন্ত ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে তিথি ম্যাসেজ করছে, অফিসের বস তাই নাম্বার টা সেভ ই ছিলো…
অনন্যা তখন অনন্ত কে জড়িয়ে ধরে আছে, আর অনন্ত তিথির দেওয়া ম্যাসেজ পড়ছে মনে মনে
,,
,,
,,
-এই যে স্যার আপনার পকেটে কয়েক জোড়া গোলাপ দিয়েছি, এটা তোমার জন্য, তোমাকে কিস খাওয়ার সময় ফুল গুলো দিয়েছি, আর তোমার ঠোঁট অনেক মিষ্টি… আর হ্যা মিস ইউ (লেখার শেষে স্যাড স্টিকার)…….
চলবে